প্রোটেম স্পিকার হিসাবে কে জি বোপাইয়াকে নিয়োগ করা নিয়ে কেন বিতর্ক

২০১০ সালে বিধানসভার অধ্যক্ষ হিসাবে বোপাইয়ার কার্যপ্রণালী বিচার করেছিল সর্বোচ্চ আদালত

 |  2-minute read |   19-05-2018
  • Total Shares

কর্নাটকের বিরাজপেটের বিজেপি বিধায়ক কে জি বোপাইয়া প্রোটেম স্পিকার হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন। তিনি আজ বিধানসভায় একটি অতন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভোটাভুটি পরিচালনা করবেন। ১৮ মে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কর্নাটক বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য ভোটাভুটি। এই ভোটাভুটির মাত্র ২৪ ঘন্টা আগে কর্নাটকের রাজ্যপাল বজুভাই বালা প্রোটেম স্পিকার হিসেবে কে জি বোপাইয়াকে নিয়োগ করেছেন।

কিন্তু প্রোটেম স্পিকার নিয়োগ নিয়ে কেন বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে?

অক্টোবর ২০১০: বিএস ইয়েদুরাপ্পার নেতৃত্ব নিয়ে যখন বেশ কয়েকজন বিজেপি বিধায়ক আপত্তি জানিয়ে একটি অনাস্থা প্রস্তাব আনেন। সেই সময় বিধানসভা স্পিকার কে জি বোপাইয়া একটি বিতর্কিত পদক্ষেপ করেন। তিনি এগারো জন বিজেপি বিধায়ক ও পাঁচজন নির্দল বিধায়কের পদ খারিজ করে দেন।

body_supremecourt_051918021139.jpgসুপ্রিম কোর্ট

সুপ্রিম কোর্ট কী বলেছিল: বিষয়টি সুপ্রিম কোর্ট অবধি গড়ালে আদালত জানায় যে, বিধানসভায় দলগুলির সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য রাজ্যপাল যে সময় সময়সীমাটি বেঁধে দিয়েছেন সেই সময়সীমাকে মাথায় রেখে ও যে দিন ভোটাভুটি হবে সেই নির্ধিষ্ট দিনের আগেই যে পাঁচজন নির্দল ও এগারো জন বিজেপি বিধায়কের প্রার্থী পদ খারিজ করে দিয়েছিলেন সেটা কিন্তু রাজ্যপালের বেঁধে দেওয়া সময়সীমাকেই মাথায় রেখে স্পিকার করেছেন। অনাস্থা ভোটের দিন ছিল ১২ অক্টোবর আর বিধায়ক এঁদের পদ খারিজ করেন তার দুদিন আগে।

সুপ্রিম কোর্ট কী বলেছিল: অধ্যক্ষের এ হেন পদক্ষেপ দেখে মনে করা হচ্ছে যে শুধুমাত্র বিধানসভায় ইয়েদুরাপ্পার জয় বা সংখাগরিষ্ঠটা প্রমাণের উদ্যেশেই তিনি তড়িঘড়ি এই সিদ্ধান্তটি নিয়েছিলেন।

বিধায়কেরা যা বলেছিলেন: বিধায়কদের বলেন যে তাঁদের পদ খারিজের সিদ্ধান্ত গণতন্ত্রকে অনেকগুলো সাংবিধানিক ও প্রশাসনিক প্রশ্নচিহ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে এবং এই সিদ্ধান্তটি কতখানি দশম তফশিল ও তার অন্তর্গত যে বিধি রয়েছে সেগুলিকে মেনে নির্দেশটি দেওয়া হয়েছে। যেই বিধায়কদের পদ খারিজ হয় যায় তাঁরা তাঁদের কারণ দর্শনীর চিঠিতে জানিয়েছিল যে তাঁরা কোনও দল ছাড়তে চাননি বা তাঁরা পরিষদীয় দল থেকেও সদস্যপদও হারাতে চাননি তাঁরা শুধু ইয়েদুরাপ্পাকে মুখ্যমন্ত্রী থাকতে আপত্তি জানিয়ে দলের ভাবমূর্তি অটুট রাখতে চেয়েছিলেন।

লেখাটি ইংরেজিতে পড়ুন 

If you have a story that looks suspicious, please share with us at factcheck@intoday.com or send us a message on the WhatsApp number 73 7000 7000

Writer

ASHOK UPADHYAY ASHOK UPADHYAY @ashoupadhyay

Editor, India Today Television

Comment