এই মহিলা বায়ুসেনা আধিকারিক বিমানচালক নন, ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার
ইনি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করার কাজটি করেননি
- Total Shares
ভারতীয় বায়ুসেনার এই মহিলা বিমানচালক পাকিস্তানে ঢুকে শত্রু নিধন করে এসেছেন, বায়ুসেনার পোশাকে মহিলাদের ছবি দিয়ে নানা পোস্ট ঘুরছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সাম্প্রতিকতম সংযোজন এই বায়ুসেনা অফিসারের ছবি।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পোস্টটি শেয়ার হয়েছে আড়াই হাজারের উপর। ক্লিক হয়েছে পাঁচ হাজারের বেশিবার। কমেন্টও পড়েছে প্রচুর
অনুপম সিনহা নামের এক ফেসবুক ব্যবহারকারী এই পোস্ট করেছেন।পোস্টটিতে লেখা আছে ,
''ইনি ভারতীয় বায়ুসেনার মিরাজের বিমানচালক ছিলেন, কাল পাকিস্তানে ঢুকে ভুনে দিয়ে এসেছেন জঙ্গিঘাঁটি। স্যালুট জানাই আপনাকে। জয় হিন্দ।"
যে সব বাড়ির পিতা-মাতা বা বাড়ির সদস্যরা কন্যা সন্তান হলে মনে দুঃখ পান আজও, তাঁরা দেখুন ভারতে কোথাও পিছিয়ে নেই মহিলারা। পুরুষদের সঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে দেশের জন্য যুদ্ধ ক্ষেত্রে অবতীর্ণ হচ্ছেন। উপযুক্ত ভাবে শিক্ষিত করতে পারলে মহিলা ও পুরুষের মধ্যে আজ কোনও বিভেদ নেই, শুধু যুদ্ধক্ষেত্রে কেন সব কিছুতেই।''
পোস্টটির আর্কাইভ এখানে দেখতে পারেন।
ইন্ডিয়া টুডের অ্যান্টি ফেক নিউজ ওয়ার রুম রিভার্স সার্চ করে দেখেছে যে এই খবরটি বিভ্রান্তিকর।
বায়ুসেনা এই অফিসারের নাম হিনা জয়সওয়াল। ইনি পঞ্জাবের মেয়ে। যেদিন পুলওয়ামার ঘটনা ঘটে তার পরের দিন সমস্ত নিউজ মিডিয়া হিনার ফ্লাইট ইঞ্জিনারিং পাস করার খবর প্রকাশ করে।
হিনা তার আগের ছ'মাস ধরে ইয়েলাহাঙ্ক এয়ার ফোর্স স্টেশনের ১১২ নম্বর হেলিকপ্টার ইউনিটে এই ট্রেনিং কোর্স করছিলেন। সেদিনই আইএএফ জানায় যে প্রথম মহিলা ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে অপারেশনাল হেলিকপ্টার সার্ভিসে যোগ দেবেন হিনা।
রিপোর্টে উল্লেখ আছে যে, একজন ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ারএর কাজ হচ্ছে এয়ারক্র্যাফ্টের জটিল সিস্টেমের উপর নজরদারি করা। তাই যুদ্ধবিমানের চালক হিসেবে শত্রুপক্ষের উপর বোমাবর্ষণ তাঁদের কাজ নয়।
তা ছাড়া, গতকাল বায়ুসেনা ঘোষণা করে বায়ুসেনা পাইলট অভিনন্দনই পাকিস্তানের এফ-১৬ তাড়া করে ভূপতিত করেছিলেন। তাই বিমান চালক হিসাবে হিনা জঙ্গি শিবিরে বোমা ফেলেছেন, খবরটি বিভ্রান্তিকর।
দাবি: এই মহিলা বায়ুসেনা অফিসার জঙ্গি শিবির ধ্বংস করতে বিমানচালক হিসেবে গিয়েছিলেন।
ফ্যাক্টচেক: এই মহিলা অফিসার বিমানচালক নন, ইনি ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার।