ফ্যাক্ট চেক: পার্লামেন্টে নিজের জ্বালাময়ী ভাষণ অন্য কারও থেকে নকল করেছেন মহুয়া মৈত্র?

পার্লামেন্টএ তাঁর প্রথম ভাষণেই নজর কেড়েছেন তৃণমূল সংসদ মহুয়া মৈত্র। আর তাঁর সেই ভাষণ ঘিরেই যত বিপত্তি। সেই ভাষণের জন্যই অনেকের চক্ষুশূল হয়েছেন মহুয়া। জী-নিউজ তাদের খবরে দাবি করেছে, মহুয়া তাঁর ভাষণে ওয়াশিংটন মান্থলি-র লেখক মার্টিন লংম্যানকে নকল করেছেন। ইন্ডিয়া টুডে অ্যান্টি ফেক নিউজ ওয়ার রুম (আফওয়া) তদন্ত করে দেখে যে জী-নিউজ-এর দাবিটি সত্যি নয়।

২৫ জুন পার্লামেন্টে তাঁর ভাষণে মহুয়া মৈত্ৰের জ্বালাময়ী ভাষণ ছিল বিজেপির ফ্যাসিজমকে আক্রমণ করে। আর তাঁর সেই ভাষণকে আমেরিকার ওয়াশিংটন মন্থলীর লেখক মার্টিন লংম্যানের একটি লেখার হুবহু টোকা বলে খবর করেন জী নিউজ-র এডিটর-ইন-চীফ সুধীর চৌধুরী। 

এই খবর টেলিকাস্ট করার পরই শোরগোল শুরু হয়ে যায়। অনেকেই মহুয়া মিত্রকে সোশ্যাল মিডিয়ায় আক্রমণ করতে শুরু করেন যে তিনি ভারতের গণতন্ত্রের অলিন্দে দাঁড়িয়ে যে দুঃসাহসীক বক্তৃতা দিয়ে সবাইকে মুগ্ধ করেছিলেন তা ছিল আসলেই অন্য কারও নকল করা। সোশ্যাল মিডিয়ায় মহুয়াকে নিয়ে শুরু হয়ে যায় ট্রলিং।

देखें, महुआ मोइत्रा के भाषण का DNA टेस्ट, भाषण को लेकर रिसर्च में सामने आई चौंकाने वाली बात @sudhirchaudhary #DNA pic.twitter.com/CULVX3BXWi

— Zee News Hindi (@ZeeNewsHindi) July 2, 2019

অনেকেই ফেসবুক এবং টুইটারে মহুয়াকে আক্রমণ করে জী নিউজ-এর  এই পোস্ট শেয়ার করেন। অসীমা আসি নামের এক ফেসবুক ব্যবহারকারী জী-নিউজ এর খবরটি  Joy shree ram ☆আ‌মি হিন্দু আ‌মি গ‌র্বিত আ‌মি হিন্দু ☆ বৃহত্তম হিন্দু গ্রুপ.- এ শেয়ার করে লেখেন, ''তৃনচোরের দল থেকে এর থেকে কিবা আশা করা যায় ????'' 

পোস্টটি ফেসবুকে হুহু করে শেয়ার হতে শুরু করে। এখানে দেখতে পারেন সেই পোস্টটির আর্কাইভ। 

আরও অনেকেই পোস্টটি শেয়ার করেন। যেমন অর্ণব গোস্বামী ফ্যান ক্লাব।

ইন্ডিয়া টুডে অ্যান্টি ফেক নিউজ ওয়ার রুম (আফওয়া) বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানতে গিয়ে দেখে যে জী-নিউজ-এর দাবিটি সত্যি নয়। যাঁরা ফেসবুক-এ জী-নিউজ-এর খবরটি শেয়ার করেছেন তাঁরাও ওই একই ভুল খবর শেয়ার করেছেন। কারণ যে মার্টিন লংম্যানকে নকল করার অভিযোগ মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে, সেই লংম্যান একটি টুইট করেন। যেখানে তিনি লেখেন, ''আমি এখন ভারতে দারুন পরিচিত, ইন্টারনেটের দৌলতে। একজন রাজীনীতিক নাকি আমার লেখার  নকল করে কিছু বক্তব্য রেখেছেন। বিষয়টা বেশ মজার। সব দেশের ডানপন্থীরা একইরকম। ''

I’m internet famous in India because a politician is being falsely accused of plagiarizing me. It’s kind of funny, but right-wing assholes seem to be similar in every country.

— Martin Longman (@BooMan23) July 2, 2019

মার্টিনের এই টুইটের পরেও অনেকেই কমেন্ট বক্সে জোর করেই মহুয়ার বক্তৃতাকে তাঁর বলে চালানোর চেষ্টা করেন। প্রতিবারই মার্টিন তাঁদের বক্তব্যকে খণ্ডন করেন। একটি কমেন্টের উত্তরে তিনি লেখেন,''এটা হাস্যকর। উনি কিছুই চুরি করে বা নকল করে বক্তৃতা দেননি।'' একজন তাঁকে প্রশ্ন করেন তিনি আদৌ মহুয়ার বক্তৃতা শুনেছেন কিনা, তিনি তখন উত্তর দিয়ে জানান, তিনি ইউটিউবে মহুয়ার বক্তৃতা শুনেছেন। এরপরে একটি জায়গায় লংম্যান জানান দুবছর আগে তিনি ওয়াশিংটন পোস্টটের জন্য একটি লেখা লেখেন সেখানে তিনি হলোকাস্ট মিউজিয়াম।  

জী-নিউজ-এর খবরের পরে ফেসবুক, টুইটার-এ যখন সমালোচনার ঝড়, তখন মার্টিন নিজে টুইট করে জানিয়ে দিলেন মহুয়ার বিরুদ্ধে বক্তৃতা নকল করার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

DAILYO FACT CHECK

Claimমহুয়া তাঁর ভাষণে ওয়াশিংটন মান্থলি-র লেখক মার্টিন লংম্যানকে নকল করেছেন। Conclusion মার্টিন লংম্যান নিজেই এই দাবি নস্যাৎ করেছেন।

JHOOTH BOLE KAUVA KAATE

The number of crows determines the intensity of the lie.

• 1 Crow: Half True
• 2 Crows: Mostly lies
• 3 Crows: Absolutely false

If you have a story that looks suspicious, please share with us at factcheck@intoday.com or send us a message on the WhatsApp number 73 7000 7000