নির্বাচনী সন্ত্রাস কেন আমার শর্টফিল্মের মূল বিষয়?
পঞ্চায়েত নির্বাচন সত্যিই হতাশাজনক, মনোনয়ন পর্ব থেকে গণনার দিন ছাপ্পা গণতন্ত্রকে নাড়িয়ে দিল
- Total Shares
অতি সম্প্রতি ভোটকে কেন্দ্র করে হিংসা প্রত্যক্ষ করলাম সদ্যসমাপ্ত হওয়া পঞ্চায়েত নির্বাচনে। ক্ষমতার দখল আর তার থেকে অর্থ উপার্জন প্রধান হয়ে উঠছে রাজনৈতিক নেতাদের। বেশ কিছু দিন আগে কলকাতার পার্শ্ববর্তী এক পুর নির্বাচনে দেখলাম দুজন সংবাদ মাধ্যমের কর্মীকে অপহরণ করা হল। তাদের অপরাধ তারা সত্যকে মানুষের সামনে তুলে ধরতে চেয়েছিল। খবর সম্প্রচার করতে গিয়ে মার খেতে হল বহু সংবাদ মাধ্যমের কর্মীকেই।
তারপর সম্প্রতি এক নির্বাচনে যা ঘটল তা সত্যিই হতাশা জনক। মনোনয়ন জমা না দিতে দেওয়া থেকে নির্বাচনের গণনার দিন ছাপ্পা ভোট নাড়িয়ে দিল গণতন্ত্রের ভিতকে।


পঞ্চায়েত নির্বাচনের সন্ত্রাস
সেখানেও মার খেতে হল সংবাদ মাধ্যমকে।
দেখলাম বীরভূম জেলায় গুড়-জল-বাতাসার ধমক-চমক। এক ব্যক্তির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চলল রাজনীতি। যুযুধান দুই শিবিরই দাবি করতে থাকল যে মৃত ব্যক্তি তাদের দলের লোক ছিল। লাশের উপর দাঁড়িয়ে রাজনীতি নাড়িয়ে দিল আমাদের সকলকে। আদপে আমরা কি এগোচ্ছি?


শর্টফিল্মের কয়েকটি দৃশ্য
নাকি বর্বরতার নৃশংসতায় আমরা ডুবে চলেছি প্রতি নিয়ত। মানুষের মৃত্যু যখন বেদনার সেখানে দাঁড়িয়ে সেই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে যারা রাজনীতি করছে তাদের ধিক্কার জানাই। তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ থাকল সর্বক্ষণ।
বিশেষ কোন রাজনৈতিক দলকে, ব্যক্তিকে, গোষ্ঠীকে আঘাত দিয়ে নয় বরং আমাদের প্রতিবাদ থাকল বর্বতার বিরুদ্ধে। আর সেই প্রতিবাদের ভাষার প্রতিচ্ছবি উলুখাগড়া।
ডিম খেল দারোগা / ডিম পাড়ল হাঁস, দিল্লী গেল নেতা / মারিয়ে ওদের লাশ।

