ইসলামি সন্ত্রাস নতুন কিছু নয়, সময়ের সঙ্গে শুধু ধরণটুকুই বদলেছে

কাশ্মীরের ছাত্র-অধ্যাপকরা করদাতাদের টাকায় সুবিধা ভোগ করেন

 |  7-minute read |   26-05-2018
  • Total Shares

বিশ্বের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি গভীর ভাবে পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, সভ্যতার উপরে ভয়ানক বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া (আইসিস)। উত্তর ইরাক ও সিরিয়ার একাংশ দখলে রাখা এই শক্তিই হল দুনিয়ার সবচেয়ে ধনী জঙ্গি সংগঠন। বিশেষজ্ঞদের ধারনা, এদের হাতে তেজস্ত্রিয় পদার্থ আছে যা দিয়ে ভয়ানক বোমা বানিয়েই ফেলা যায়।

আইসিস শুধুমাত্র অ-ইসলাম ধর্মগুলির বিরুদ্ধেই যে জিহাদ (ধর্মযুদ্ধ) ঘোষণা করেছে তা নয়, ইসলাম ধর্মের অন্য এক শাখা শিয়া (যাদের তারা ধর্মদ্রোহী বলে মনে করে)এমনকি আধুনিক সুন্নিদের বিরুদ্ধেও তারা জেহাদ ঘোষণা করেছে। তারা শপথ করেছে পূর্বে ইন্দোনেশিয়া থেকে পশ্চিমে আলজেরিয়া পর্যন্ত তারা খলিফা সাম্রাজ্য স্থাপন করবে। আইসিসের এক নেতা ধরা পড়ার পরে, যে মার্কিন সেনা তাঁকে বন্দি করেছিলেন, তাঁকে বলেন, “আল্লহের ইচ্ছা থাকলে খুব শীঘ্রই তোমার সঙ্গে নিউ ইয়র্কে দেখা হবে।” জঘন্য সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের জন্য আইসিস যথেষ্ট কুখ্যাতি অর্জন করেছে। তাদের অত্যাচারের ধরনের মধ্যে রয়েছে স্কুলপড়ুয়াদের উপরে গুলি চালানো, যাদের বিধর্মী বলে মনে করে জনসমক্ষে তাদের শিরশ্ছেদ করা, ধর্ষণ করে সেই ধর্ষিতাদের মানববোমা হিসাবে ব্যবহার করা প্রভৃতি। আইসিসের অত্যাচারের এ হেন পন্থা চটিয়ে দিয়েছিল ইরান ও পাকিস্তানের আর এক ইসলামি সংগঠন আল-কায়েদাকে।

isisi2_052618084811.jpgপতাকা হাতে আইসিস জঙ্গিরা

পাশ্চাত্যের দুর্নীতিগ্রস্ত পুঁজিবাদী দেশগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য অবশ্য তরুণ প্রজন্মের মুসলমানদের হৃদয়ে সাড়া জাগাতে পেরেছে আইসিস। শুধু মার্কিন মুলুক ও যুক্তরাজ্যের তরুণরাই আইসিসে যোগ দিচ্ছে এমন নয়, বিশ্বের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে থাকা ইসলামি জঙ্গিগোষ্ঠীগুলিও আইসিস নামে এই উগ্র ইসলামিক জঙ্গি সংগঠনের প্রাধান্য মেনে নিচ্ছে। উদাহরণ হিসাবে হামাসের কথা বলা যায়। গাজা ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণে রাখা এই গোষ্ঠীও তাদের সঙ্গে আইসিসের যোগাযোগের কথা স্বীকার করে নিয়েছে। আইসিসের থেকে সূত্র নিয়েই তারা সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের প্রসারে সাইবার প্রযুক্তি ব্যবহার করে এমনকী ইজরায়েলের ওয়েবসাইটও হ্যাক করে।

মেরুদণ্ডের মধ্য দিয়ে রক্তের শীতল স্রোত বইয়ে দেওয়া যে সব ঘটনা কাশ্মীরে ঘটেছে, সেই সব ঘটনার চরিত্রের সঙ্গে আইসিসের মিল রয়েছে। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার ফলে আফগান জেহাদিদের মনের জোর এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল। তাদের মনে হয়েছিল, তারা যদি সোভিয়েত দেশের মতো মহাশক্তিধর দেশের পতন ঘটাতে পারে, তা হলে তারা যে কোনও কিছু করে ফেলতে পারে। ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি মুজাহিদরা কাশ্মীরে কার্যকলাপ শুরু করে। তখন অবশ্য জিহাদি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের পাশে দাঁড়াতে খুব একটা আগ্রহ প্রকাশ করেনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে ৯/১১-র ঘটনা সব সম্পর্ক ও কৌশল বদলে দেয়। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার টুইন টাওয়ার ভেঙে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই সব ধরনের ইসলামিক জঙ্গি কার্যকলাপের বিরুদ্ধে চলে যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

wtc_052618084853.jpgআমেরিকার টুইন টাওয়ার ভেঙে পড়ার দৃশ্য

কাশ্মীর দিয়ে বিচার করলে ১৯৯০-এর দশক ছিল ভারতের কাছে অন্ধকার দশক (ব্ল্যাক ডিকেড)। তখনও কাশ্মীরের মধ্যবিত্ত শিক্ষিত যুবকরা সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের দিকে ঝোঁকেনি। তবে আইসিসের প্রভাবে একবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশকের শেষদিকে শহুরে ও বিশ্ববদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছে এমন তরুণরা এই সশস্ত্র সন্ত্রাসবাদী দলে যোগ দিচ্ছে। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর বিরুদ্ধে গন মিলিশিয়া (পিএলও) যে ভাবে ইট-পাথর ছোড়ে, সেই কায়দাতেই নিজেদের পালানোর পথ তৈরি করতে পাথর ছুড়ছে কাশ্মীরিরাও। দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন জায়গাতেও আইসিসের নিশান উড়তে দেখা গেছে। দেশের অভ্যন্তরে তৈরি হওয়া এই সব জিহাদিরাও যথেষ্ট উদ্বেগের কারণ। ইসলামি সন্ত্রাসবাদের এই যে আন্তর্মহাদেশীয় যোগ, তা কিন্তু ভারতের পক্ষে বেশ মন্দ খবর।

body_kashmir_052618084925.jpgকাশ্মীরে পাথর ছোড়া হচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে

আইসিস কি তবে ঠান্ডা লড়াইয়ের পরবর্তী সময়ে তৈরি বলেই ধরে নেব নাকি এই সন্ত্রাসবাদকে পুরোনো ইসলামি সন্ত্রাসবাদের নতুন ধারা বলে অভিহিত করব? প্রুশিয়ার সমর-দার্শনিক লেফটেন্যান্ট-জেনারেল কার্ল ফিলিপ গতলিয়েব ফন ক্লজউইৎজ তাঁর জনপ্রিয় রচিত অন ওয়ার-এ দাবি করেছেন যে, প্রত্যেক যুগেই যুদ্ধের নিজস্ব ধরণ দেখা গেছে। একই সঙ্গে এ কথাও সত্যি যে যে সময়ের সঙ্গে যুদ্ধের ব্যাকরণও বদলেছে। তবে সংগঠিত সন্ত্রাসের ক্ষেত্রে যুক্তি ও মর্মার্থ একই রয়ে গেছে। আমার মতে আইসিস হল পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর উপযোগী সেই পুরোনো ইসলামি সন্ত্রাসেরই নতুন রূপ।

১৯৯৬ সালে প্রকাশিত হয় মার্কিন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিশেষজ্ঞ স্যামুয়েল হান্টিংটনের দা ক্ল্যাশ অফ সিভিলাইজেশনস। তাতে তিনি বলেছেন, বড় ধর্মগুলোর সঙ্গে ইউরেশিয়ার সাংস্কৃতিক সংঘাতই হবে ভবিষ্যতের যুদ্ধের কারণ। বইটি প্রকাশিত হয়েছিল একেবারে মোক্ষম সময়ে। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত দেশ ভাঙনের সঙ্গে সমাপ্তি ঘটেছিল ঠান্ডা লড়াইয়ের। পারমাণবিক অস্ত্রের জুজু দেখিয়ে একদিকে ধনতান্ত্রিক ও অন্যদিকে সমাজতান্ত্রিক দুই দেশের মধ্যে যে রেষারেষি চলছিল, তারও যবনিকা পতন হল। ফ্রান্সিস ফুকুয়ামার মতো স্বনামধন্য পণ্ডিত ও বিল ক্লিন্টনের মতো রাজনীতিকও মনে করেন, সেই সময় পুঁজিবাদের জয় ছিল শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা।

ফুকুয়ামার ধারণামতো ইতিহাসের সমাপ্তি সেখানে ঘটেনি, বরং তা নতুন মোড় নিয়েছে। যে সব উন্নয়নশীল দেশের নাগরিকরা এতদিন পুঁজিবাদের চৌহদ্দির বাইরে রয়ে গিয়েছিল, তারা এ বার তাদের বিশ্বাস ও আচার-আচরণকে অর্থবহ করে তুলতে ও ধর্মনিরপেক্ষ ভাব প্রতিষ্ঠা করতে মার্কসীয় আদর্শের প্রতি আকৃষ্ট হল। লেনিনপন্থী মার্কসবাদীদের যখন সকলে ইতিহাসের আঁস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করছে এবং চিনে যাদের কিছুই নেই তাদেরও দেং জিয়াওপিং যখন “দ্রুত ধনী হওয়ার জন্য প্রস্তত” হতে চাপ চিচ্ছেন, তখন যারা এই ডাক থেকে দূরে রয়ে গেল, তারা ধর্মকে আঁকড়ে ধরে রইল। নতুন সহস্রাব্দের গোড়ার দিকে নিরীশ্বরবাদী সাম্যবাদের জায়গা নিল পরধর্মবিদ্বষী ইসলাম।

মুজাহিদরা একসময় মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-র অঙ্গুলিহেলনে চলত। ১৯৯২ সালে নাজিবুল্লার পতনের পরে আফগানিস্তানের ব্যাপারে আগ্রহ হারায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তারপরে মুজাহিদরা বিশ্বের একমাত্র সুপারপাওয়ার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দিকে তাদের বন্দুক তাক করল। তখন সিআইএ প্রত্যাঘাতের তত্ত্ব আওড়াতে শুরু করল। ৯/১১ ঘটনা হল সেই অঙ্কুরের মহীরূহ রূপ। ২০০১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অপারেশন এন্ডিয়োরিং ফ্রিডম শুরু করল। সবচেয়ে বেশি আলোচিত জিহাদি গোষ্ঠী আল-কায়েদা (যে গোষ্ঠীর প্রধান ওসামা বিন লাদেন একসময় সিআইএ-র চোখের মণি ছিল) পৃথিবীর সমস্ত জায়গা থেকে মুসলমানদের নিজেদের দলে অন্তর্ভুক্ত করতে শুরু করল। তাদের বক্তব্য ছিল, আমেরিকার খ্রিস্টানরা ইসলামের জন্মভূমিতে ক্রুসেডে (ধর্মযুদ্ধ) নেমেছে।

isisi4_052618084943.jpgওসামা বিন লাদেন এক সময় ছিলেন সিআইএ-র চোখের মণি  

জর্জ বুশের (জুনিয়র) ইরাক আক্রমণ (২০০৩) ছিল তেলের প্রতি লোলুভ এক সরকারের একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশের উপরে আক্রমণের উদাহরণ যা মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীল পরিস্থিতি নষ্ট করে দেয়। অপারেশন ইরাকি ফ্রিডম যদি আল কায়েদার কোনও একটা তত্ত্বকেও প্রতিষ্ঠা করে থাকে, তা হল, ইহুদীদের সঙ্গে একজোট হয়ে ইসলামি দেশগুলোকে ধ্বংস করছে খ্রিস্ট ধর্মমতালম্বী পাশ্চাত্য। ইরাক যুদ্ধের পরে সুন্নিদের একঘরে করে দিয়ে শিয়াদের ক্ষমতায় এনে আমেরিকা আরও একটা গণ্ডগোল পাকিয়ে ফেলল। সুন্নিদের মধ্যে যারা কট্টরপন্থী এবার তারাই আইসিসকে অর্থসাহায্য করতে শুরু করল।

ধর্মনিরপেক্ষ হলেও একনায়ক সাদ্দাম-জমানার অবসান ঘটাতে গণতন্ত্রের তাস খেলেছিলেন বুশ। পণ্ডিতমন্য ‘বুদ্ধিজীবী’রা তখন মনে করেছিলেন ধর্মনিরপেক্ষ স্বৈরতান্ত্রিক শাসনের চেয়ে যে কোনও অবস্থাতেই গণতান্ত্রিক শাসনই কাম্য। ২০১০ সালে যখন মঘ্রিব (উত্তর আফ্রিকার পশ্চিম প্রান্ত) অঞ্চলে প্রচ্ছন্ন-ধর্মনিরপেক্ষ দেশগুলোতে আরব স্প্রিং (আরবে বসন্তের বাতাস) শুরু হল তখন বামপন্থী, উত্তর আধুনিক ও অন্য মানবতাবাদী বুদ্ধিজীবীরা তখন দারুণ ভাবে উচ্ছ্বসিত হয়েছিলেন।

আধুনিক সংদীয় রাজনীতিকরা নন, খুব দ্রুত সেই পরিস্থিতি কব্জা করে নিল মুসলিম ব্রাদারহুড। ২০১২ সালে মিশরে ক্ষমতায় আসা মহম্মদ মোরসি তখন হামাসকে সমর্থন করলেন। আমরা যে কথাটা ভুলে যাই তা হল কর্নেল গদ্দাফি এবং আবু বকর বাগদাদির (আইসিস নেতা) চেয়ে অনেক খারাপ এবং সাদ্দামের চেয়ে অনেক বেশি ভয়ঙ্কর। বর্মান ট্রাম্প প্রশাসন এবং বুদ্ধিজীবীরা অন্তত একটা একটা বিষয়ে একমত: সিরিয়ায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হওয়া উচিৎ। ২০১১ সালে আসাদ জমানার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু করে বিরোধীরা। আসাদকে সমর্থনের বদলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মদত দিতে শুরু করল বিদ্রোহীদের। সিরিয়া যখনই গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ল, তখনই আইসিস সে দেশেও প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করে দিল। আসাদ জমানা যত খারাপই হোক না কেন, আইসিস নিয়ন্ত্রণাধীন সিরিয়া বিশ্বের পক্ষে অনেক বেশি খারাপ হবে।

ডেভিড কিলকুলেন ভেবেছিলেন, ধীরে ধীরে পাহাড় থেকে শহর ও গ্রামাঞ্চলের দিকে যেতে শুরু করবে ইসলামি জঙ্গিরা। এই সব আশঙ্কা এখন আমাদের গা সওয়া হয়ে গেছে। ফেসবুক ও টুইটারের কল্যাণে এখন আমরা ভার্চুয়াল দুনিয়ার অংশ হয়ে গেছি। দুর্ভিক্ষ ও অনাহারকেও হেলায় জয় করেছে মানুষ। বিশ্বে অনাহারে যত লোকের মৃত্যু হয় তার চেয়ে এখন ঢের বেশি লোকের মৃত্যু হয় অতিরিক্ত আহারে (ওবেসিটি)। আজকাল লোকজনকে কম্পিউটার স্ক্রিন বা স্মার্ট ফোনে হ্যারি ও মেগান মর্কেল নিয়ে পোস্ট করতে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়, কানে গিয়ে হলিউডের নায়িকা কী করলেন, সেলেব্রিটিদের হাভানায় ছুটি কাটানোর ছবির পোস্ট ইনস্টাগ্রামে দেখে তা নিয়ে বক্রোক্তিও করেন।

ভারতে যারা উগ্রপন্থী ছাত্র এবং নামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তাঁরা ভারতের করদাতাদের দেওয়া অর্থে সবরকম সুযোগসুবিধা ভোগ করে থাকেন, কোনও দিনই তাঁরা যুদ্ধবিধ্বস্ত সেই সব এলাকায় যাননি, তাঁরা ক্যান্টিনে বসে চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে বস্তাপচা সব তত্ত্ব আউড়ে কাশ্মীরের আজাদি নিয়ে গলা ফাটান। এক উত্তর আধুনিক ইতিহাসবিদ কাশ্মীরের নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে অমৃতসরে জেনারেল ডায়ারের আচরণের তুলনা করেছেন। আমরা যদি এতটাই সাধাসিধে হই তা হলে তো বলতে হয়, অ্যাপোক্যালিপসে বর্ণিত তৃতীয় ও চতুর্থ ঘোড়সওয়ার* ফিরে আসতে পারে আইসিসের কালো পতাকা মেলে ধরার জন্য।

 

* যথাক্রমে দুর্ভিক্ষ ও মৃত্যুর প্রতীক

If you have a story that looks suspicious, please share with us at factcheck@intoday.com or send us a message on the WhatsApp number 73 7000 7000

Writer

DR KAUSHIK ROY DR KAUSHIK ROY

Guru Nanak Chair Professor, Department of History, Jadavpur University

Comment