পশ্চিমবঙ্গে এখন গণতন্ত্র বিপন্ন, তাই বারে বারে আদালতে যেতে হয়

এ ভাবে আটকানোর অর্থ হল গণতন্ত্রের কণ্ঠ রোধ করা

 |  2-minute read |   07-12-2018
  • Total Shares

এ রাজ্যের গণতন্ত্র এখন বিপন্ন। গণতন্ত্র এখন যে জায়গায় দাঁড়িয়ে তাতে কোনও মানুষ খোলাখুলি তাঁর মত প্রকাশ করতে পারছেন না। কারও কথা অপছন্দ হলে তাঁকে মাওবাদী বা উগ্রপন্থী তকমা দিয়ে গ্রেফতার করা হচ্ছে। অথচ যাঁরা পথেঘাটে নানারকম গণ্ডগোল করছে, খুন-জখম করছে তাদের পুলিশ ধরতেও পারছে না।

বৃহস্পতিবার রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষের গাড়িতে ভাঙচুর করা হয়েছে। যারা এ কাজ করেছে পুলিশ এখনও পর্যন্ত তাদের ধরতে পারেনি। রাজ্যের মানুষ টিভির পর্দায় দেখেছেন কোচবিহারে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকাধারী লোকজন গাড়ি ভাঙচুর করছে যাতে ওখানে বিজেপির সভা না হতে পারে।

dilip-car_120718080548.jpgভাঙচুর করা হয়েছে দিলীপ ঘোষের গাড়ি (ডেইলিও)

আমরা আদালতের রায়কে মর্যাদা দিচ্ছি। আদালত প্রথমে যে রায় দিয়েছিল তাকেও মর্যাদা দিয়েছি। আগেও আদালতের রায় মেনেছি, এখনও মেনে চলব। আদালতের নির্দেশ মেনেই আমরা কর্মসূচি পালন করব। কিন্তু প্রশাসন যদি কোথাও অনুমতি না দেয় তা হলে কী করতে পারি? অন্য কোনও রাজ্যে তো সভা করার অনুমতির জন্য আদালতে যেতে হয় না!

তা হলে এ রাজ্যে গণতন্ত্র কোথায় আছে? এর আগেও আমরা দেখেছি যে বিজেপিকে সমর্থন করার অপরাধে পুরুলিয়ায় কী ভাবে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু সেই মামলার অগ্রগতি কী হয়েছে? সেই সব মামলা ধামাচাপা পড়ে আছে।

রাজ্যের মানুষ দেখেছেন যে আমরা যেখানেই মিটিং-মিছিল করি সেখানেই শান্তিপূর্ণ ভাবেই তা করে থাকি, কোথাও আমরা কোনও ভাবে অশান্তি করি না। কিন্তু বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে আমরা দেখছি কী ভাবে গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতি কোও ভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।

এর আগে আমরা দেখেছি ধূলাগড়ি ও বসিরহাটে কী ঘটনা ঘটেছে। এগুলো বহিরাগত লোকজনকে দিয়ে করানো হয়েছিল যাতে বিজেপি এগতে না পারে। কিন্তু এই সব জায়গার যাঁরা স্থানীয় লোকজন, তাঁরা এটা চাননি যে সেই সব জায়গার নাম এই ভাবে কলুষিত হোক।

bjp-embed_120718080615.jpgরাজ্যে গণতন্ত্র নেই, অভিযোগ বিজেপির (ফাইল চিত্র/পিটিআই)

এবার আসি দুর্গাপুজোর কথায়। বাম জমানায় দুর্গাপুজো হয়েছে, মহরমও হয়েছে। কোনও সময় বলা হয়নি যে দুর্গাঠাকুর বিসর্জন হবে না। মহরুমের রাস্তা ও বিসর্জনের রাস্তা আলাদা করা হয়েছে। এখন দেখছি যে মহরম হলে দুর্গাপুজো বন্ধ থাকছে। দুর্গাপুজোর মতো বিশ্ববিখ্যাত উৎসবেও বাধা দান করা হচ্ছে। এ বার তো সৌভাগ্যবশত দুর্গাপুজোর সময় মহরম পড়েনি বলে অসুবিধা হয়নি, এবার বরং উনি রেড রোডে বসে বসে শোভাযাত্রা দেখেছেন। এ ভাবে তো চলে না।

এ বার আবার দুর্গাপুজোয় ক্লাবগুলিতে টাকা দেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে তরুণদের চাকরি নেই। ক্লাবে টাকা দিয়ে যুবক ছেলেদের কার্যক্ষমতা নষ্ট করে দিচ্ছে  সরকার। ক্লাবগুলি তো চাঁদা তুলেই পুজোর আয়োজন করে। সেখানে অনুদান দেওয়ার দরকার কী আছে?

এখন রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তারা যদি রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন, বিধানসভা নির্বাচন ও লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের ১০০ শতাংশ আসনে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী হয়, তা হলে ভয় পাওয়ার কী আছে? মারামারি করারই বা কী আছে? অবাধ ও নিরপেক্ষ ভোট করে দেখা যাক না রাজ্যের জনগণ কাকে চাইছে! কোনও রাজনৈতিক দলকে এ ভাবে আটকানোর অর্থ হল জনসাধারণের কণ্ঠ রোধ করা, গণতন্ত্রের কণ্ঠ রোধ করা।

If you have a story that looks suspicious, please share with us at factcheck@intoday.com or send us a message on the WhatsApp number 73 7000 7000

Writer

JIBAN SEN JIBAN SEN

BJP District President, Kolkata

Comment