মমতার চোট: প্রশান্ত কিশোর একই নির্বাচনী স্ট্রাটেজি বারংবার ব্যবহার করেননি
দাবি, অন্ধ্রে জগন ও দিল্লিতে কেজরিওয়ালের ক্ষেত্রে একই স্ট্রাটেজি ব্যবহৃত হয়েছিল
- Total Shares
নন্দীগ্রামে প্রচারে গিয়ে আহত হওয়া ইস্তক মমতা ব্যানার্জিকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে জোর তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছে। তাঁর কি সত্যি সত্যিই চোট লেগেছে, নাকি তিনি 'নাটক' করছেন - এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া দু'ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে।
বি.জি.পি. ওয়েস্ট বেঙ্গল নামের ফেসবুক পেজে এই সংক্রান্ত একটি পোস্ট লোরে দাবি করা হয়েছে, "পি.কে. (পড়ুন প্রশান্ত কিশোর) নির্বাচনী স্ট্রাটেজির অঙ্গ এরকমই। যেখানেই তাঁকে নিযুক্ত করা হয়েছে সেখানেই মুখ্যমন্ত্রীরা আহত হয়ে পড়েন। এর আগে, ২৫/১০/২০১৯-এ অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী জগন মোহন রেড্ডি আহত হয়েছিলেন এবং ০৫/০৫/২০১৯-এ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল আহত হয়েছিলেন।"

এখানে পোস্টটির আর্কাইভ দেখতে পাবেন।
ইন্ডিয়া টুডের অ্যান্টি-ফেক নিউজ ওয়ার রুম (আফয়া) অনুসন্ধান করে দেখেছে এই পোস্টের দাবি বিভ্রান্তিকর।
তদন্তে, দেখা যাচ্ছে বিশাখাপত্তনম বিমানবন্দরে জগনমোহন রেড্ডির উপর যে হামলা হয়েছিল তা ২০১৯ সালে হয়নি। ২০১৮ সালের ২৫শে অক্টোবর হয়েছিল। খবরের প্রকাশ, রেড্ডি যখন হায়দরাবাদ-গামী বিমান ধরতে বিমানবন্দরে পৌঁছান তখন বিমানবন্দরের একটি রেস্তোরাঁয় কর্মরত জনৈক জে শ্রীনিবাস রাও তাঁর সঙ্গে সেলফি তোলার আর্জি জানিয়েছিলেন। জগন রাজিও হয়েছিলেন। সেই সময় জগনকে ছুরি দিয়ে আঘাত করেন এই ব্যক্তি।
প্রসঙ্গত, সেই সময় প্রশান্ত কিশোরকে পরামর্শদাতা হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু জগনমোহন রেড্ডি তখন অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন না। এই ঘটনার আরও ছ'মাস বাদে একই সঙ্গে লোকসভা ও বিধানসভা ভোট অনুষ্ঠিত হয় অন্ধ্রপ্রদেশে। সেই বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করে প্রথমবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন রেড্ডি।
অন্যদিকে, পোস্টে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের উপর যে হামলার কথা বলা হচ্ছে সেই ঘটনাটি ৫ই মে ২০১৯ সালে হয়নি, ৪ই মে হয়েছিল। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তিনি দিল্লির মতি নগর এলাকায় প্রচার করছিলেন। সেই সময় এক ব্যক্তি তাঁর গাড়ির উপরে উঠে এসে তাঁকে থাপ্পড় মারেন।
কিন্তু, এই ঘটনাটির সময় প্রশান্ত কিশোর আম আদমি পার্টির সঙ্গে যুক্ত হননি। এই ঘটনার প্রায় ছ'মাস বাদে ১৪ই ডিসেম্বর ২০১৯ সালে দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে কিশোর আম আদমি পার্টির সঙ্গে যুক্ত হন।
পরিশেষে আরও একটি উল্লেখযোগ্য বিষয়ে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও জগন মোহন রেড্ডি কিন্তু হাসপাতলে ভর্তি হননি। এই দুটি ঘটনায় সামান্য চোট পেয়েছিলেন এই দু'জন।
সুতারং বলা যেতেই পারে ফেসবুকের এই দাবি বিভ্রান্তিকর।
JHOOTH BOLE KAUVA KAATE
The number of crows determines the intensity of the lie.
- 1 Crow: Half True
- 2 Crows: Mostly lies
- 3 Crows: Absolutely false

