নির্বাচনের শেষ প্রহরে ধর্মীয় রাজনীতি ও আঞ্চলিক রাজনীতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে
ভোটের ইস্যুগুলো বেশ পরিষ্কার, আঞ্চলিক দলগুলো নির্বাচনের ভাগ্য গড়ে দেবে
- Total Shares
২০১৯ সালে বেশ কিছু যত্ন ধরনের রাজনৈতিক বিতর্ক ও মতপার্থক্য দেখা যেতে পারে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে দুটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছে - ধর্মীয় রাজনীতি ও আঞ্চলিক রাজনীতি।
ধর্মীয় মেরুকরণ, বিভিন্ন জাতের ভোটারদের তোষণ এবং আঞ্চলিক রাজনৈতিক অঙ্ক - এই তিনটি বিষয়ই আগামী সাধারণ নির্বাচনের মুখ্য ইস্যু হতে চলেছে।
যে প্রশ্নটি সবচেয়ে বেশি করে উঠে আসছে তা হল - মোদী কি এই নির্বাচনের পরেও আরও একবার কি দেশের প্রধানমন্ত্রী থাকবেন? যদি থাকেন, তা হলে কী ভাবে থাকবেন?
এই জটিল পরিস্থিতিতে দেশ জুড়ে ছড়িয়ে থাকা জাতপাতের রাজনীতি করা ছোট ছোট দলগুলো জাতীয় দলগুলোর কাছে মূল্যবান হয়ে উঠবে।
নির্বাচন শেষে কে হবে দেশের প্রধানমন্ত্রী [ছবি: রয়টার্স]
জাতীয় স্তরে বেশ কয়েকটি সমীক্ষায় দেখা গেছে ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছেন রাহুল গান্ধী। কিন্তু রাজ্য রাজনীতিতে এই তত্ত্ব একবারেই যথেষ্ট নয়। রাজ্য রাজনীতিতে অঞ্চলগত ইস্যুগুলো ও জাতপাত ভিত্তিক অঙ্ক নির্বাচনের ভাগ্য গড়ে দেয়। এর মানে, আঞ্চলিক দলগুলোর উপর নির্ভরশীলতা বাড়বে এবং বেশ কয়েকটি নতুন জোট গঠনের সম্ভাবনা প্রবল।
এই জোটগুলো নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। মায়াবতী, শরদ পাওয়ার, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, চন্দ্রবাবু নাইডু, কে চন্দ্রশেখর রাও, অখিলেশ যাদব ও নবীন পট্টনায়কের মতো নেতারা এই জোট রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হয়ে উঠেছেন।
এর মধ্যে অনেকেই এখন বিভন্ন পথ খোলা রেখেছেন। ৮০টি লোকসভা আসন বিশিষ্ট উত্তরপ্রদেশের উপর নজরে এখন স্বভাবতই সবচেয়ে বেশি। নির্বাচন বিশ্লেষকদের অনেকেই মনে করছেন যে মায়াবতী ও অখিলেশ এক সঙ্গে লড়াই করা মানে তাঁদের অনুকূলে ফল ভালোই হবে। উল্টে বেশ প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে বিজেপিকে।
এখনও অবধি অবশ্য এই নেতাদের একজনও নিজেদের পরবর্তী স্ট্র্যাটেজি নিয়ে বিশেষ আলোকপাত করেননি। আঞ্চলিক দলগুলোকে নিয়ে একটি কংগ্রেস-বিরোধী ও বিজেপি-বিরোধী ফেডারেল ফ্রন্ট তৈরি করার জন্য সম্প্রতি কেসিআরের ভূয়সী প্রশংসা করেন অখিলেশ এবং জানিয়েছেন ফেডারেল ফ্রন্ট এবং মহাজোট (যে জোটে কংগ্রেসও রয়েছে) - এই দু'টির মধ্যে তিনি কোনও একটিকে বেছে নেবেন। উল্টোদিকে মায়াবতী এখনও অবধি ঝুলি থেকে তাঁর পরবর্তী বেড়াল বার করতে রাজি নন।
আঞ্চলিক দলগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে [ছবি: পিটিআই]
নির্বাচনের আর মাত্র ১০০ দিন মতো বাকি রয়েছে। এর মধ্যে ভোটের সম্ভাব্য ইস্যুগুলো বেশ পরিষ্কার।
নির্বাচনে হিন্দুত্ব ইস্যু থাকবেই। ডানপন্থী ও উদারপন্থিরা এই বিষয় নিয়ে তাদের সুর চড়াবেন।
ধর্মের নামে অসহিষ্ণুতা ও অগ্রাসন নিয়ে ঝামেলা বাধবেই।
আর এ সবের মাঝেই দলিত অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণী ও সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কের অঙ্ক নির্বাচনের ভাগ্য গড়ে দেবে।
একই সঙ্গে, এই ভোটব্যাঙ্কের অঙ্ক দেশের পরবর্তী সরকার কে গড়বে ও পরবর্তী প্ৰধানমন্ত্ৰী কে হবেন তাও ঠিক করে দেবে।
লেখাটি পড়ুন ইংরেজিতে

