ফ্যাক্ট চেক: নাসা কি এলিজা কারসনকে মঙ্গল গ্রহে পাঠানোর প্রশিক্ষণ দিচ্ছে?
নাসার মঙ্গল অভিযান নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়
- Total Shares
আমেরিকার কিশোরী এলিজা কারসন মঙ্গলগ্রহ অভিযানে যোগদান করার ইচ্ছাপ্রকাশ করে কিছুদিন আগেই ছিলেন খবরের শিরোনামে।
এরই মধ্যে সম্প্রতি বেশ কিছু ফেসবুক পোস্টে দাবী করা হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় মহাকাশ সংস্থা নাসা (ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) এলিজা কারসনকে নভোশ্চর হওয়ার প্রশিক্ষণ দিচ্ছে এবং মঙ্গল গ্রহে প্রথম মানব অভিযানেও সামিল হবেন কারসন।

ভাইরাল সেই পোস্টের এক অংশে লেখা হয়, "মঙ্গল গ্রহে গিয়ে পৃথিবীতে আর ফিরে আসবে না যে মেয়েটি, তিনি হলেন এলিজা কার্সন, নাসার কনিষ্ঠতম সদস্য। এই মেয়ের আগ্রহ, তৃষ্ণা আর ডেডিকেশন দেখে মাত্র ১১ বছর বয়সে নাসা তাকে মনোনীত করে নেয় এবং ঘোষণা করে যে -সমস্ত অবস্থা অনুকূল হলে সে হবে ২০৩৩ সালে মঙ্গলে যাওয়া পৃথিবীর প্রথম মানুষ।এখন তার বয়স ১৭। যেহেতু সে মঙ্গলে গেলে ফিরে আসার সম্ভাবনা খুবই কম তাই নাসার কাছে সে কোন প্রকার যৌনতা, বিয়ে বা সন্তানধারণের নিষেধাজ্ঞাপত্র তে সাক্ষর করেছে। ভাবতে অবাক লাগে, মানুষের স্বপ্ন কত বড় হতে পারে!! এলিজা জানে যে, সে আর ফিরে আসবেনা এই পৃথিবীতে, আর মাত্র ১৪/১৫ বছর পরে একমাত্র নিঃসঙ্গ মানুষ হিসেবে কোটি কোটি মাইল দূরের লোহার লালচে মরিচায় ঢাকা প্রচন্ড শীতল নিষ্প্রাণ গ্রহের ক্ষীয়মাণ নীল নক্ষত্রের নিচে হারিয়ে যাবে। সেই একা হারিয়ে যাওয়া তার কাছে কত বড় আনন্দ!! সেই আনন্দের কাছে পৃথিবীর এসব সাজানো সংসার প্রেম সন্তানাদি এসবের আনন্দ নির্বিঘ্নে বিসর্জন দিয়ে যাচ্ছে।"
এখানে সেই পোস্টগুলিকে আর্কাইভ করা হয়েছে।
ইন্ডিয়া টুডের অ্যান্টি-ফেক নিউজ ওয়ার রুম (আফয়া) অনুসন্ধানে দেখে, ভাইরাল এই পোস্টের দাবীটি বিভ্রান্তিকর।নাসার দ্বারা অনুষ্ঠিত বিভিন্ন মহাকাশ গবেষণা সম্পর্কিত ক্যাম্পে এলিজা কারসন যোগদান করলেও নাসা তাকে নভোশ্চর হওয়ার প্রশিক্ষণ দিচ্ছে না অথবা তাকে মঙ্গল গ্রহের মানব অভিযানেও সামিল করার কোনো পরিকল্পনা নেই নাসার।
মহাকাশ অভিযানে অত্যুৎসাহী মার্কিন এই কিশোরীর বিষয়ে প্রকাশিত বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ছোটবেলা থেকেই মহাকাশচারী হবার স্বপ্ন দেখেন এলিজা কারসন।সেই স্বপ্নের শরিক হতে তিনি নাসার তরফ থেকে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন ক্যাম্পে যোগদান করেন।
এলিজাই প্রথম ব্যক্তি হিসেবে এতো কম বয়েসে নাসার ১৪ টি দর্শনার্থী কেন্দ্র যাওয়ার ও ঘুরে দেখার সুযোগ পেয়েছেন।এছাড়াও "মার্স ওয়ান" নামের এক বেসরকারি সংস্থা তাকে তাদের সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর করে।
মঙ্গল গ্রহে যাবার ব্যাপারে এলিজা অত্যন্ত উৎসাহিত হলেও নাসার তরফ থেকে জানানো হয় তারা এলিজাকে মহাকাশচারী হওয়ার কোনো প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন না।
২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক ফ্যাক্ট চেকিং ওয়েবসাইট "স্নোপ্স"কে নাসা জানায়, মঙ্গলগ্রহের মানব অভিযানে এলিজাকে সামিল করার কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই।
এলিজাকে নিয়ে নাসার ওয়েবসাইটে প্রতিবেদন বেরোলেও সেখানে কোথাও নাসার তরফ থেকে এলিজার মহাকাশচারী হওয়ার প্রশিক্ষণ দেওয়া অথবা তাকে মঙ্গল গ্রহে পাঠানোর বিষয়ে নাসার পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করা হয়নি।
এর থেকে বলা যেতে পারে, এলিজা কারসনকে নিয়ে করা ভাইরাল এই ফেসবুক পোস্টের দাবীটি বিভ্রান্তিকর।
JHOOTH BOLE KAUVA KAATE
The number of crows determines the intensity of the lie.
- 1 Crow: Half True
- 2 Crows: Mostly lies
- 3 Crows: Absolutely false

