বাংলাদেশের হরিণ মারার ঘটনা পশ্চিমবঙ্গের বলে ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়
ঘটনার ভিডিওটি বাংলাদেশের চট্টগ্রামের
- Total Shares
গত ২৬ অক্টোবর অনুপ কুমার বিশয়ে নামের এক ফেসবুক ব্যবহারকারী একটি ভিডিও পোস্ট করেন। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে একজন বন্দুক উঁচিয়ে হরিণ মারছেন। যিনি পোস্ট করেছেন তিনি দাবি করেছেন, ভিডিওটি পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবনের। ইন্ডিয়া টুডে অ্যান্টি ফেক নিউজ ওয়ার রুম (আফওয়া)এর পাওয়া তথ্য অনুযায়ী এই পোস্টটির দাবি সঠিক নয়।
ভিডিওটি পোস্ট করে ওই ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ''আজকে একটা প: ব: ফরেস্ট অফিসার একটা হরিণ কে মেরে দিল। এই ভিডিও টা চারিদিকে ছড়িয়ে দিন যাতে জেল হয়''
দু মিনিট আড়াই সেকেন্ডের ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে একজন হাতে বন্দুক নিয়ে অনেকগুলি হরিনের দিকে তাক করছেন। প্রথমে হরিণগুলিকে খেতে দেওয়া হয়। তারপর হঠাৎ একটিকে গুলি করা হয়। ওই সময় ভিডিওটিতে কিছু কথা-বার্তা শোনা যায়। হরিণটিকে মারার পর একজন বলেন, ''ছুরিটা দে''। ভিডিওর শেষে দেখা যায় মৃত হরিণীর সামনে দাঁড়িয়ে দুই আঙ্গুল তুলে ভিকট্রি পোজ দিচ্ছেন তিনজন।
এখানে পোস্টটির আর্কাইভ দেখতে পারেন।
আফওয়া বিষয়টি নিয়ে খোঁজ খবর করতে শুরু করে। আমরা বেশ কয়েকজন টুইটার ব্যবহারকারীকেও দেখি এই একই দাবি নিয়ে ভিডিওটি পোস্ট করতে।
ইউটিউবেও ভিডিওটি আপলোড করা হয়েছে একই দাবি নিয়ে।
কি ওয়ার্ড সার্চ করে দেখি ঘটনাটি ২০১৫ সালের। ডেইলিষ্টার পত্রিকায় খবরটি করা হয়। সেখানে বলা হয় লোকটির নাম মঈনুদ্দিন। চট্টগ্রাম-এ লোকটির বেআইনি ফার্ম আছে। ফার্ম টির নাম হিলসডেল। ভিডিওটি পোস্ট করার পর মৈনুদ্দিনের কাজটি নিয়ে বাংলাদেশ জুড়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। তারপরই সেখানে বাংলাদেশী বন বিভাগের অফিসাররা হানা দিয়ে ১৬ টি হরিণ উদ্ধার করেন। ওই রিপোর্টেই লেখা হয় মঈনুদ্দিন বাংলাদেশী অস্ট্রেলিয়ান। পরে ডেইলিষ্টার আরও একটি খবর করে যে, মৈনুদ্দিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। তাঁর লাইসেন্স কেড়ে নেওয়া হবে বলে জানানো হয়। মঈনুদ্দিন এরপর ফেসবুকে ক্ষমা চান। সংবাদপত্রটি মৈনুদ্দিনের ফেসবুক পেজ-র ক্ষমা চাওয়ার স্ক্রিনশটও ছাপে।তাই ঘটনাটি সত্যি ঘটলেও পুরনো এবং পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবনের নয়।
JHOOTH BOLE KAUVA KAATE
The number of crows determines the intensity of the lie.
- 1 Crow: Half True
- 2 Crows: Mostly lies
- 3 Crows: Absolutely false