ফ্যাক্ট চেক: বিভ্রান্তিকর দাবী করে ভাইরাল মিসাইল উৎক্ষেপণের পুরোনো ভিডিও
নেটিজেনদের অনেকেই চীনের সাথে জুড়ে এই ভিডিওকে পোস্ট করেছেন
- Total Shares
লাদাখে সীমানা সংক্রান্ত বিতর্ক নিয়ে ভারত ও চীন দুই দেশের সীমান্তেই উত্তেজনার পারদ চড়ছে।
এরই মধ্যে চীনের জাহাজ থেকে মিসাইল উৎক্ষেপণের দাবী করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে এক পুরোনো ভিডিও।
ফেসবুক ব্যবহারকারী 'এম বাপি' ভাইরাল সেই ভিডিওকে পোস্ট করে লেখেন, "চাইনিজ শিপ লঞ্চন্ড ক্রুজ মিসাইল।পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ মিসাইল যা লঞ্চ হবার পর নিজের জাহাজকেই উরিয়ে দিতে পারে।কেও খিল্লি ওড়াবেন না। আমাদের পার্শ্ববর্তী কাংলুদেশের বাসিন্দারা গোসা হতে পারে।"
এখানে সেই পোস্টের আর্কাইভকে দেখতে পাওয়া যাবে।
ইন্ডিয়া টুডের অ্যান্টি-ফেক নিউজ ওয়ার রুম (আফয়া) অনুসন্ধানে দেখেছে, ২০১৪ সালের এই ভিডিওতে ইউক্রেন ও ন্যাটোর অনুশীলনকে দেখতে পাওয়া যায়।
আমরা এই ফেসবুক পোস্টে থাকা ভিডিওর কিছু ফ্রেমকে রিভার্স সার্চ করে তার বিষয়ে জানতে পারি।
ইউটিউবের এক চ্যানেলে ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরের ৯ তারিখে এই ভিডিওকে আপলোড করা হয়।রাশিয়ান ভাষায় লেখা সেই ভিডিওর ক্যাপশনকে গুগল ট্রান্সলেটরে অনুবাদ করলে তার অর্থ দাঁড়ায়, "কালা সাগরে ন্যাটোর অনুশীলনের সময় ইউক্রেনের মিসাইল"।
রাশিয়ান সেই শব্দগুলোকেই ব্যবহার করে এরপর আমরা ইন্টারনেটে কীওয়ার্ড সার্চ করি।সেখান থেকে আমরা এই ভিডিও সমেত রাশিয়ান ভাষায় লেখা কয়েকটি সংবাদ প্রতিবেদন খুঁজে পাই।
ওই প্রতিবেদনগুলিতেও ভাইরাল সেই ভিডিওকে ব্যবহার করে কালা সাগরে ইউক্রেন ও ন্যাটোর অনুশীলনের সময় ইউক্রেনিয়ান এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেম "ওসা-এমে"র জরুরি অবস্থা সৃষ্টির কথা বলা হয়।
অতএব, এর থেকে বলা যেতে পারে, ২০১৪ সালের ইউক্রেন ও ন্যাটোর অনুশীলনের এই ভিডিওর সাথে করা চীনের জাহাজ থেকে মিসাইল উৎক্ষেপণের দাবীটি বিভ্রান্তিকর।

JHOOTH BOLE KAUVA KAATE
The number of crows determines the intensity of the lie.
- 1 Crow: Half True
- 2 Crows: Mostly lies
- 3 Crows: Absolutely false
