ফ্যাক্ট চেক: মহিলাকে মারধর করার ভাইরাল এই ভিডিওটির সঙ্গে সাম্প্রদায়িকতার সম্পর্ক নেই
তদন্তে দেখা যায় ঘটনাটি পারিবারিক ঝামেলার কারণে ঘটে
- Total Shares
সম্প্রতি একদল পুরুষের রাস্তার ধারে একজন মহিলাকে মারধরের এক ভিডিও ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়।ভাইরাল সেই ভিডিওটির সাথে দাবী করা হচ্ছে ভারতে মুসলিমদের সাথে এরকমই আচরণ করা হচ্ছে।ভিডিওটিতে একজন পুলিশকেও দেখা যায়, তবে তিনি এঘটনায় হস্তক্ষেপ করেন না।
ভেরিফাইড টুইটার ব্যবহারকারী "আলী কেসকিন" ভাইরাল এই ভিডিওটি পোস্ট করে লেখেন, "ভারতে মুসলমানরা নিপীড়িত এবং আমরা যদি তাদের রক্ষা না করি তবে তারা নিপীড়িতই থাকবে।সময় এসেছে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার।ভারত সরকার এর জবাবদিহি করবে! #মোদীপদত্যাগ"।
আপনারা পোস্টটির আর্কাইভ ভার্শন এখানে দেখতে পাবেন।বিভ্রান্তিকর এই পোস্টটি ফেসবুকেও ভাইরাল হয়।
ইন্ডিয়া টুডে অ্যান্টি-ফেক নিউজ ওয়ার রুম (আফয়া) তদন্তে দেখেছে ভাইরাল এই ভিডিওটির সাথে থাকা দাবীটি ভুয়ো।এটি উত্তরপ্রদেশের বলরামপুরের একটি পারিবারিক বিরোধের ঘটনা ছিল এবং এর পিছনে কোনও সাম্প্রদায়িক কারণ নেই।পুলিশের তরফ থেকেও নিশ্চিত করে জানানো হয়, অভিযুক্ত ও ভুক্তভোগী উভয়ই হিন্দু এবং একই পরিবারের সদস্য।
অনুসন্ধানের প্রথমে আমরা কীওয়ার্ড সার্চ করে দেখতে পাই, অনেক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী এটি উত্তরপ্রদেশের বলরামপুরের রেহরা বাজার এলাকার ঘটনা বলে দাবী করে ভিডিওটি পোস্ট করেছেন।
আমরা এই ভিডিওটি সম্পর্কিত কিছু সংবাদ প্রতিবেদনও পাই।“অমর উজালার” এক প্রতিবেদন অনুসারে, বাড়ি বিক্রি সম্পর্কিত বিরোধের জেরে সুশীলা নামের ওই মহিলাকে তার স্বামী অশোক মারধর করছিলেন।
এঘটনায় অশোকের সাথে তার দুই ভাই এবং তিন ভাগ্নেও যোগ দেন এবং সুশীলাকে মারধর শুরু করেন।পুরো ঘটনাটি পুলিশদের উপস্থিতিতেই ঘটেছিল।মহিলার স্বামী সহ চার অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বলরামপুরের পুলিশ সুপার দেব রঞ্জন ভার্মাও ঘটনাটি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন এবং ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা দুই পুলিশকে কোনও হস্তক্ষেপ না করার কারণে বরখাস্ত করেন।আপনারা তার প্রেস কনফারেন্স এখানে দেখতে পাবেন।
বলরামপুর পুলিশও আমাদের কাছে ভাইরাল এই দাবীটি মিথ্যা বলে সুনিশ্চিত করে।এসএইচও বিনোদ অগ্নিহোত্রি বলেন, "ভুক্তভোগী ও অভিযুক্তরা হিন্দু এবং একই পরিবারের সদস্য, তাই এর সাথে কোনও সাম্প্রদায়িক সম্পর্ক নেই।"
সুতরাং, এর থেকে স্পষ্ট যে ভাইরাল এই ভিডিওটির সাথে করা দাবীটি ভুয়ো।ভিডিওতে দেখতে পাওয়া মহিলাটিকে পারিবারিক বিরোধের কারণে মারধর করা হয়েছিল এবং এর পিছনে কোনও সাম্প্রদায়িক কারণ নেই।
JHOOTH BOLE KAUVA KAATE
The number of crows determines the intensity of the lie.
- 1 Crow: Half True
- 2 Crows: Mostly lies
- 3 Crows: Absolutely false