দূষণ থেকে ফুসফুস বাঁচাতে খান আতা

ফুসফুস পরিষ্কার রাখে, মধুমেহর আশঙ্কা কমায়

 |  2-minute read |   28-11-2017
  • Total Shares

পরিবেশ দূষণ থেকে নিজের শরীরকে রক্ষা করতে খান আতা। আতায় প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন বি৬ আছে যা দূষিত বায়ুর প্রভাবে আপনার শ্বাসনালীর ফুলে যাওয়া রোধ করে।একই সঙ্গে হাঁপানিও নিরাময় করে। আতা খেয়ে আমরা আমাদের ফুসফুস পরিষ্কার রাখতে পারি।

তার আগে এই সুস্বাদু ফলটিকে কেন্দ্র করে প্রচলিত গল্পগুলো শুনে নেওয়া যাক। অনেকেই মনে করেন যে মিষ্টি বলে আতায় প্রচুর পরিমাণ ক্যালরি আছে। অর্থাৎ, ওজন বাড়তে পারে। এই যুক্তিটি একেবারেই ভুল। প্রতি ১০০ গ্রাম আতায় মাত্র ১০০ ক্যালরি থাকে। আতার অন্যান্য গুনের তুলনায় যা নেহাতই নস্যি।

বরং, মিষ্টি স্বাদটাই তো আতার সেরা আকর্ষণ। যে কোনও ডেজার্টে আতা ব্যবহার করে দেখুন। এনার্জি একই পাবেন, অথচ অন্য কোনো উপকরণ দিয়ে তৈরী ডেজার্টের থেকে অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। আতাতে প্রচুর পরিমান বীজ থাকে। হুড়োহুড়ি করে খাওয়া যায় না । ধীরে সুস্থে, আস্তে আস্তে খেতে হয়।শুধুমাত্র দূষণ থেকে মুক্তি পেতেই নয়, আতা আরও অনেক কারণেই উপকারী। আতায় সোডিয়াম বা কোলেস্টরল নেই। কিন্তু বিভিন্ন ধরণের পুষ্টিগুণ (নিউট্রিয়েন্ট) রয়েছে। আতাতে ভিটামিন বি৬,বি১ ও বি২ পাওয়া যায়। এছাড়াও, দস্তা (জিঙ্ক), আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম ও তামা (কপার) রয়েছে।

body_112817021059.jpg[ছবি: মম জংশন]

ফুসফুস ছাড়া, ভিটামিন বি৬ কিন্তু স্নায়ুতন্ত্রের জন্য খুব উপকারী। আতা নিউরো-ট্রান্সমিটার নামে একটি যৌগ উৎপাদন করতে সাহায্য করে যা আমাদের মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য অত্যন্ত দরকারি।

এছাড়াও বি৬ রক্তে লাল হিমোগ্লোবিন পরিমাণ বাড়ায়। অর্থাৎ, রক্তাল্পতার (অ্যানিমিয়া) নিরাময়ও আতা খুব উপকারী। সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আতা খেলে মানুষের মন ভালো থাকে। আতা শরীরের হরমোনে সেরোটোনিন, নোরেপি-নেফারিন ও মেলাটোনিন সঞ্চার করে যার জন্য মানুষের মানসিক অবসাদ কমে এবং ভালো ঘুম হয়।

আতা ভিটামিন এ-তেও ভরপুর। তাই আতা খেলে চুল ও ত্বক ভালো থাকে। শুষ্ক ত্বকের সমস্যায় আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং ত্বকের বলিরেখা কমায়। ত্বকের পিগমেন্টেশনের এবং বাদামী ছোপ কমাতেও আতা খুব উপকারী।ভিটামিন সি থাকার দরুণ আতা বিভিন্ন লাইফস্টাইল রোগের হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করে এবং রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়। আতাতে ক্যান্সারও রোধ করা যায় বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। আতার পটাসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, ম্যাগনেসিয়াম হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করে।

প্রতি ১০০ গ্রাম আতায় প্রায় ২.৪ গ্রাম ফাইবার থাকে। তাই আতা খেলে ডায়াবেটিসের আশঙ্কা কমে যায়। একই সঙ্গে আতা রক্তে শকরা পরিমাণ ঠিকঠাক রাখতে সাহায্য করে।তাই আতা খান আর নিজেকে সুস্থ রাখুন।

If you have a story that looks suspicious, please share with us at factcheck@intoday.com or send us a message on the WhatsApp number 73 7000 7000

Writer

KAVITA DEVGAN
Comment