ক্ষমতায় আসার পর নয়, বিরোধী থাকাকালীন থানাতে হানা দিয়েছিলেন সোনালি
দাবি, ক্ষমতায় থাকার সময় পুলিশ অফিসারকে কটাক্ষ করেছিলেন সোনালী গুহ
- Total Shares
বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন পরিচিত প্রার্থী টিকিট পাননি। তাদের মধ্যে অন্যতম রাজ্যের প্রাক্তন ডেপুর্টি স্পিকার তথা সাঁতগাছিয়ার বিধায়ক সোনালি গুহ। স্বভাবতই , তাঁকে নিয়ে সরগরম সোশ্যাল মিডিয়া।
প্রমোদ চক্রবর্তী নামের এক ফেসবুক ব্যবহারকারী সম্প্রতি এই সোনালি গুহকে নিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। ভিডিওটিতে দুটি আলাদা ভিডিওর ফুটেজ দেখা যাচ্ছে। এর মধ্যে প্রথম ফুটেজে সোনালি গুহকে একজন পুলিশ অফিসারকে শাসন করতে দেখা যাচ্ছে। দ্বিতীয় ফুটেজে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন তিনি। ভিডিওতে দাবি করা হচ্ছে, প্রথম ফুটেজটি যখন সোনালি গুহ ক্ষমতায় ছিলেন তখনকার। দ্বিতীয়টি, ক্ষমতা হারাবার পরের।
এখানে ভিডিওটির আর্কাইভ দেখতে পাওয়া যাবে।
ইন্ডিয়া টুডের অ্যান্টি-ফেক নিউজ ওয়ার রুম (আফয়া) অনুসন্ধান করে দেখেছে এই পোস্টের দাবি বিভ্রান্তিকর।
তদন্তে নেমে আমরা প্রথমে দেখতে পাই, প্রথম ভিডিও ফুটেজটির উপর ২৫শে নভেম্বর ২০০৮ সাল লেখা রয়েছে। ভিডিওটি এবিপি আনন্দের। আমরা এরপর মূল ভিডিওটির খোঁজ শুরু করি। দেখা যায়, সম্প্রতি এবিপি আনন্দ 'সোনালি ইতিহাস' নামের একটি সংবাদে সেই ফুটেজটি ব্যবহার করেছে। সেখানেও, ২৫শে নভেম্বর ২০০৮ তারিখটি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে।
২০০৮ সালে তৃণমূল সরকার গঠন করেনি। পশ্চিমবঙ্গের শাসন তখনও বামফ্রন্টের হাতে। ২০১১ সালের বিধাসভা নির্বাচন জয়ের পরে তৃণমূল সরকার গঠন করেছিল।
এরপর, আমরা ঘটনাটি ঠিক কি ঘটেছিল তা জানতে 'কিওয়ার্ড সার্চ' করি। দেখা যাচ্ছে, পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে সেদিন সদলবলে দক্ষিণ ২৪ পরগণার নোদাখালি খানাতে গিয়েছিলেন সোনালি। খবরেরপ্রকাশ, ২০শে নভেম্বর গণপিটুনিতে একজনের মৃত্যু হয়েছিল। কিন্তু অভিযুক্তরা শাসকদলের কর্মী বলে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করছে না - এই অভিযোগে সেদিন থানাতে হানায় দিয়েছিলেন সোনালি।
এর পরে, এই বিষয়ে বিধানসভার প্রশ্ন তুলেছিলেন তৎকালীন বামফ্রন্ট বিধায়ক রবিন দেব।
সুতারং, বলা যেতেই পারে এই ফেসবুক পোস্টের দাবি বিভ্রান্তিকর।
JHOOTH BOLE KAUVA KAATE
The number of crows determines the intensity of the lie.
- 1 Crow: Half True
- 2 Crows: Mostly lies
- 3 Crows: Absolutely false

