অসমে লরিতে ইভিএম পাওয়া নিয়ে বিতর্কিত দাবি সহ ভিডিও পোস্ট ফেসবুকে
দাবি, সাংবিধানিক সংস্থাগুলো বিক্রি হয়ে গিয়েছে এবার ট্রাকে পাওয়া গেল ইভিএম
- Total Shares
পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে অসমেও বিধানসভা নির্বাচন চলছে। এবার সেই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি ভিডিও ভাইরাল হল।
'এম জামান' নামের এক ফেসবুক ব্যবহারকারী একটি ভিডিও পোস্ট করে দাবি করেছেন, "সকল সাংবিধানিক সংস্থা বিক্ৰী হয়ে গিয়েছে বলে মনে হচ্ছে। একটি বিতৰ্কিত ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে এবার একটি ট্রাকে ইভিএম পাওয়া গিয়েছে।"
এখানে পোস্টটির আর্কাইভ দেখতে পাবেন।
ইন্ডিয়া টুডের অ্যান্টি-ফেক নিউজ ওয়ার রুম (আফয়া) অনুসন্ধান করে দেখেছে এই পোস্টের দাবি বিভ্রান্তিকর। কারণ, এই ভিডিওর সঙ্গে যে দাবি করা হচ্ছে তা ঠিক নয়।
তদন্তে নেমে আমরা প্রথমে কী ওয়ার্ড সার্চ করে এই খবরটি খুঁজে পাই। দেখা যাচ্ছে ঘটনাটি পয়লা এপ্রিল অসমের কাছাড় জেলায় হয়েছিল।
খবরের প্রকাশ, সে দিন জেলার মহাসড়কে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হওয়া একটি গাড়ি আটকে পরে। স্থানীয়রা সেই গাড়িতে কিছু ইভিএম দেখতে পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। গাড়িটি ভাংচুরও করা হয়। সেই গাড়িটির সঙ্গে একটি লড়িতেও ইভিএম মজুত করা ছিল। তা নিয়েও বিশৃঙ্খলতার সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
ঘটনার পরে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে নির্বাচন কমিটির আধিকারিকরা জানিয়েছে, "এই ইভিএম গুলো রিসার্ভ ইভিএম হিসেবে বিভিন্ন বুথে পাঠানো হয়েছিল।যদি কোনও ইভিএম-এ যান্ত্রিক গোলোযোক দেখা যায় তখন এগুলো ব্যবহার করা যাবে। কিন্তু এগুলোর প্রয়োজন পড়েনি তাই এগুলোকে আবার বুথ থেকে জেলার প্রধান নির্বাচনী কার্যালয় ঝাঁপিরবন্দে ফেরত নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।"
প্রসঙ্গত, বারাক বুলেটিন নামের অসমের একই সংবাদমাধ্যম এই খবরটি একটি ভিডিও সহ পোস্ট করেছে। ফেসবুক পোস্টের ভিডিও আর এই ভিডিওটি একই ভিডিও।
বিষয়টি আরও নিশ্চিত করতে আমরা আজতক-এর অসমের প্রতিনিধি হেমন্ত কুমার নাথের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তিনি জানান, "এই ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি পয়লা এপ্রিল কাছাড়ের মহাসড়কের ভিডিও। নির্বাচনী কমিশনের আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে এই ঘটনায় কোথাও কোনও রকম গলদ ছিল না।"
এখানে উল্লেখ্য, এর আগে একই দিনে ইভিএম নিয়ে অন্য একটি ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছিল দেশজুড়ে। দ্বিতীয় পর্যায়ের ভোটের শেষে করিমগঞ্জে একটি গাড়ির মধ্যে একটি ইভিএম পাওয়া যায়। দেখা যায়, সেই গাড়িটি এক বিজেপির প্রার্থীর স্ত্রীর নামে নথিভুক্ত করা রয়েছে। এই ঘটনার পর নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে চারজন আসাধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। দুটি ঘটনা একই দিনে হলেও, দুটি ঘটনার প্রেক্ষাপট কিন্তু সম্পূর্ণ ভিন্ন।
সুতরাং, বলা যেতেই পারে যে এই পোস্টের দাবি বিভ্রান্তিকর। কারণ পোস্টের ভিডিওর সঙ্গে যে দাবি করা হয়েছে তা ঠিক নয়।
JHOOTH BOLE KAUVA KAATE
The number of crows determines the intensity of the lie.
- 1 Crow: Half True
- 2 Crows: Mostly lies
- 3 Crows: Absolutely false