সিগারেট ছাড়তে না পারলে বেশি করে কাঁচা আনাজ, ফল, দুধ ও জল খান
ধূমপায়ীরা কোনও কারণ ছাড়াই নানা রকম ব্যথা-বেদনায় ভোগেন
- Total Shares
সুস্থ থাকার জন্য সবুজ শাক-সবজি খাওয়া ঠিক কতটা উপকারী সেই বিষয় নিয়ে সম্প্রতি গবেষণা করতে গিয়ে সর্ষে শাকের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানতে পারি।
এছাড়া সর্ষে শাকের আর একটা খুব বড় গুণ হল যাঁরা ধুমপান করেন তাঁদের ফুসফুসের কোনও জায়গায় ফুলে গেলে তা রোধ করে এবং মাত্রাতিরিক্ত ধূমপান করলে এমফিসিমার আশঙ্কা কম করে। যাঁরা অতিরিক্ত ধূমপান করেন অনেক সময় তাঁরা প্রচণ্ড স্বাসকষ্টে ভোগেন একেই এমফিসিমা বলা হয়।
যাঁরা ধূমপান করেন তাঁদের ঠিক কী ধরণের পুষ্টিকর খাবারদাবার খাওয়া উচিৎ সেই সম্পর্কে দু'এক কথা।
বেশ কয়েকটি খাবারে এমন গুণ আছে যাতে ধূমপানের ক্ষতি কিছুটা লঘু হয়
গবেষণা করে জানতে পারি এমন অনেক খাবারদাবার আছে যেগুলো খেলে যাঁরা ধূমপান করেন তাঁরা ধূমপানের সম্ভাব্য ক্ষতির হাত থেকে অনেকটাই রেহাই পেতে পারেন।
ধূমপান ছাড়ার কোনও বিকল্প নেই। তবে এই খাবারগুলো খেলে যাঁরা ধূমপান করেন তাঁরা বেশ কিছুটা হলেও ক্ষতির হাত থেকে মুক্ত রাখতে পারবেন নিজেদের। কী ধরণের খাবার খাওয়া যেতে পারে এই তালিকাতে দেওয়া হল:
সবজির মধ্যে প্রত্যেকদিন ক্যাল, ব্রকোলি, ফুলকপি, বাঁধাকপি, কলমিশাক ও মূলো খাওয়া খুব ভালো। এই খাবারগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ইসথিওক্যানাট (isothiocyanates) রয়েছে।
যাঁরা অতিরিক্ত ধূমপান করেন তাঁদের ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা থাকে
কেন খাবেন এই খাবার? যাঁরা অতিরিক্ত ধূমপান করেন তাঁদের ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তাই যে সব খাবার থেকে প্রাকৃতিক ভাবে ইসথিওক্যানাট পাওয়া যায় সেগুলোর খেলে ক্যান্সারের আশঙ্কা কম হয়।
যাঁরা ধূমপান করেন তাঁরা অনেক সময় কোনও রকম কারণ ছাড়াই নানা রকম ব্যথা-বেদনায় ভোগেন।
যদিও এটা বোঝা খুব একটা কষ্টকর নয়, কারণ যাঁরা ধূমপান করেন তাঁদের শরীর অনেক সময় পুষ্টি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থেকে বঞ্চিত হয়। এর ফলে তাঁদের শরীরের পুষ্টির ঘাটতি থেকে যায়, যার ফলে ভবিষ্যতে তাঁদের নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়।
যথেষ্ট পরিমাণে ডিম, দুধ, দই ও প্রচুর পুষ্টিগুণ সম্পন্ন শস্য খাওয়া উচিৎ
যাঁরা ধূমপান করেন তাঁদের শরীরে ভিটামিন বি ১২-এর মাত্রা অনেক কম থাকে বলে ব্যথা-বেদনা হয়। শরীরে ভিটামিন বি-এর পরিমাণের সঙ্গে ধূমপানের একটা পরোক্ষ সম্পর্ক রয়েছে।
ধূমপান শরীরে টক্সিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় যা শরীরে পুষ্টির ঘাটতি তৈরি করে।
তাই ধূমপান করলে শরীরে বি ১২-এর মাত্রাটা ঠিকঠাক ভাবে বজায় রাখতে হয়। তাই যথেষ্ট পরিমাণে ডিম, দুধ, দই ও প্রচুর পুষ্টিগুণ সম্পন্ন শস্য খাওয়া উচিৎ। আর যদি এই সব খাবার খাওয়া সম্ভব না হয় তাহলে এইসব খাবারের বিকল্প কোনও খাবার খাওয়া উচিৎ।
মাছ, মাংস, আলু ও শস্য যাতে প্রচুর পরিমাণে বি-৬ রয়েছে সেই সব খাবার খাওয়া উচিৎ।
আবার বি৯ সমৃদ্ধ খাবার যেমন নানা ফল, পাতাসহ শাকসব্জি, শুকনো বিন, বিভিন্ন ডাল ও ব্রকোলিও খাওয়া খুব ভালো।
বাদাম, শস্য, মাছ ও মাংসে মিথিওনিন নামক অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে যা ফুসফুসকে ভালো রাখে
সবাই জানান যে ধূমপানের ফলে কারসিনোজেন শরীরে ভিটামিন এ-র অভাব তৈরি করে। তাই যাঁরা ধূমপান করেন তাঁদের সর্ষে শাক খাওয়া উচিৎ কারণ এতে কেরোটিনয়েড থাকে।
পালপিটে(Pulpit) প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে, যা অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্ট দূর করে এবং যাঁরা ধূমপান করেন তাদের ফুসফুসও ভালো রাখে।
কুমড়, ভুট্টা, লাল ক্যাপসিকাম, ট্যানজেরিন, কমলালেবু ও পিচ জাতীয় ফলে প্রচুর ভিটামিন এ রয়েছে।
কুমড়ো ও গাজরে প্রচুর মাত্রায় বিটাক্রাইপটজানথিন (betacryptoxanthin) রয়েছে। দেখা গেছে কমলালেবুর ক্যারোটিনয়েড ফুসফুসের ক্যান্সারের আশঙ্কা কম করতে সাহায্য করে।
ধূমপান করলে শরীরে যে ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হয় সেটাকে অনেকটাই প্রশোমিত করে টক জাতীয় ফল। তাই আমলকি, লেবু, আনারস ও পেয়ারায় যাতে ভিটামিন সি থাকে, সেগুলো খাওয়া উপকারী। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ধূমপান করলে শরীরে যে ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হয় সেটাকে অনেকটাই প্রশমিত করে টক জাতীয় ফল।
গবেষণায় দেখা গেছে দীর্ঘ ধূমপানের ফলে হৃদপিণ্ড ও ফুসফুসের স্থিতিস্থাপকতা কিছু হলেও নষ্ট হয়। তাই ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার খেলে হৃদপিণ্ড, ফুসফুস ও ধমনী ভালো থাকবে। তাই খাবারে যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন জাতীয় খাবার যেমন - বাদাম, ডিম ও গম জাতীয় খাবার প্রত্যেকদিন খাওয়া উচিৎ।
বাঁধাকপি জাতীয় সমস্ত আনাজেই ভিটামিন সি, ভিটামিন ই এবং বিটা ক্যারোটিন অর্থাৎ ভিটামিন এ রয়েছে।
পেঁয়াজ ও রসুনে গন্ধক (সালফার) থাকে। শ্বাসের ও ফুসফুসের সমস্যাকে কম করে গন্ধক
চা, কালো আঙ্গুর, কালোজাম ও ডার্ক চকলেটে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কেটেসিন রয়েছে।
বাদাম, শস্য, মাছ ও মাংসে মিথিওনিন নামক অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে যা ফুসফুস ভালো রাখে।
পেঁয়াজ ও রসুনে গন্ধক (সালফার) থাকে। শ্বা স ও ফুসফুসের সমস্যাকে কম করে গন্ধক।
পেঁয়াজ, বিন ও আপেলে কোয়ার্সেটিন থাকে যা আমাদের ফুসফুসকে সতেজ রাখে। এটি একটি ফ্লাভোনল (flavonol)।
ডালিমে ইলাজিক অ্যাসিড রয়েছে যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সারের আশঙ্কা কম করে
ক্র্যানবেরিতে এমন কিছু জিনিস আছে যা ফ্লু ও অন্যান্য অনেক রোগজীবাণু যা ফুসফুসকে সংক্রমণ করতে পারে সেই সব জীবাণুগুলোকে প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
ডালিমে ইলাজিক অ্যাসিড রয়েছে যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সারের আশঙ্কা কম করে, এবং শরীরের বিভিন্ন অংশ বিশেষত ফুসফুসের কোষের ক্ষতি মেরামত করতে সহায়তা করে।
সবজির মধ্যে প্রত্যেকদিন ক্যাল,ব্রকোলি,ফলকপি,বাঁধাকপি, কলমিশাক ও মূলো খাওয়া খুব ভালো
যাঁরা ধূমপান করেন তাঁদের পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া উচিৎ, এর ফলে শরীর সম্পৃক্ত থাকে এবং প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে নিকোটিন বেরিয়ে যায়।

