ক্যালরির পিছনে না ছুটে পুষ্টির খোঁজ করুন
পাতে থাকুক প্রোটিন-ভিটামিন-মিনারেল
- Total Shares
পুষ্টি দরকারি, খুবই দরকারি
কী ভাবে শক্তি জোগায়
আসুন, পুষ্টি নিয়ে আমরা সচেতন হই।
বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার মধ্যে অন্যতম হল শরীরে অতিরিক্ত ওজন এবং অতিরিক্ত মেদ যা থেকে জীবনহানিরও আশঙ্কা রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৪ সালে ৩৯ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক (৩৮ শতাংশ পুরুষ ও ৪০ শতাংশ মহিলা ) ভুগছিলেন বাড়তি ওজনের সমস্যায়। গত তিন বছরে এই সংখ্যা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে।এই অতিরিক্ত মেদের সমস্যা থেকেই ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের মতো বিভিন্ন কঠিন রোগের সূত্রপাত।

একটা কথা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে আজকাল অসুস্থ থাকাটাই যেন রেওয়াজ হয়ে উঠেছে। দুঃখের বিষয়, আমাদের চারপাশে এত কিছু দেখেও আমাদের টনক নড়ে না।
এর থেকে মুক্তি পাওয়ার মাত্র একটিই উপায় আছে, খাদ্য তালিকাটা বদলে ফেলা। উপযুক্ত পরিমাণে পুষ্টি এই সমস্যার সমাধান করে দিতে পারে।
তালিকা বদলে ফেলা মানে আমি পরিমিত আহার, বিশেষ করে উপযুক্ত পুষ্টির কথা বলতে চাইছি। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ এর উপর আমাদের জীবনযাপনের গুণমান ও আমাদের আয়ু নির্ভর করে।
ঠিকঠাক খাবার না খাওয়ার জন্যই যে আজ আমাদের স্বাস্থ্যের এই হাল, এটা আমাদের মেনে নেওয়ার সময় এসেছে। খাবারের তালিকা ঠিকঠাক না হওয়ার জন্যই আমাদের স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছে। নিজের দোষ ঢাকতে আপনি যদি সরকার বা আপনার চারপাশের দূষণকে দোষারোপ করেন কিংবা নিজের অফিসের বসকে আপনার স্বাস্থ্যহানীর জন্যে দায়ী করেন তা হলে লাভ কিছুই হবে না। উল্টে আপনি আপনার পাতের দিকে নজর দিলে আপনি সুস্থ থাকবেন।
বুঝতে পারছেন তো ঠিকমতো খাওয়া দাওয়া করলে আখেরে লাভ হবে আপনারই।

পুষ্টির দিকে মনোনিবেশ করা যাক
আমার কাছে ভালো থাকার দাওয়াই একটাই। পুষ্টির দিকে মনোনিবেশ করুন। বাকি সমস্ত কিছু এমনি এমনি হয়ে যাবে। এবং এই পুষ্টিসাধন ছাড়া আপনি এমনি শারীরিকভাবে অক্ষম হয়ে পড়বেন। ধরুন আপনি রক্তাল্পতায় ভুগছেন। তার মানে আপনি অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়বেন এবং কোন রকম শারীরিক অনুশীলন করবেন না। নিট ফল, খুব দ্রুত আপনার ওজন বেড়ে যাবে।
একই ভাবে আপনি যদি কার্বোহাইড্রেট বিহীন আহারের পক্ষপাতী হন তাহলে আপনি ভিটামিন বি -র অভাব বোধ করবেন। এই ভিটামিন বি কিন্তু আপনার শরীর থেকে অতিরিক্ত মেদ কমাতে সাহায্য করে। তার মানে, কার্বোহাইড্রেট বিহীন আহার মানে আপনার ওজন বৃদ্ধি। আরো একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনার শরীর যদি পরিমিত পুষ্টি না পায় তাহলে শরীরে যা ঢুকবে তাই শরীর ধরে রাখবার চেষ্টা করবে। এই বিষয়টিও কিন্তু আপনার ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে।

তাহলে, আমাদের কি করা উচিত? শুধুমাত্র ক্যালোরির কথা চিন্তা করা ছেড়ে দিন। বরঞ্চ, পরিমিত পুষ্টির দিকে নজর দিন। খেতে বসার সময় দেখে নিন যেন আপনার থালায় শুধু মাত্র ক্যালোরি রয়েছে কিনা। চেষ্টা করুন আপনার আহারে যেন প্রোটিন, ভিটামিন ও মিনারেল পরিমিতভাবে থাকে। ভুলভাল খাবারগুলি বাদ দিয়ে পুষ্টিকর আহার আপনার খাদ্য তালিকায় যোগ করুন। ক্যালোরি বিহীন খাবারেও বেশি সময় নষ্ট করার প্রয়োজন নেই। তার চাইতে পুষ্টিকর খাদ্য খুজুন - আনাজ, সবজি, ফল কিংবা দুগ্ধজাত খাদ্য।
একটা কথা মাথায় রাখবেন। আপনি যখন ভালো আহার করবেন তখন খারাপ খাবারগুলি নিজে থেকেই আপনার খাদ্য তালিকা থেকে বাদ চলে যাবে। এটাই কিন্তু ঠিক পদক্ষেপ।
স্বাস্থ্যসম্মত আহার মানে আপনার আয়ু বাড়বে। একই সাথে আপনি সুস্থ থাকবেন।

