কিডনি চোরের ভাইরাল ছবি , জড়িত নন এরা কেউই
এরা কেউই কিডনি চোর নন, চিন্তিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে সি আই ডি
- Total Shares
ফ্যাক্ট চেক : এই ছবিতে যাদের দেখতে পাচ্ছেন তাঁরা কেউই কিডনি চোর নন। ভাইরাল এই ছবি দেখে চিন্তিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে সি আই ডি।পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে সোশ্যাল মিডিয়া, বিশেষত হোয়াটসাপএ এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে এই ছবি, সঙ্গে মানুষের উদ্দেশ্যে সতর্কবাণী। বলা হচ্ছে এরা কিডনি চোর, এবং এরা বাড়ি বাড়ি হানা দিয়ে বাচ্ছাদের এবং মহিলাদের মারধর করে কিডনি খুলে নিয়ে চলে যাচ্ছে। এই ছবি ছড়িয়ে পরেছে হোয়াটসাপও। শুধু লেখা নয়, সঙ্গে পাঠানো হচ্ছে অনেকগুলি ছবি।
ফেসবুক-এ গত ৮ ফেব্রূয়ারি মহম্মদ বরকতুল্লাহ সাফুই নামের এক একাউন্ট থেকেও একটি পোস্ট করা হয়। সেখানে বলা হয় দক্ষইন চব্বিশ পরগনার ডায়মন্ড হারবার অঞ্চলে এধরণের কিডনি চোরেরা বাড়ি বাড়ি হানা দিচ্ছে। ফলে আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়।দেখুন সেই ফেইসবুক পোস্ট. স্ক্রিন শট।
অসংখ্য টুইটার একাউন্ট থেকেও শেয়ার হয় পোস্টটি।
সোশ্যাল মিডিয়াতে এই ছবি ছড়িয়ে পড়ার পর মানুষ আতংকিত হওয়ায় তদন্তে নামে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ । গত ১০ ফেব্রূয়ারি সি আই ডি তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক একাউন্ট-এ ঘোষণা করে এই ছবি ভুয়া। এঁরা কোনো কিডনি চুরি চক্রে জড়িত নয়। সোশ্যাল মিডিয়া প্রচারিত খবরটি মিথ্যা। সি ই ডি-র পোস্টটিতে বহুল প্রচারিত ছবিটির সঙ্গে রয়েছে সি ই ডি-র সকতর্কবাণী, ‘’এটি একটি ফেক পোস্ট।পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ তদন্ত করে দেখেছে এর কোনো সত্যতা নেই। এই ধরনের পোস্ট ছড়ানোর আগে তার সত্যতা বিচার করুন। জাল খবর ছড়ালে আপনার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকুন।‘’দেখুন সি আই ডি-র এই ফেসবুক পোস্ট।
সি আই ডি এই পোস্ট করার পর উক্ত ব্যক্তি ওই পোস্টের এটাচমেন্ট ডিলিট করে দেন।
পশ্চিমবাংলা এই খবরে সম্প্রতি তোলপাড় হলেও, গত বছর থেকেই এই পোস্টএ গোটা বাংলাদেশএ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তারপর বিডি ফ্যাক্ট চেক ওয়েবসাইট এই খবরকে নস্যাৎ করে খবর প্রকাশ করে।
এবছরের শুরুতে দক্ষিণ ভারতেও এই সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট তোলপাড় করে। এমনকি গণধোলাইয়ের ঘটনাও ঘটে। ঘটনার প্রেক্ষহিতে ব্যাঙ্গালোরে ১৪ জন-কে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই খবর টাইমস অফ ইন্ডিয়াতেও প্রকাশ হয়। এর আগে অন্ধ্রপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খন্ডেও ছড়িয়ে পড়ে এই ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট। আতংকিত হয়ে পড়েন বহু মানুষ। উত্তরভারতেও এই পোস্টকে ঘিরে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ বিষয়েও খবর প্রকাশিত হয়।একই ধরণের ঘটনা ঘটে তামিলনাড়ুতেও।
পশ্চিমবাংলায় অতি সম্প্রতি ফেসবুক এবং বিশেষত হোয়াটস্যাপ-এর মাধ্যমে এই খবর ভাইরাল হওয়ায তদন্তে নেমে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ এই খবরকে ফেক বলে ঘোষণা করে।
ইন্ডিয়াটুডের আন্টি ফেক নিউস ওয়ার রুম, রিভার্স সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে জেনেছে ছবিগুলি বহুবার কিডনি চুরির সঙ্গে জড়িয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে বেরোলেও, এঁরা আদৌ কিডনি চুরির সঙ্গে জড়িত নন।
দাবি: এই ছবিতে যাঁরা রয়েছেন তাঁরা কিডনি চোর।
ফ্যাক্টচেক : এই ছবিগুলিতে যাঁদের দেখানো হয়েছে তাঁদের আসল পরিচয় কি তার সত্যতা জানা না গেলেও সি আই ডি-র সতর্কবাণী এবং ইন্ডিয়া টুডের নিজস্ব তদন্ত বলছে এই খবরটি অর্ধসত্য।