সুপার কাপ ফাইনালে কেন হারল ইস্টবেঙ্গল?
ইস্টবেঙ্গল দশ জন হয়ে যেতেই ম্যাচের ছন্দপতন ঘটে
- Total Shares
খেলার ব্যাপারে একটা কথা চিরসত্য যে, সুযোগের সদ্ব্যবহার যারা করবে, তারাই জিতবে। সুপার কাপের ফাইনালের ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে। আর একজন খেলোয়াড়ের পিছনের দিকে হাত চালিয়ে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়ার জন্য বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত ৪-১ গোলে হারতে হল ইস্টবেঙ্গলকে।
প্রথম থেকে দু’দলের মধ্যে খেলা সমান তালেই হয়েছিল। দুর্দান্ত গোল করেছিল ক্রোমা। ব্যাকভলি দিয়ে, মানে এক পায়ে দাঁড়িয়ে এক পায়ে গোল করল। তাতে খেলায় প্রথমে এগিয়ে গেল ইস্ট বেঙ্গল। কিন্তু তারা বিপক্ষের উপরে স্নায়ুর চাপ দিয়ে যেতে পারল না। ১২ মিনিটের মাথায় গোল শোধ করে দিল বেঙ্গালুরু এফসি।
ইস্টবেঙ্গল প্রথমে যে গোলটা খেল, সেটা কর্নার কিক থেকে গোল। এই গোল খাওয়ার জন্য আমি ইস্টবেঙ্গলকেই দায়ী করব। কর্নার কিকের সময় গোলপোস্টের ছ-ইয়ার্ড বক্সের মধ্যে ঠিক যে জায়গায় যতটা রক্ষণ দরকার ছিল, রক্ষণ ঠিক সেই ভাবে নেওয়া হয়নি। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েই গোল করেছে প্রতিপক্ষ। রাহুল ভেকে সুন্দর ভাবে হেডে গোল করেছে। রাহুলকে আটকানোর জন্য যাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, সে ঠিক ভাবে তার কাজ করতে পারেনি।
সুনীল ছেত্রী
গোল সমান হয়ে যাওয়ার পরে সামাদের একটা অহেতুক ভুলে ইস্টবেঙ্গলকে বাকি ম্যাচ দশ জনে খেলতে হল। আর এটাই খেলার ভাগ্য নির্ধারণ করে দেয়। সামাদ মাঠ ছাড়ার পরেই ইস্টবঙ্গল আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি।
একটা কথা নিঃসন্দেহে বলা যায়, সুপার কাপে সেরা দলগুলোর অন্যতম হল বেঙ্গালুরু। এই জল দশ জনে খেলে মোহনবাগানকে হারিয়েছে।আর ইস্টবঙ্গলকে যখন তাদের বিরুদ্ধে দশ জনে খেলতে হল, এবং রক্ষণ থেকে একজন ফুটবলার মাঠ ছাড়ার পর ইস্টবেঙ্গল আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি। তার ফলেই এই ৪-১ গোলে হারতে হয়েছে ইস্টবেঙ্গলকে।
একটা কথা বলতে পারি, খেলাটা যেখানে যাওয়ার কথা ছিল সেখানে যেতে পারল না শুধুমাত্র সামাদের একটা ভুলের জন্য। সামাদের ওই ভাবে পিছনে হাত চালানো উচিৎ হয়নি। তার ভাবা উচিৎ ছিল, এই ভাবে হাত চালালে যে কোনও সময় লাল কার্ড দেখতে হতে পারে। এই অপরাধ এক কথায় ক্ষমার অযোগ্য।
গোল যা হওয়ার হয়েছে। সুনীল ছেত্রী গোল দিয়েছে পেনাল্টি থেকে। কিন্তু যে মুহূর্তে ইস্ট বেঙ্গল ১০ জন হয়ে গেল, সেই মুহূর্তেই খেলার ছন্দ নষ্ট হয়ে গেল। আমার মতে বেঙ্গালুরু সেরা দল, আর তাদের বিরুদ্ধে দশ জনকে খেলতে হলে ছন্দপতন হবেই।

