চিকিৎসকের পেশা অন্য পেশার থেকে আলাদা, তাই রোগীর কথা ভেবে নিজের ইচ্ছো ত্যাগ করতে হবে

ষষ্ঠ বেতন কমিশন চিকিৎসকদের স্বেচ্ছাবসরের অধিকার দিলেও সুপ্রিমকোর্ট দিচ্ছে না

 |  2-minute read |   23-08-2018
  • Total Shares

চিকিৎসকদের স্বেচ্ছাবসর নিয়ে বহুদিন যাবৎ বিভিন্ন রাজ্যে আলোচনা চলছে। এর আগে আমাদের রাজ্যে সরকারি চিকিৎসকের ঘাটতি সামলাতে তাঁদের স্বেচ্ছাবসর নেওয়ার বয়সের সীমা বাড়িয়ে দেওয়া হয়। উত্তরপ্রদেশের চিকিৎসকদের স্বেচ্ছাবসরের অধিকার সম্পর্কিত যে মামলাটি দায়ের হয়েছিল সেই মামলায় সুপ্রিমকোর্ট রায় দিল যে রোগীর জীবনের অধিকারের থেকে চিকিৎসকের অবসরের অধিকার কখনোই বড় হতে পারে না। গত মঙ্গলবার সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতি অরুণকুমার মিশ্র ও বিচারপতি আবুল নাজিরের ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় দেয়। সর্বোচ্চ আদালত বলে যে বৃহত্তর জনস্বাস্থ্যের কথা ভেবেই এই তাদের এই রায়।    

body1_082318052728.jpgচিকিৎসকদের স্বেচ্ছাবসরের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালত

আমাদের রাজ্যে অন্য সরকারি কর্মীদের মতো সরকারি চিকিৎসকদেরও আগে অবসরের বয়স ছিল ৬০ বছর যা পরে বেড়ে হয় ৬২। এর থেকে বেশ পরিষ্কার যে রাজ্যে সরকারি স্তরে চিকিৎসকের ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে। বহু সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসককে টানা কাজ করে যেতে হয়। তাই এই পরিস্থিতিতে অনেক চিকিৎসকের প্রয়োজন রয়েছে।

অনেকে চিকিৎসকদের ঈশ্বরের সঙ্গে তুলনা করেন। তবে একটা কথা ঠিক যে অনেক সময় এমনও দেখা গেছে যে কোনও চিকিৎসক হয়তো শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন, যার ফলে তিনি আর কাজ করতে পারছেন না তখন আর উপায় না পেয়ে তিনি স্বেচ্ছাবসরের আবেদন করেন। তাই যদি কোনও চিকিৎসক উপযুক্ত কারণ দেখতে পারেন তা হলে তার ভিত্তিতে সেই চিকিৎসকের আবেদন বিবেচনা করা হয়। 

আমার মনে হয় যথাযথ কারণ ছাড়াই যদি সব সরকারি চিকিৎসকের স্বেচ্ছাবসর নেওয়ার অধিকার দেওয়া হয়, তা হলে এমন এক পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে যখন হাসপাতালগুলোতে রোগীদের ভিড় উপচে পড়বে কিন্তু কোনও চিকিৎসকের দেখা মিলবে না।

tb_body_082318052827.jpgচিকিৎসকের পেশা আর পাঁচটা পেশার মতো নয়

যদি  চিকিৎসকরা তাঁদের ইচ্ছে মতো স্বেচ্ছাবসর চান তা হলে স্বাস্থ্যব্যবস্থার অনেকখানি ক্ষতি হবে। সেই দিক থেকে আমার মনে হয় সুপ্রিমকোর্টের রায়টির যথার্থ। তবে যেসব রাজ্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কোনও ঘাটতি নেই সে সব জায়গায় সরকারি চিকিৎসকদের স্বেচ্ছা অবসর নিয়ে সেখানকার স্বাস্থ্য দপ্তর চিন্তা ভাবনা করতে পারে।

তাই আমি ব্যক্তিগত ভাবে সুপ্রিমকোর্টের এই রায়টিকে স্বাগত জানাচ্ছি।

মনে রাখতে হবে যে চিকিৎসকের পেশা আর পাঁচটা পেশার মতো নয়। তাই সাধারণ মানুষের হিতের কথা বিবেচনা করে নিজের স্বার্থকে বড় করে না দেখাই উচিত। তবে যাঁরা একেবারেই অনন্যোপায় হয়ে পড়েছেন তাঁদের কথা আলাদা।

যদিও এর আগে ষষ্ঠ বেতন কমিশন জানিয়েছিল যে বাকি সরকারি কর্মীদের মতো সরকারি চিকিৎসকদেরও স্বেচ্ছাবসর নেওয়ার অধিকার থাকবে। 

If you have a story that looks suspicious, please share with us at factcheck@intoday.com or send us a message on the WhatsApp number 73 7000 7000
Comment