কানহাইয়া কুমারের 'অন্তরঙ্গ' ছবিটির সঙ্গে নির্বাচনী প্রচারের কোনও সম্পর্ক নেই

ছবির মহিলা কানহাইয়ার জওহরলাল নেহরুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠী

 |  2-minute read |   07-04-2019
  • Total Shares

kanbody1_040719020110.jpg

নির্বাচনের মরশুমে রাজনৈতিক নেতা নেত্রীদের, বিশেষ করে প্রার্থীদের, নিয়ে বিতর্ক লেগেই থাকে। এবার ছাত্র নেতা তথা বেগুসরাই লোকসভা কেন্দ্রের সিপিআই প্রার্থী কানহাইয়া কুমারকে নিয়ে নতুন একটি বিতর্কের সৃষ্টি হল।

"পিছিয়ে বাংলা" বলে একটি ফেসবুক পেজ এক মহিলার সঙ্গে কানহাইয়া কুমারের একটি অন্তরঙ্গ ছবি পোস্ট করেছে। ৫ এপ্রিল করা এই পোস্টে দাবি করা হয়েছে, সেই মহিলা জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা এবং তিনি এখন কানহাইয়ার সঙ্গে নির্বাচন প্রচারে ব্যস্ত। ইন্ডিয়া টুডের অ্যান্টি ফেক নিউজ ওয়ার রুম তদন্ত করে দেখেছে যে এই দাবি সম্পূর্ণ ভুয়ো।

এই ছবিটি পোস্ট করে লেখা হয়েছে, "নিজের ইউনিভার্সিটির(JNU) এক প্রফেসারের সাথে ভোট প্রচারে ব্যস্ত "বেগুসরাই এর সিপিএম" প্রার্থী কানহাইয়া কুমার..." পোস্টটি ইতিমধ্যেই ১০৭ বার শেয়ার হয়ে গিয়েছে। অনেকেই বিশ্বাস করছেন যে ছবিটি এ বছরের নির্বাচনী প্রচারের সময়ে তোলা।

ছবিটিকে রিভার্স সার্চ করে দেখা গিয়েছে, ২০১৬ সালের মার্চ মাসে এই ছবিটি সম্পর্কে বেশ কিছু প্ৰতিবেদন লেখা হয়েছিল। ডেক্যান ক্রনিক্যাল এই ছবিটি সম্পর্কে জানিয়েছিল, ছবিতে যে মহিলাকে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে তিনি জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা নন। তিনি কানহাইয়া কুমারের সহপাঠী। তাঁর নাম সৌম্য মনি ত্রিপাঠি। ২০১৬ সালে জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে তিনি এমফিল করছিলেন।

২০১৬ সালের ১০ মার্চ জি নিউজের একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল যে ৫ মার্চ সৌম্য মনি ত্রিপাঠি নিজেই তাঁর ফেসবুক পেজে এই ছবিটি শেয়ার করেছিলেন। ছবিটির সঙ্গে তিনি একটি ক্যাপশনও দিয়েছিলেন - "স্বাধীনতা বাড়িতেই পাওয়া যায়। জেএনইউ-তে বসন্ত এসে গেছে। তুমি যাই কর না কেন আমরা স্বাধীনতা অর্জন করবই করব। দুই সুন্দর ফুল উমার ও বানের অপেক্ষাতে বসে রয়েছি।" (Home is where #Azaadi is! Spring has arrived in JNU. Tum kuch bhi kar lo, hum leke rahenge #Azaadi. Waiting for our two beautiful flowers umar and ban to join us soon. (sic).)

kan-body2_040719035531.jpg

২০১৬ সালের ৯ মার্চ নিউজলন্ড্রিকে দেওয়া একটি সাক্ষ্যাৎকারে কানহাইয়া কুমার এই ছবিটির প্রসঙ্গে টেনে স্বীকার করেছিলেন, এই মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা নন, তাঁর সহপাঠী।

 

আমরা সৌম্য মনি ত্রিপাঠি + বেগুসরাই + নির্বাচনী প্রচার কি-ওয়ার্ড দিয়ে গুগলে সার্চ করে কানহাইয়ার নির্বাচনী প্রচারে সেই মহিলার উপস্থিতির কোনও উল্লেখ পায়নি। সৌম্য মোহন ত্রিপাঠির ফেসবুক প্রোফাইলটুইটার হ্যান্ডেলেও বেগুসরাই নির্বাচনী কেন্দ্রের প্রচারের কোনও উল্লেখ নেই।

এই পোস্টে কানহাইয়া কুমারকে সিপিএম প্রার্থী বলে দাবি করা হয়েছে। আদতে, কানহাইয়া কুমার সিপিআই-এর প্রার্থী। 

সুতারং, "পিছিয়ে বাংলা" ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এই পোস্টার দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যে।

কানহাইয়া কুমারের 'অন্তরঙ্গ' ছবিটির সঙ্গে নির্বাচনী প্রচারের কোনও সম্পর্ক নেই
Claimছবিতে কানহাইয়া কুমারের সঙ্গে যে মহিলাকে দেখা যাচ্ছে তিনি জেএনইউ-র অধ্যাপিকা। কানহাইয়ার সঙ্গে নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত তিনি। Conclusion ছবিটি ২০১৬ সালের মার্চ মাসের। মহিলাটি কানহাইয়ার সহপাঠী। তখন তিনি জেএনইউ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমফিল করছিলেন।
JHOOTH BOLE KAUVA KAATE

The number of crows determines the intensity of the lie.

  • 1 Crow: Half True
  • 2 Crows: Mostly lies
  • 3 Crows: Absolutely false
If you have a story that looks suspicious, please share with us at factcheck@intoday.com or send us a message on the WhatsApp number 73 7000 7000

Writer

ARPIT BASU ARPIT BASU @virusfound007

Arpit Basu is the Special Correspondent with the India Today Group’s fact check team. With more than one-and-a-half decade's experience in print and digital media, he has reported on aviation, transport, crime, civic and human interests issues. His sting operation on how precious Aviation Turbine Fuel, meant for Kolkata airport, was pilfered and sold in local market as ‘white kerosene’ received widespread acclaim. Arpit has worked with reputed media houses like The Times of India and Hindustan Times and had received letter of appreciation for reporting during the Phalin cyclone in Odisha in 2013.

Comment