ডাক্তারিতে স্নাতকোত্তরে ভর্তি নিয়ে আপাতত জট কাটল

ডাক্তারদের উচ্চশিক্ষায় ছাড়পত্র না দেওয়া নিয়ে রাজ্যের আইনজীবীর কাছে কোনও উত্তর ছিল না

 |  2-minute read |   29-04-2018
  • Total Shares

দীর্ঘ আন্দোলনের পর স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল (স্যাট) যে অন্তর্বর্তীকালীন রায়টা দিয়েছে তাকে আমরা অভিনন্দন জানাচ্ছি। জনস্বার্থে স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে আমাদের অনুরোধ যে স্যাটের এই নির্দেশ মেনে নিয়ে অবিলম্বে সমস্ত অভিন্ন প্রবেশিকায় (নিট-পিজি) উত্তীর্ণ চাকুরীরত ডাক্তারদের টিআর দিয়ে এমডি ও এমএস সুযোগ দিতে। ইন্ডিয়ান পাবলিক হেলথ স্ট্যান্ডার্ড (আইপিএইস)-এর নিয়ম মেনে জেনারেল ডিউটি মেডিক্যাল অফিসার্স (জিডিএমও) নিয়োগ করলেই গ্রামের দিকের স্বাস্থ্য কেন্দ্র বা হাসপাতালগুলোতে ডাক্তারদের ঘাটতি মিটবে এবং জেলাগুলোতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর বাড়তে থাকা আক্রমণ রোধ করতে পারবে।

স্নাতকোত্তর কোর্সে ভৰ্তি হওয়ার পরেও স্বাস্থ্যভবন থেকে যাদের নাম কাটাতে নির্দেশ দেওয়া হয় তাদের মধ্যে ৪৪ জন আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগ ও সুভাষচন্দ্র দাসের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছেন।

আদালত যে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করেছে সেটা খুবই সময় উপযোগী ও গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্যভবন এতদিন যাদের আটকেছিল, তারা এখন স্নাতকোত্তর কোর্সে ভর্তি পারবে। এই সব জুনিয়র ডাক্তারদের থেকে যদি উচ্চশিক্ষার অধিকার ছিনিয়ে নেয়া হয় তাহলে আখেরে ধাক্কা খাবে গ্রামীণ স্বাস্থ্য ব্যবস্থাই। তাই আমরা চাই সরকাররের তরফ থেকে এই রায়টা খুব দ্রুত মেনে নেওয়া হোক।

medical_body1_042918023701.jpgআগামী ১৪ মে আদালত এই বিষয়ে তাদের চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করবে

যারা নিট-পিজি পরীক্ষা দিয়েছিল তাদের মধ্যে পাশ করে ৩৬৪ জন আর এদের মধ্যে ১৯৬ জন সরকারি ডাক্তারদের স্নাতকোত্তর কোর্সে ভর্তি হওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় এ মাসের ২০ তারিকে নির্দেশ দেয় যে ওই ১৮০ জনের বাইরে অন্য যে সব নিট-পিজি উত্তীর্ণ চাকুরীরত ডাক্তাররা কোনও না কোনও সিটে ভর্তি হয় গিয়েছিল তাদের ২৩ এপ্রিলের মধ্যে নিজেদের নাম কাটাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এও বলা হয় যে ওই দিনের মধ্যে নিজেদের নাম না কাটালে পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে হবে ও তিন বছরের জন্য তাদের প্রার্থীপদ বাতিল করা হবে। আদালত এই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে।

পাস করার পরেও এই ডাক্তারদের উচ্চশিক্ষার ছাড়পত্র কেন দেয়নি স্বাস্থ্যভবন এই প্রশ্নে রাজ্যের আইনজীবীর কাছে কোনও সদুত্তর ছিল না।

med_body2_042918023734.jpgস্বাস্থ্য ব্যবস্থার কাঠামো যাতে অকেজো না হয়ে পড়ে সেই ব্যবস্থা সরকারকেই করতে হবে

১৪ মে আদালত এই বিষয়ে তাদের চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করবে। সরকার যদি এই রায়টিকে চ্যালেঞ্জ জানায় তা হলে আমরাও সেই চ্যালেঞ্জের জবাব দেব।

এছাড়াও সরকার এই ডাক্তারদের যে নিরাপত্তা বা সুযোগসুবিধা দেবে বলেছিল, সেগুলো সরকার দিচ্ছে না। তাই স্বাভাবিক ভাবেই এরা হতাশ হয় পড়ছে এবং তারা আর গ্রামে দিকে চাকরি করতে যেতে চাইছে না। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কাঠামো যাতে অকেজো না হয়ে পড়ে সেই ব্যবস্থা সরকারকেই করতে হবে।

If you have a story that looks suspicious, please share with us at factcheck@intoday.com or send us a message on the WhatsApp number 73 7000 7000

Writer

Dr. SAJAL BISWAS Dr. SAJAL BISWAS

General Secretary, Service Doctors' Forum

Comment