শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন তথ্য মিলবে অনলাইনে
আবেদনপত্র নিয়ে এখানে-ওখানে না ছুটে অনলাইনেই হয়ে যাবে যাবতীয় সরকারি কাজ
- Total Shares
ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করায় শিক্ষক-শিক্ষিকার একটা বিরাট ভূমিকা রয়েছে। তাঁদের হাত ধরেই যেমন জাতির ভাগ্য নির্ধারিত হয় ঠিক তেমন ভাবে শিক্ষাকর্মীদের কথাও ভাবতে হবে আমাদের। তাই সমস্ত সরকারি শিক্ষাকর্মীদের এক ছাতার তলায় আনতে মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক খুব দ্রুত চালু করতে চলেছে 'দীক্ষা' (diksha.gov.in) বলে একটি পোর্টাল। এই পোর্টালটি এখনও পর্যন্ত তিনটি রাজ্যে চালু করা হয়েছে। আগামী ছ'মাসের মধ্যেই পরিষেবাটি সমস্ত রাজ্যে চালু হয়ে যাবে। পশ্চিমবঙ্গেও খুব তাড়াতাড়ি চালু হবে এই পরিষেবাটি। ২০১৮-১৯ সালের বাজেটে প্রকল্পটি ঘোষণা করা হয়েছে।
শিক্ষাব্যবস্থার একটা মূল দিক যেমন উপযুক্ত পরিবেশ আবার আর একটি দিক হল সঠিক পরিষেবাও।
পরিষেবাটির হাত ধরে দেশের সরকারি স্কুল শিক্ষার পরিকাঠামো ডিজিটাল রূপ পাবে। পোর্টালটির মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছে যেমন পৌঁছে যাবে বিভিন্ন পেশাগত তথ্য তেমনই তাঁদের পেশাগত কোনও সমস্যা বা জটিলতা খাড়া হলে তাঁরা এখানে যোগাযোগ করতে পারবেন।
এই বছর শিক্ষা খাতে সরকার অন্য বছরের থেকে অনেক বেশি টাকা বরাদ্দ করেছে
পরিষেবাটি চালু হলে সমস্ত সরকারি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের খুঁটিনাটি এখানে মিলবে। একজন শিক্ষক কিংবা শিক্ষিকা তাঁর দায়িত্ব ঠিকঠাক পালন করছেন কি না সেটাও এখানে থাকবে। একজন শিক্ষক কিংবা শিক্ষিকার ঠিক কী ধরণের প্রশিক্ষণের প্রয়োজন তাও এখান থেকে বোঝা যাবে। এই পোর্টালটি চালু হলে পুরো ব্যবস্থাটি অনেক বেশি স্বচ্ছতা পাবে।
গ্রামের দিকে সরকারি স্কুলগুলোতে শিক্ষকশিক্ষিকারা খুব কুম স্কুলে যান
বিভিন্ন আবেদনপত্র নিয়ে তাঁদের আর এখান থেকে ওখানে ছুটতে হবে না। একটি মাউস ক্লিকেই হয়ে যাবে সব কাজ। কিংবা কোনও শিক্ষক নিজের দায়িত্ব পালনে কোনও রকম ঢিলেমি করছেন কি না সেটাও এখান থেকেই জেনে নেওয়া যাবে।
পোর্টালটি চালু হলে পুরো ব্যবস্থাটি অনেক বেশি স্বচ্ছতা পাবে
প্রযুক্তির সাহায্যে আমাদের দেশ অনেক অগ্রগতি করেছে। বিভিন্ন সমীক্ষায় আমরা দেখেছি যে অধিকাংশ গ্রামের সরকারি স্কুলগুলোতে শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরউপস্থিতির হার খুব কম। তাই এই বিষয়টিকে আরও সুনিশ্চিত করতে পরীক্ষামূলক ভাবে ছত্তিসগড়ের স্কুলগুলিতে আমরা বায়োমেট্রিক হাজিরার ব্যবস্থা চালু করি এবং পাশাপাশি এই পরিষেবার জন্য স্কুলগুলিতে একটি করে ট্যাবলেটও দেওয়া হয়। এই ব্যবস্থাটি চালু হওয়ার পর দেখা গেলো যে ওখানকার স্কুলগুলোতে শিক্ষাকর্মীদের উপস্থিতির হার প্রায় ৯৩ শতাংশ বেড়ে গেছে। এবার তাই ব্যবস্থাটি বাকি রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলিতে চালু করা হবে খুব তাড়াতাড়ি।
দীক্ষা পোর্টালের মাধ্যমে ক্লাসে পড়ানোর সুবিধের জন্য পড়াশোনা সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য বা স্টাডি মেটেরিয়ালও পাওয়া যাবে। পড়ুয়ারাও এখান থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য ডাউনলোড করতে পারবে।
এই বছর শিক্ষা খাতে সরকার অন্য বছরের চেয়ে অনেক বেশি টাকা বরাদ্দ করেছে। প্রায় ২০ শতাংশ বেশি। তাই শিক্ষা ক্ষেত্রে যে জোর দেওয়া হচ্ছে আর ভবিষতেও যে শিক্ষা নিয়ে আরও পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে তা বেশ পরিষ্কার।
লেখকের অনুমতিক্রমে সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে লিখিত

