ফ্যাক্ট চেক- ফাঁসির আসামি কে নিয়ে ভাইরাল কাহিনীটি বিশেষযোগ্য নয়

ইন্টারনেট এ অনেকদিন যাবৎ ঘুরে বেড়াচ্ছে এই কাহিনী

 |  2-minute read |   17-04-2019
  • Total Shares

সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষকে উদবুদ্ধ করতে অনেকেই নানান ঘটনা ও কাহিনীর উদাহরণ দেন। এবং অনেক মানুষ সেগুলিকে বিশেষকরে নেন অবলীলায়। এমনি একটি পোস্ট বেশ কিছুদিন ধরে বিভিন্ন ভাষায় ফেসবুকে ঘুরে বেড়াচ্ছে যার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

"আমেরিকার বোস্টনে ১৯৮৬ সালে একটি অদ্ভুত পরীক্ষা করা হয় ৷ এক ফাঁসির আসামীকে ফাঁসির সাজা শোনানো হলো ৷ কতিপয়বিজ্ঞানী সে আসামীর উপর একটি পরীক্ষা করার প্রস্তাব করলেন । কয়েদীকে শোনানো হলো ফাঁসির বদলে তোমাকে বিষাক্ত কোবরাসাপ দংশন করিয়ে হত্যা করা হবে। কয়েদীকে চেয়ারে বসিয়ে তার হাত-পা বেঁধে দেয়া হলো, তারপর তার চোখে পট্টি বেঁধেবিষাক্ত কোবরা সাপ না এনে তার বদলে দুটি সেফ্টি পিন ফুটানো হলো। ফলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই কয়েদির মৃত্যু হলো ৷পোস্টমর্টেম রিপোর্টে দেখা গেল সাপের বিষ রয়েছে তার শরীরের মধ্যে। প্রশ্ন হলো এই বিষ কোথা থেকে এলো, যা ঐ কয়েদীরপ্রাণ কেড়ে নিল ৷ বলা হয় সেই বিষ তার নিজের শরীর থেকেই উৎপত্তি হয়েছিল"

উপরের এই কথাগুলো ফেসবুক ব্যবহারকারী “দীপঙ্কর পাত্র ” পোস্ট করেছেন জীবনের ইতিবাচক শক্তির প্রাসঙ্গিকতাকেবোঝাতে।

body_041719093244.jpg

এই পোস্টটি প্রায় চার হাজারবার শেয়ার হয়েছে ফেসবুকে। অনেকেই এই ঘটনাটিকে সত্যি মনে করে পোস্টটির তারিফ করেছেন।অনেকে এই ঘটনার সত্যতার বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। ইন্ডিয়া টুডের অ্যান্টি ফেক নিউজ ওয়ার রুম তদন্ত করে দেখেছেযে এই পোস্টটির তথ্য বিভ্রান্তিকর। ঘটনাটির কোনো সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায় নি। এই একই গল্প ফেসবুক পেজ 'শোভা মিশ্র কমিউনিকেশন স্কিলস এন্ড পার্সোনালিটি ডেভেলপমেন্ট ' পোস্ট করেছিল ২০১৭সালে। এছাড়াও ব্লগার “কৃষ্ণা" , ২০১৬ সালে ' পিএইচডি ইন স্পিরিচুয়ালিটি ' বলে একটি ব্লগসাইটে এই ঘটনাটি লেখেন।সেখানে তিনি বলেন রুশ বিজ্ঞানীরা এই পরীক্ষাটি করেন। তবে ব্লগের শেষে উনি একথা উল্লেখ করেন যে তথ্যের সত্যতার বিষয়েতিনি কিছু জানেন না।

ফেসবুক পেজ থেকে জানা যায়, শোভা মিশ্র একজন স্বনামধন্য শিক্ষাবিদ। ওনার স্বামী অনিল মিশ্র, শোভার হয়ে জানান, যে তারানিজেরাও জানেন না এই ঘটনাটির সত্যতা। তারা স্বীকার করেন যে বিনা যাচাই করেই তারা এটি ফেসবুকে দেন। আমরা নিরপেক্ষভাবে খুঁজে আমেরিকা, রাশিয়া বা অন্য কোথাও এমন কোনো ঘটনার উল্লেখ পাই নি।

ফ্যাক্ট চেক- ফাঁসির আসামি কে নিয়ে ভাইরাল কাহিনীটি বিশেষযোগ্য নয়
Claimআমেরিকার বোস্টনে ফাঁসির আসামীকে ১৯৮৬ সালে একটি অদ্ভুত পরীক্ষা করা হয় Conclusion আমরা নিরপেক্ষভাবে খুঁজে আমেরিকা, রাশিয়া বা অন্য কোথাও এমন কোনো ঘটনার উল্লেখ পাই নি।
JHOOTH BOLE KAUVA KAATE

The number of crows determines the intensity of the lie.

  • 1 Crow: Half True
  • 2 Crows: Mostly lies
  • 3 Crows: Absolutely false
If you have a story that looks suspicious, please share with us at factcheck@intoday.com or send us a message on the WhatsApp number 73 7000 7000

Writer

CHAYAN KUNDU CHAYAN KUNDU @kunduchayan

Senior Producer, India Today TV.

Comment