ফ্যাক্ট চেক: মহিলা এবং শিশুদের এই ছবিগুলি কি কাশ্মীরের?
পুরনো ছবি ভুয়ো দাবি নিয়ে ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়
- Total Shares
সংবিধানে অনুচ্ছেদঃ ৩৭০ কাশ্মীর থেকে তুলে নেওয়ার পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো খবরের বন্যা। গত ২৬ অগাস্ট এক ফেসবুক ব্যবহারকারী দুটি ছবি পোস্ট করে দাবি করেন সেই ছবিগুলি কাশ্মীরের। ইন্ডিয়া টুডে অ্যান্টি ফেক নিউজ ওয়ার রুম (আফওয়া) খতিয়ে দেখে যে, এই দাবি ভিত্তিহীন।
গত ২৬ অগাস্ট এক ফেসবুক ব্যবহারকারী অভি খান দুটি ছবি পোস্ট করেন ''রহস্যময় জীবন' নামের একটি গ্রুপে, যেখানে একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে যে একজন মহিলা এবং একটি শিশুর ক্ষত-বিক্ষত মুখ। দ্বিতীয় ছবিটিতে এক মহিলা কোলে একটি শিশুকে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন।
পোস্টটির ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, ''এটা কাশ্মীর।।।!
হয়তো এই ছবি দেওয়ার কারণে একটু পর আবার ব্লক খাবো ফেসবুকে। কারণ তারা কাশ্মীরের খবর প্রচার করতে দিচ্ছে না।
হে আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করুন --আমিন''
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ছবিটি দেড়শোজনের উপর শেয়ার করেছেন।
পোস্টটির আর্কাইভ এখানে দেখতে পাবেন।
আমরা দুটি ছবি নিয়ে রিভার্স সার্চ করে দেখি, দুটি ছবিই পুরনো এবং একটি ছবি ভারতেরই নয়।
প্রথম ছবি: এই ছবিটি গাজা স্ট্রিপের। ২০০৮ সালে গেটি ইমেজেস এই ছবিটি তুলেছিল। ছবিটির ক্যাপশনে যা লেখা আছে তার থেকে জানা যায় উত্তর গাজায় জেবালিয়া রেফিউজি ক্যাম্প -এ ইজরায়েলি মিসাইল হানায় সামিরা বাউলসা নামের এক মহিলা তাঁর ৪ বছরের সন্তানকে হারান। তার সন্তানকে যখন কবর দেওয়ার ব্যবস্থা চলছে তখন তিনি অপেক্ষা করছিলেন তাঁর আর এক ছোট্ট সন্তানকে নিয়ে। সেই সময় এই ছবিটি তোলা হয়েছিল।
দ্বিতীয় ছবি: এই ছবিটি কাশ্মীরের কিন্তু পুরনো। ছবিটি ১৩ জুলাই ২০১৯ সালে টেলিগ্রাফ পত্রিকায় বেরিয়েছিল। ছবিটি তোলেন মহম্মদ আবু বাকের। ছবিটির ক্যাপশন এবং রিপোর্টটি থেকে জানা যায় যে উত্তর কাশ্মীরের কূপওরা জেলার ত্রহ্গ্রামে সেনাবাহিনীর গুলিতে মারা যায় খালিদ নামের ২২ বছরের এক যুবক। তাঁর শেষযাত্রায় এক মহিলার কান্না মুছিয়ে দিচ্ছে বাচ্ছাটি।
তাই পোস্টটির দাবি সূম্পর্ণ মিথ্যা যে এই ছবিদুটি বর্তমান কাশ্মীরের।
JHOOTH BOLE KAUVA KAATE
The number of crows determines the intensity of the lie.
- 1 Crow: Half True
- 2 Crows: Mostly lies
- 3 Crows: Absolutely false