দেশে এখন কঠিন পরিস্থিতি, নেতাজির আদর্শে ঐক্যবদ্ধ হলে মুক্তি মিলবে তবেই
সাম্প্রদায়িকতা, জাতপাতের ভেদাভেদ ও আঞ্চলিকতাবাদ উন্নতির অন্তরায়
- Total Shares
আদর্শ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ইন্ডিয়া টুডে এক বিশিষ্ট স্থান অধিকার করে এসেছে। আমরা সব সময়ই এর প্রতিটি সংখ্যার জন্য সাগ্রহে অপেক্ষা করে থাকি। তাঁরা এবার মতামতের জন্য বাংলায় অনলাইন প্রকাশনায় উদ্যোগী হয়েছে জেনে খুশি হলাম। আরও বেশি বাঙালি পাঠকের কাছে তা পৌঁছবে আশা করি।
আপনাদের এই নতুন প্রকাশনা উপলক্ষে আমার প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া হল, নিঃসন্দেহে প্রত্যাশা, আরও অনেক প্রত্যাশা।
নেতাজির আজাদ হিন্দ ফৌজ
প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে যা আমাকে ভাবিত করছে দু-এক কথায় তা জানাই।সাম্প্রতিক কালে চলেছে দেশজোড়া অশান্তি ও অস্থিরতার আবহ। ক্রমিক মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব ও দারিদ্র্য আর্থিক অসাম্য ও শিক্ষায় নৈরাজ্য মানুষকে পীড়িত করছে। এর উপরে অভিশাপস্বরূপ ধর্মীয় বিভাজনের নীতি ও জাতপাতের দ্বন্দ্ব-সহ সংখ্যালঘু নির্যাতন— ভারতের ভারতের সনাতন ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক মহামিলনের ইতিহাসকে ভূলুণ্ঠিত কের চলেছে। কবিগুরুর ভারততীর্থের মাহাত্ম্য আজ কলঙ্কিত।
এই অবস্থায় মুক্তির পথ হিসাবে সর্বাগ্রে স্মরণীয় সর্কালের সর্বদেশর অন্যতম শ্রেষ্ঠ মহাবিপ্লবী ও দেশপ্রেমিক নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে। তিনি আমাদের জাতীয় সংহতির প্রতীক। ‘সাম্প্রদায়িকতা’, ‘জাতপাতের ভেদাভেদ’ ও ‘আঞ্চলিকতাবাদ’ – জাতীয় অগ্রগতির পথে এই তিন শত্রুর বিরুদ্ধে তিনি আমাদের সর্বদাই সতর্ক করে এসেছেন। কলকাতা পুরসভা পরিচালনা থেকে শুরু করে আজাদ হিন্দ ফৌজের সংগ্রাম পর্যন্ত সর্বত্রই তিনি জাতীয় সংহতি ও মহামিলনের নিদর্শন স্থাপন করে গেছেন। ফিরিয়ে আনতে হবে তাঁর বিপ্লবী মতাদর্শকে, ঐক্যবদ্ধ হতে হবে তাঁর ‘ভারতীয় পথে ভারতীয় মতে’ সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে। এটাই আমার ঐকান্তিক প্রত্যাশা।

