ফ্যাক্ট চেক: লন্ডনে কি বাংলা দ্বিতীয় ভাষার স্বীকৃতি পেলো?
- Total Shares
লন্ডনে কি দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পেলো বাংলা? গত ৩ ডিসেম্বর মহিদুল ইসলাম নামের এক ফেসবুক ব্যবহারকারী EDUCATION AND NEWS কর্নার নামের একটি ফেসবুক পেজে বাংলানিউজ লাইভ নামের একটি ওয়েবসাইটের লিঙ্ক পোস্ট করেছেন। পোস্টে তিনি ক্যাপশন দিয়েছেন, ''লন্ডনের সরকারিভাবে দ্বিতীয় ভাষার মর্যাদা পেল বাংলা। বর্তমানে লন্ডনে বসবাসকারী প্রায় ৭২ হাজার।''
ইন্ডিয়া টুডে অ্যান্টি ফেক নিউজ ওয়ার রুম (আফওয়া)-এর পাওয়া তথ্য অনুযায়ী এটি একটি বিভ্রান্তিকর পোস্ট। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পোস্টটি শেয়ার করেছেন ২২০০-ও বেশি মানুষ।
এখানে পোস্টটির আর্কাইভ দেখা যাবে।
আফওয়া বিষয়টি নিয়ে খোঁজ খবর করতে গিয়ে প্রথমে লিঙ্কটি ক্লিক করে। দেখা যায় একটি প্রতিবেদন লেখা হয়েছে যেখানে দাবি করা হয়েছে লন্ডনে দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পেলো বাংলা। প্রতিবেদনটির শিরোনাম দেওয়া হয়েছে, ''জয়জয়কার বাংলার: লন্ডনে দ্বিতীয় সরকারি ভাষার স্বীকৃতি পেল বাংলা''।
প্রতিবেদনটির প্রথম প্যারাগ্রাফে লেখা হয়েছে, 'বিদেশেও বাংলার জয়জয়কার! লন্ডনের সরকারিভাবে দ্বিতীয় ভাষার মর্যাদা পেল বাংলা। বর্তমানে লন্ডনে বসবাসকারী প্রায় ৭২ হাজার মানুষ এখন বাংলা ভাষায় কথা বলেন। ইংরেজির ঠিক পরেই। পোলিশ ও তুর্কি রয়েছে বাংলার পরেই।'
সরকারি স্বীকৃতির কথা বলা হলেও এরপরেই তারা নিজেরাই লিখেছে, ''সম্প্রতি, একটি সংস্থার সমীক্ষা থেকে একথা জানা গিয়েছে।'' কোনও সমীক্ষার ফল কখনও কোনও ভাষাকে সরকারি স্বীকৃতি দিতে পারে না। বিষয়টি ক্রসচেক করার জন্য আমরা প্রথমে গুগল কীবোর্ড সার্চ করি।
সেখানে কোথাও এসংক্রান্ত কোনও তথ্য আমরা পাইনা যে ব্রিটিশ সরকার বাংলা ভাষাকে দ্বিতীয় ভাষার স্বীকৃতি দিয়েছে। তবে এসংক্রান্ত একটি লিঙ্ক আমরা পাই। সিটি লিট্ নামের একটি ওয়েবসাইটে গত ১৯ নভেম্বর একটি রিসার্চ রিপোর্ট বেরিয়েছে। সেই রিপোর্টে তারা একটি সমীক্ষার ফল বার করেছে। তাতে দেখা গেছে যে লন্ডনে মানুষ ইংরেজি ভাষার পরই বাংলা ভাষা ব্যবহার করেন। তারপরেই ব্যবহৃত হয় পোলিশ এবং তুর্কি ভাষা। এই রিপোর্টের সঙ্গে ব্রিটিশ সরকারের স্বীকৃতির কোনও সম্পর্ক নেই।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে কোন দেশে কোন ভাষা সরকারি তা প্রকাশ করে সরকারি সেনসাস। প্রথম ভাষা, দ্বিতীয় ভাষা নিয়ে সরকারি সেনসাসই চূড়ান্ত কথা বলতে পারে। ব্রিটিশ সরকার শেষ সেনসাস করেছিল ২০১১ সালে। ব্রিটিশ সরকারের ওয়েবসাইট অনুযায়ী তাদের পরের সেনসাস হবে ২০২১ সালে। তখনই জানা যাবে কোন ভাষাকে দ্বিতীয় ভাষার স্বীকৃতি দিয়েছে সরকারি সেনসাস। ব্রিটিশ সরকারের শেষ সেনসাস অনুযায়ী ব্রিটেনের ৯২ শতাংশ মানুষ ইংরেজি বলেন। ২০১৪ সালে রান্ডমলি লন্ডন নামের একটি ওয়েবসাইট ২০১১ সালের সেনসাস ডাটা নিয়ে একটি রিপোর্ট তৈরী করে যে, লন্ডন বোরো গুলির মধ্যে পোলিশ এবং তুর্কি ভাষার ব্যবহার সব থেকে বেশি।
তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় যে দাবি করা হয়েছে তা চূড়ান্ত বিভ্রান্তিকর এবং ভুয়ো।
JHOOTH BOLE KAUVA KAATE
The number of crows determines the intensity of the lie.
- 1 Crow: Half True
- 2 Crows: Mostly lies
- 3 Crows: Absolutely false