না, কিরণ বেদী প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর গাড়ি টেনে নিয়ে যাননি
দিল্লি পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর নির্মল সিং প্রধানমন্ত্রীর গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিলেন
- Total Shares
নির্বাচনী মরশুমে সাধারণত রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে বিভিন্ন ধরণের পোস্ট ভাইরাল হয়ে থাকে। এমনকি বাদ পড়েন না আইপিএস-আইএএস অফিসার কিংবা উচ্চপদস্থ সরকারি অধিকারিকরাও। তাঁদের কেন্দ্র করেও মাঝে মধ্যে সরব হয়ে ওঠে সোশ্যাল মিডিয়া।
সম্প্রতি, প্রাক্তন আইপিএস অফিসার কিরণ বেদীকে কেন্দ্র করে এমনই একটি পোস্ট ভাইরাল হয়েছে। পোস্টটিতে দাবি করা হয়েছে, ভুল জায়গায় (নো-পার্কিং জোনে) গাড়ি পার্ক করার জন্য তিনি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর গাড়ি টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন। এরপরেও, তিনি তাঁর কর্তব্যপরায়ণতার জন্য পুরস্কৃত হয়েছেন। ইন্ডিয়া টুডের অ্যান্টি ফেক নিউজ ওয়ার রুম তদন্ত করে দেখেছে যে এই দাবি সম্পূর্ণ ভুল।
১৯ এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গ মুসলিম বুদ্ধিজীবী মঞ্চের ফেসবুক পেজে এই পোস্টটি করা হয়েছে। পোস্টের উপরে কিরণ বেদীর ছবির পাশে লেখা রয়েছে, "ইনি কিরণ বেদী আইপিএস, ইন্দিরা গান্ধীর গাড়ি ভুল জায়গায় পার্কিং করার জন্য টেনে নিয়ে গিয়েও তার কর্তব্যপরায়ণতার জন্য পুরস্কৃত হয়েছিলেন। পোস্টের নিচের দিকে আইএএস অফিসার মহম্মদ মহসিনের ছবির পাশে লেখা রয়েছে, "ইনি মহম্মদ মহসিন আইএএস, মোদীর বিমান থেকে নামানো অজ্ঞাত কালো বাক্সের সন্ধান করার জন্য নির্বাচন কমিশন তাকে সাসপেন্ড করেছে।"
ছবি দুটির তলায় লেখা রয়েছে "মহসিন তোমার সাহসিকতাকে সেলাম এবার কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে পার্থক্যটা ভাবুন।"
১৯ এপ্রিল এই পোস্টটি করা হয়েছে। মাত্র ১০ ঘন্টার মধ্যেই পোস্টটি এক হাজারের বেশি বার শেয়ার হয়ে গিয়েছে।
এখানে পোস্টটির আর্কাইভ দেখুন।
আমরা গুগলে সার্চ করে এনডিটিভির একটি খবরের সন্ধান পাই যেখানে কিরণ বেদী নিজের মুখে স্বীকার করেছেন যে ঘটনাটি ১৯৮২ সালের, যখন তিনি দিল্লি পুলিশের ডিসি ট্রাফিক ছিলেন। ঘটনার দিনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বিদেশে ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী দপ্তরের একটি গাড়ি বেআইনিভাবে পার্ক করা ছিল বলে দিল্লি পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর নির্মল সিং গাড়িটিকে তুলে নিয়ে যান। এই অনুষ্ঠানে কিরণ বেদী প্রশ্ন করেছেন, "আপনি কী করে আশা করেন যে একজন ডেপুটি কমিশনারের পদমর্যাদার অফিসার নিজে একটি গাড়ি টো করে নিয়ে যাবেন।"এই ঘটনার মাস সাতেক পর কিরণ বেদীকে অন্যত্র বদলি করে দেওয়া হয়। এই মহিলা আইপিএস দাবি করেছেন, "সেই সময় এশিয়ান গেমসের আসর বসেছিল দিল্লিতে যেখানে আমার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু এশিয়ান গেমস শেষ হতেই আমাকে বদলি করে দেওয়া হয়। সেই সময় আমার কন্যার শারীরিক অবস্থা খারাপ ছিল এবং দিল্লির এমসে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। আমি তাদের সে কথা জানিয়েও ছিলাম। কিন্তু কেউই কর্নপাত করেননি।"
এনডিটিভি সেই সাব ইন্সপেক্টর নির্মল সিংয়ের সাখ্যাৎকারও নিয়েছিল। তিনিও স্বীকার করেছিলেন যে সেদিন প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের গাড়িটি তিনি টো করেছিলেন। নির্মল সিংয়ের দাবি, "এই ঘটনার পর স্বাভাবিকভাবেই ডিপার্টমেন্টাল ইনকোয়ারি শুরু হয়ে যায়। ফাইলটি কিরণ বেদীর কাছে পৌঁছায়। কিন্তু তিনি আমার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।"
২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইন্ডিয়া টুডেও এই সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। সুতারং, পশ্চিমবঙ্গ বুদ্ধিজীবী মহলের দাবি সত্যি নয়।
JHOOTH BOLE KAUVA KAATE
The number of crows determines the intensity of the lie.
- 1 Crow: Half True
- 2 Crows: Mostly lies
- 3 Crows: Absolutely false