'ওমারতা'র চরিত্রটির সঙ্গে রাজকুমার রাও কেন নিজেকে খাপ খাওয়াতে পারেননি?
ড্যানিয়েল পার্ল ও বিদেশি পর্যটক অপহরণে যুক্ত পাক বংশোদ্ভূত সেই ব্রিটিশ সন্ত্রাসবাদী
- Total Shares
রণবীর কাপুরের যেমন আয়ান মুখোপাধ্যায় আছে তেমন সঞ্জয় লীলা বনশলী আছে রণবীর সিংয়ের জন্য। আবার রাজকুমার রাওকে দৃঢ় ও চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ করে দেন হংসল মেহতা। জাতীয় পুরস্কার পাওয়া অভিনেতা আর পরিচালক আবার জুটি বেঁধেছেন তাঁদের পরের সিনেমা 'ওমরতা' ছবিতে, যেটি এ মাসের ২০ তারিখ মুক্তি পেতে চলেছে। মেহেতার সম্পর্কে বলতে গিয়ে রাও বলেন, “শাহিদ (২০১৩) ছবিটির সময় হংসল মেহতা ঠিক যেমনটা ছিলেন আজও তিনি ঠিক সেই একই মানুষ রয়েছেন, এতটুকুও বদলাননি, এবং আমার মনে হয়ে আমার ব্যাপারেও তিনি এই একই কথা বলবেন। আমরা একে অপরকে এখন আগের চেয়েও ভালো বুঝি। তাই একসঙ্গে সিনেমা করলে দুজনেরই বেশি আয় হবে।"
সিনেমাটি পাক বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ সন্ত্রাসবাদী আহমদ ওমর সৈয়দ শেখ, যিনি সাংবাদিক ড্যানিয়েল পার্ল ও ভারতে বিভিন্ন বিদেশি পর্যটকদের অপহরণের মতো বড় ধরণের সন্ত্রাসের সঙ্গে যুক্ত। এই প্রথমবার রাজকুমার রাও কোনও নেতিবাচক ভূমিকায় অভিনয় করবেন এবং সেটি ওমারতা ছবিতে।
অনেকসময় হিংসাত্মক ঘটনা ঘটানোর নেপথ্যে কোনও কারণ থাকে, কিন্তু রাজকুমার রাও এমন এক চরিত্রে অভিনয় করছেন যেখানে তিনি ওই সন্ত্রাসবাদী চরিত্রের মধ্যে মানবিকতার কোনও লেসমাত্র পাননি। রাজকুমার বলেন, “যদিও তাঁরও একটা পরিবার আছে, বাবা আছেন ও স্ত্রী আছেন, তবুও তিনি যে কাজ করছেন সেগুলো ছিল অত্যন্ত অমানবিক। ওই ধরনের কাজের কথা আমরা ভাবতেই পারি না।" রাজকুমার তাঁর অভিনীত আর একটি ছবি, যাতে তিনি শাহিদ আজমির ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন, সেই চরিত্রটির তুলনা টানেন। শাহিদ আজমি পেশায় ছিলেন একজন উকিল, যিনি এক্কেবারে একটা উল্টো পথ বেছে ছিলেন। রাজকুমার বলেন, "শাহিদের মতো ওমরও সমস্যার মধ্যে ছিলেন কিন্তু সেই সমস্যাগুলোকে সমাধান করার জন্য একজন ব্যক্তি কোন পথ বেছে নেবেন সেটা তাঁর উপর নির্ভর করছে।"
একজন সন্ত্রাসবাদীর জীবনভিত্তিক বলে 'ওমারতা' সিনেমাটা একটু আলাদা। উনি কোনও গুন্ডাদলের সর্দার নন, ওঁর চরিত্রটা পুরোপুরিই অন্ধকারময়, নেতিবাচক।

রাজকুমার বলেন, "সিনেমায় যা দেখান হয়েছে আসলে ঠিক সেটাই আমাদের সমাজের সত্যি, তাই ছবিটি প্রাসঙ্গিক।" তিনি বলেন সন্ত্রাসের উদ্দেশ্যে পৃথিবীর নানা জায়গা থেকে কত অল্প বয়সী ছেলেরা জঙ্গি সংগঠন আইসিসে যোগ দিচ্ছে।
“কেন এমনটা হচ্ছে সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেতে হবে আমাদের।”
'সিটিলাইটস' ও 'আলিগড়'-এর মতো তাৎপর্যপূর্ণ ছবি বানালেও ছবির সেটে কিন্তু রাও-মেহতা জুটি চুটিয়ে মজাও করেন। “আমাদের মধ্যে যে বোঝাপড়াটা আছে তার ফলে হয়ত আমাদের কাজটা সহজ হয়ে যায়, কিন্তু একটা ভালো ছবি তৈরি করার সময় মানসিক চাপ সবসময়ই থাকে। আমার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জটা হল নতুন কিছু করে দেখাবার, কারণ পরিচালক হিসেবে উনি আমার সব ধরণের কাজই মোটামুটি দেখেছে ফেলেছেন।"
(সৌজন্য মেল টুডে)

