একজন বাঙালি হিসাবে প্রাক্তন সাংসদ সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে গর্ববোধ করা যায়

অধ্যক্ষ হিসাবে কাজ করার সময় দলের নির্দেশের কাছে তিনি মাথা নত করেননি

 |  2-minute read |   13-08-2018
  • Total Shares

আদর্শগত ভাবে সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার মতপার্থক্য চূড়ান্ত ভাবে ছিল ও আজও আছে। তবে তিনি শুধু দশ বারের নির্বাচিত লোকসভার সদস্যই ছিলেন না, একজন অসাধারণ সাংসদও ছিলেন।

আমার মনে পড়ে, অটলবিহারী বাজপেয়ী সরকারের ধন্যবাদসূচক বক্তৃতার (মোশন অফ থ্যাঙ্কস) বিরুদ্ধে উনি অসাধারণ বক্তৃতা করেছিলেন। প্রমোদ মহাজন অবশ্য তার দারুণ উত্তরও দিয়েছিলেন। সেই দিনগুলির কথা আজ খুব মনে পড়েছে।

তিনি অভিজাত পরিবার থেকে রাজনীতিতে এসেছিলেন, অত্যন্ত শিক্ষিত ব্যক্তি ছিলেন, তারপরেও সিপিআই(এম)-এর মতো দলের ভিতরে থেকে তিনি দীর্ঘ দিন দাপটের সঙ্গে কাজ করে গেছেন। একই সঙ্গে তিনি বজায় রেখেছিলেন সামাজিক জীবনও।

একজন বাঙালি হিসাবেও সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে গর্ববোধ করা যায়। স্বাধীনোত্তর ভারতে যাঁরা বাংলাকে দিল্লিতে তুলে ধরেছেন, ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের পরে নিশ্চিত ভাবে সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় একটি বড় নাম।

body3_081318035323.jpgসোমনাথ চট্টোপাধ্যায়

লোকসভার অধ্যক্ষ হিসাবে তিনি সাফল্যের সঙ্গে কাজ করেছিলেন। দলের নির্দেশের কাছে তিনি মাথা নত করেননি। অধ্যক্ষ হিসাবে সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের নিরপেক্ষতা প্রশ্নাতীত ছিল না। একটা উদাহরণ দিই। তখন লোকসভার সাংসদ সুশীল মোদী একটি বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সংযুক্ত জনতাদলের প্রভুনাথ সিংও একই বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তখন তিনি বলতে দেননি। তার প্রেক্ষিতে সুশীল মোদী বলেছিলেন, “আপনি আজও পলিটব্যুরো সদস্যের মতো আচরণ করছেন।” তবে এই সব ঘটনা চিরস্থায়ী থাকেনি।

কোনও কোনও সময় ছোটখাটো বিষয় নিয়ে বিতর্ক থাকে। এটাও ঠিক যে বিরোধীরা চান তাঁরা সংসদে বেশি সময় পান। চাহিদামতো সময় না পেলে তাঁরা প্রশ্নও তোলেন। তবে এ সব প্রসঙ্গ চিরস্থায়ী হয় না। সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় কাজ দেখুন, তাঁর জীবন দেখুন। ছোটখাট বিষয়গুলিকে দলীয় রাজনীতির দৃষ্টিভঙ্গি থেকে না দেখাই ভালো বলে আমার মনে হয়।

তাঁর চলে যাওয়ায় রাজনীতিতে একটি যুগের অবসান ঘটল। আমি গভীর ভাবে শোকাহত। আমি চাইব আগামী প্রজন্ম যাঁরা রাজনীতিতে আসছেন, তাঁরা শুধু বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা না করে সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের জীবন অনুসরণ করুন, অনেক কিছু শিখতে পারবেন। তাঁরা সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবেন বলে আমি মনে করি।

If you have a story that looks suspicious, please share with us at factcheck@intoday.com or send us a message on the WhatsApp number 73 7000 7000

Writer

RITESH TIWARI RITESH TIWARI @iamritesht

The writer is the state secretary of BJP, West Bengal.

Comment