না, কাশ্মীরের মেডিক্যাল পড়ুয়াদের ডিগ্রি বাতিলের কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি

সোশ্যাল মিডিয়াতে দাবি, পাকিস্তানের জয়ধ্বনি দেওয়া পড়ুয়ারা কোনও দিনও ডাক্তার হতে পারবে না

 |  2-minute read |   29-10-2021
  • Total Shares

কাশ্মীরে ডাক্তারি পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে দেশ বিরোধী ধারায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এর পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি দাবি ভাইরাল হতে শুরু করে দিয়েছে।

বেশ কিছু ফেসবুক ব্যবহারকারী দাবি করেছেন যে এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত পড়ুয়ারা আর চিকিৎসক হতে পারবেন না। কারণ, সরকার তাঁদের ডিগ্রি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

একই দাবি সহ পোস্টের আর্কাইভ দেখতে পাবেন এখানে ও এখানে

 ইন্ডিয়া টুডের অ্যান্টি-ফেক নিউজ ওয়ার রুম (আফয়া) অনুসন্ধান করে দেখেছে এই পোস্টের দাবি বিভ্রান্তিকর।

এই ধরনের দাবি প্রথমেই নজরেই ভুয়ো মনে হয়, কারণ যে কোনও ডিগ্রী সেই কোর্স সম্পূর্ণ করার পরই মেলে। ততদিনে ওই প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা শেষ হয়ে যায় ছাত্র-ছাত্রীদের। সেই কারণে কোনও প্রতিষ্ঠানের পক্ষেই বাস্তবে কোনও পাঠরত ছাত্র-ছাত্রীদের ডিগ্রী বাতিল করা সম্ভব না।

হ্যাঁ, এমনটা করা সম্ভব যে স্নাতকোত্তরে পাঠরত কোনও ছাত্রের স্নাতকের ডিগ্রী বাতিল করা হল। কিংবা, কোনও নিয়ম লঙ্ঘনের শাস্তি হিসেবে কলেজ কোনও পড়ুয়ার ভর্তি বাতিল করল। কিন্তু ডিগ্রী পাওয়ার আগেই সেটা বাতিল করা হয়েছে, এমন হওয়াটা কার্যত অসম্ভব।

তাই প্রথমেই আমাদের মনে সন্দেহ জাগে। তদন্তে নেমে অবশ্য আমরা দেখতে পাচ্ছি যে এমবিবিএস ছাড়াও এই ঘটনার সঙ্গে স্নাতকোত্তর স্তরের কিছু পড়ুয়াও যুক্ত রয়েছেন বলে কিছু সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে।

কিন্তু কি ওয়ার্ড সার্চ করেও আমরা এমন কোনও প্রতিবেদন বা সরকারি নির্দেশ খুঁজে পাইনি যেখানে বলা হচ্ছে যে এই পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এমনকি, কলেজ কতৃপক্ষও এই পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিয়েছে, এমন কোনও খবর চোখে পড়েনি।

বিষয়টিকে আরও নিশ্চিত করতে আমরা শ্রীনগরের শের-ই-কাশ্মীর ইন্সটিটিউটের মুখপাত্র কুলসুম ভাটের সঙ্গে কথা বলি। আজতক বাংলার সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া দাবি নস্যাৎ করে জানান, দেশবিরোধী শ্লোগান দেওয়ার অভিযোগ উঠলেও কোনও ছাত্রীর ডিগ্রী বাতিল করা হয়নি। তিনি আরও বলেছেন, যে সকল ভিডিয়ো ভাইরাল হচ্ছে তার মধ্যে অনেকগুলি পুরনো ভিডিও রয়েছে, আপাতত গোটা বিষয়টি নিয়েই তদন্ত চলছে।    

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে যে এই পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ-এর ধারায় এফআইআর দায়ের করা হলেও, এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। পুলিশ এখনও পড়ুয়াদের শনাক্ত করে চলেছে।

সুতরাং, এই ফেসবুক পোস্টের দাবি যে বিভ্রান্তিকর তা বলাইবাহুল্য।

না, কাশ্মীরের মেডিক্যাল পড়ুয়াদের ডিগ্রি বাতিলের কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি
Claimকাশ্মীরের যে পড়ুয়ারা পাকিস্তানের জয়ধ্বনি দিয়েছিল তারা কোনও দিনও ডাক্তার হতে পারবে না। সরকার তাদের ডিগ্রি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। Conclusion না, এই পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করা হয়নি। শুধুমাত্র পুলিশের তরফ থেকে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
JHOOTH BOLE KAUVA KAATE

The number of crows determines the intensity of the lie.

  • 1 Crow: Half True
  • 2 Crows: Mostly lies
  • 3 Crows: Absolutely false
If you have a story that looks suspicious, please share with us at factcheck@intoday.com or send us a message on the WhatsApp number 73 7000 7000

Writer

ARPIT BASU ARPIT BASU @virusfound007

Arpit Basu is the Special Correspondent with the India Today Group’s fact check team. With more than one-and-a-half decade's experience in print and digital media, he has reported on aviation, transport, crime, civic and human interests issues. His sting operation on how precious Aviation Turbine Fuel, meant for Kolkata airport, was pilfered and sold in local market as ‘white kerosene’ received widespread acclaim. Arpit has worked with reputed media houses like The Times of India and Hindustan Times and had received letter of appreciation for reporting during the Phalin cyclone in Odisha in 2013.

Comment