রাজ্যসভায় ডেপুটি চেয়্যারম্যান নির্বাচন নিয়ে কেন আলোচনার কেন্দ্রে তৃণমূল
বিজেপির বিভিন্ন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিবাদ করেছেন মমতাই
- Total Shares
রাজ্যসভায় ডেপুটি চেয়্যারম্যান নির্বাচন নিয়ে আমাদের দল তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ওব্রায়েন দলের সঙ্গে আলোচনা করছেন। দল পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছে। সকলেই এ কথা জানেন যে এই পরিস্থিতিতে বিজেপি বিরোধী সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলো এই বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা করছেন। কিন্তু চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত এখনও পর্যন্ত আমাদের কাছে আসেনি। বিষয়টি এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে আলোচিত হচ্ছে। ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত এখনও দলের তরফে আমাদের জানানো হয়নি। আমরা অপেক্ষায় আছি কী সিদ্ধান্ত হয়, সেই দিকে।
আমাদের দলের নেত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন সারা ভারতে বিজেপি-বিরোধী দলের মুখ। শাসকদল ও সরকার যত জনবিরোধী কাজ করছে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদী চরিত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মুখের দিকে তাকিয়ে আছেন, তাঁর কার্যবিধির দিকে তাকিয়ে আছেন এই দেশের মানুষ এবং রাজনৈতিক, গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ ও জাতীয়তাবাদী দলগুলো।
সংসদ ভবন
রাজ্যসভায় ডেপুটি চেয়ারম্যান নির্বাচন নিয়ে আমাদের দলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ওব্রায়েন আমাদের দলের সর্বোচ্চ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলছেন। এ ব্যাপারে কোনও অগ্রগতি হলে বা সিদ্ধান্ত হলে তা সংবাদমাধ্যম অবশ্যই জানতে পারবে। এখনও কোনও সিদ্ধান্ত আমাদের কাছে, অর্থা সাংসদদের এসে পৌঁছয়নি।
বিজেপি দল ও কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির বিরুদ্ধে প্রথম তিনিই সরব হয়েছিলেন, তিনি সেই সব নীতির বিরুদ্ধে সবচেয়ে উজ্জ্বল প্রতিবাদী মুখ। সেটা সব দলই এখন বিশ্বাস করছেন এবং গ্রহণ করছেন। শুধুমাত্র রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান নির্বাচনের ইস্যুতেই যে এটা হচ্ছে তা নয়, এই সরকারের বিরুদ্ধে এবং এই সরকারের গৃহীত রাজনৈতিক পদক্ষেপের বিরুদ্ধেই জনগণকে সোচ্চার প্রতিবাদে সামিল করে তিনি আজ প্রতিবাদী মুখ হয়েছেন এবং নেত্রী হয়েছেন।
আলোচনার কেন্দ্রে বিরোধী ঐক্য
এই মুহূর্তে বাংলা তো বটেই, ভারতের রাজনীতিতেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও বিকল্প নেই। তিনি জনগণের মুখের প্রতিফলন, তিনি প্রতিবাদী মুখের প্রতিনিধি, গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ চেতনার প্রতিফলন। তাই তাঁকে সকলেই মান্যতা দিচ্ছেন। বিমুদ্রাকরণ থেকে শুরু করে তড়িঘড়ি ভাবে জিএসটি চালু করে দেওয়া, একজনমাত্র নেত্রী প্রথম প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছিলেন, তাঁর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন সকলেই দ্বিধায় ছিলেন। কিন্তু আজ প্রমাণিত হচ্ছে যে সেই প্রতিবাদটা ঠিকই ছিল। তাই ভারতের মানুষ তাঁকে গ্রহণ করছে।

