ফ্যাক্ট চেক: লখনৌয়ের ভিডিওতে দেখানো রক্তাক্ত মহিলা কি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার শিকার?
ভুয়ো বিবরণ ও দাবি-সহ ভিডিওটি ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়
- Total Shares
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে একটি ভিডিও। সেখানে দেখা যাচ্ছে রক্তাক্ত অবস্থায় এক মহিলাকে বয়ে নিয়ে যাচ্ছেন এক পুরুষ। পুলিশের কাছে চেঁচিয়ে সাহায্যও চাইছেন।
ইউটুব চ্যানেল "হিন্দু মহাজোট ইন্ডিয়া " এই ভিডিওটি আপলোড করে লিখেছে "ভারত হিন্দুদের রাষ্ট্র হোয়েও ইসলামীদের হাতে। ভাইয়ের সামনে বোনের ধর্ষন। প্রসাশন চুপ" ।
এই পোস্টটি ভাইরাল হয়েছে ফেসবুকেও।
ভিডিওটি আর্কাইভ করা হয়েছে এখানে।
ইন্ডিয়া টুডের অ্যান্টি ফেক নিউজ ওয়ার রুম বা আফওয়া খতিয়ে দেখে যে, ভাইরাল ভিডিওটি একেবারেই বিভ্রান্তিকর। ঘটনাটি লাখনৌয়ের। এমনকি, লখনৌ পুলিশের তরফেও জানানো হয়, নিগ্রহকারী এবং নিগৃহীতা, সকলেই মুসলমান। কেউ হিন্দু নন। এই ঘটনা কোনও সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ নয়।
৪৫ সেকেন্ডের এই ভিডিওতে প্রথমেই দেখা যাচ্ছে এক আহত রক্তাক্ত মহিলাকে বয়ে নিয়ে চলেছেন এক ব্যক্তি এবং চেঁচিয়ে সাহায্য চাইছেন। পুলিশে রিপোর্ট লেখানোর আবেদন জানাচ্ছেন। তাঁকে বলতে শোনা যায়, জনৈক ইয়ুনুস, ইসলাম এবং অন্যান্যরা তাঁদের আক্রমণ করেছে। দয়া করে তাঁদের বাড়িতে ‘সিপাহি’ পাঠানো হোক। ভিডিও থেকে বোঝা যাচ্ছে পুলিশের কাছেই লোকটির ওই কাতর আবেদন। নেপথ্যে শোনা যায় কয়েকজন বলছেন, ‘মহিলার ডাক্তারি পরীক্ষা করাও এবং অন্য এলাকার থানায় গিয়ে রিপোর্ট করো।’
প্রসঙ্গত, লখনৌ পুলিশের তরফে একটি বিবৃতি দেওয়া হয় যাতে বলা হয়, ইটঞ্জা এলাকায় দু’দল মুসলমানের মধ্যে সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ভিডিওতে যাঁদের দেখা যাচ্ছে তাঁরাও মুসলমান। তাঁদের নাম শাহরুখ এবং শবনম। পুলিশ রিপোর্ট দাখিল করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে বলেও ট্যুইট করে জানানো হয়।
— LUCKNOW POLICE (@lkopolice) June 26, 2019
পুলিশের বিবৃতি দেখতে এই লিঙ্কটি পড়ুন। এরপর লখনৌ পুলিশ আরেকটি ট্যুইট করে জানায়, ভিডিওতে যে পুলিশকর্মীর গলা নেপথ্যে শোনা গিয়েছে, যিনি শাহরুখ ও শবনমকে সাহায্য করতে অস্বীকার করেন, তাঁর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যাঁরা শবনমের ধর্ষণে অভিযুক্ত তাদের সকলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কী কারণে এই ঘটনা ঘটেছে সে কথা অবশ্য পুলিশ স্পষ্ট ভাবে জানায়নি। তবে এটা বারবারই বলা হয়েছে যে এই ঘটনায় কোনও ধর্মীয় রঙ নেই। এটি নেহাতই একটি স্থানীয় গোলমাল।
JHOOTH BOLE KAUVA KAATE
The number of crows determines the intensity of the lie.
- 1 Crow: Half True
- 2 Crows: Mostly lies
- 3 Crows: Absolutely false