মৎস্যকন্যা নয়, এটি একটি আধুনিক শিল্পকলা
মৎস্যকন্যার ভুয়ো খবর ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়
- Total Shares
"মৎস্যকন্যা ধরা পড়েছে পূর্ব মেদিনীপুর এর পটুয়া সামুদ্রিক মৎস্য বন্দর এ"- চাঞ্চল্যকর এই খবরটি ফেসবুকের। গত শুক্রুবার, ফেইসবুক পেজ " কবিতাও উক্তি" এটি পোস্ট করে ছোট্ট একটি ভিডিও সহ।
কাঠের বাক্সের উপর পিঠমোড়া করে বাধা একটি অদ্ভুত প্রাণী যার অর্ধেক শরীর মাছের মতো। কুমিরেরমতো মুখটি অল্প খোলা, গলার কাছটা একটু নড়াচড়া করছে। প্রায় দু'শবারের বেশি দেখেছে লোকে এই ভিডিওটি।
ইন্ডিয়া টুডের অ্যান্টি ফেক নিউজ ওয়ার রুমের অনুসন্ধানে জানা গেছে খবরটি সম্পূর্ণ ভুয়ো। এটি একটি আধুনিক এনিমেট্রোনিক্স শিল্পের নমুনা, যেখানেশিল্পী তার তৈরী কৃত্তিম প্রাণী বা মানুষের মূর্তিটিকে যন্ত্রের মাধ্যমে প্রায় জীবন্ত করে তোলে।
"মৎস্যকন্যা ধরা পড়েছে পূর্ব মেদিনীপুর এর পটুয়া সামুদ্রিক মৎস্য বন্দর এ"- ফেইসবুক এ এই শব্দগুলি টাইপ করতেই ২০১৭ সালের বেশ কিছু একইধরণের পোস্ট পাওয়া যায়।
এই পোস্টগুলির মধ্যে একজন ফেইসবুক ব্যবহারকারী "চৌকিদার মালা মোদক", ভাইরাল ভিডিওটির সঙ্গে "মৎস্যকন্যার" আরও কয়েকটি ছবিও পোস্টকরেন 2017 তে। এছাড়াও কোনো মৎস্য বন্দরের দুটি ছবিও রয়েছে এই পোস্টটিতে ।ষোলো হাজার বারেরও বেশি শেয়ার হয়েছে পোস্টটি।
ইয়ানডেক্স রিভার্স সার্চএর মাধ্যমে আমরা বেশ কিছু জায়গায় "মৎস্যকন্যার" এই ভাইরাল ছবি গুলি খুঁজে পাই। জানা যায় বহুদিন ধরেই এই ছবিগুলিসোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোরাফেরা করছে।এমনি একটি ছবিতে একজন শিল্পীকে ভাইরাল "মৎস্যকন্যার" হুবহু একটি মূতিটিতে রং করতে দেখা যায়।
উপরের এই ছবিটিকে ফের "টিন আই" রিভার্স সার্চ করে ইন্টারন্যাশনাল ফ্যাক্ট চেকার "স্নোপেস এর" একটি লেখা খুঁজে পাওয়া যায়।
স্নোপ্স এর অনুযায়ী এই "মৎস্যকন্যার" ভাইরাল ভিডিও এবং ছবিগুলি কোনো বিদেশী শিল্পীর নিজস্ব সৃষ্টি। আধুনিক এনিমেট্রোনিক্স শিল্পের অনবদ্য নমুনা।
তবে মৎস্যকন্যার এই মূর্তিটি কোথায় দেখানো হয়েছে বা কে বানিয়েছে এ ব্যাপারে স্নোপ্স কিছু বলতে পারে নি। তারা "দ্য নিউস ফ্যাক্ট" নামের একটিওয়েবসাইট থেকে জানতে পারে যে মৎস্যকন্যার এই মূর্তিটি কাঠ ও ফাইবারের।গলার কাছে একটি মোটরের সাহায্যে কৃত্তিম শ্বাসপ্রশ্বাসের নকল করা হয়েছে।
JHOOTH BOLE KAUVA KAATE
The number of crows determines the intensity of the lie.
- 1 Crow: Half True
- 2 Crows: Mostly lies
- 3 Crows: Absolutely false