ভাইরাল ছবিটি শহিদ ক্ষুদিরাম বসুর নয়
ফেসবুকে ভাইরাল ছবিটি শহিদ বাজি রাউতের
- Total Shares
দেশাত্মবোধ সংক্রান্ত পোস্ট আমরা ফেসবুকে প্রায়ই পেয়ে থাকি। কিন্তু অনেক সময় এই পোস্টগুলির তথ্য বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। স্বাধীনতা সংগ্রামী শহিদ ক্ষুদিরাম বসুকে নিয়ে এমনি একটি ফেসবুক পোস্ট ইদানীং সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। ফেসবুক পেজ "লোড শেডিং" একটি কিশোরের পুরোনো সাদা-কালো ছবি পোস্ট করে দাবি করেছে এটি শহিদ ক্ষুদিরাম বসুর একটি দুষ্প্রাপ্য ছবি। ইন্ডিয়া টুডে অ্যান্টি ফেক নিউজ ওয়াররুম (AFWA)-এর পাওয়া তথ্য অনুযায়ী এটি একটি সর্বৈব ভুল দাবি। ক্ষুদিরাম বসুর নয়, ছবিটি শহিদ বাজি রাউতের।
"অনেক দুষ্প্রাপ্য একটা ছবি। ফাঁসি কাঠ থেকে নামানোর পর ক্ষুদিরাম বসুর ছবি। বন্দেমাতরম।" - এই লেখাটির সঙ্গে একটি বালকের সাদা-কালো ছবিটি তিনদিন আগে নিজেদের ফেসবুক পেজে পোস্ট করে "লোড শেডিং"। ইতিমধ্যেই প্রায় দেড় হাজার বার শেয়ার হয়েছে পোস্টটি।
পোস্টির আর্কাইভ লিংক দেখুন এখানে।
তবে ফেসবুকে অনেকেই তথ্যটির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।অনেকে বলেছেন এটি ক্ষুদিরাম বসুর নয়, শহিদ বাজি রাউতের ছবি।
ভাইরাল এই ছবিটি রিভার্স ইমেজ সার্চ করে আমরা জানতে পারি এই ছবিটি শহিদ বাজি রাউতের। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ওয়েবসাইটে এবং সংবাদ মাধ্যমে বাজি রাউতের বিষয়ে লেখা বেরিয়েছে এই ছবিটির সঙ্গে।
eodisha.org ওয়েবসাইটে ২০১৩ সালে বাজি রাউতের পঁচাত্তরতম মৃত্যুবার্ষিকীতে একটি বিস্তারিত লেখা ছাপা হয়।
২০১৬ সালে এইসময় নিউজপোর্টালে বাজি রাউতের ওপর একটি লেখা বেরোয়।
এই রিপোর্টগুলি থেকে জানা গেছে, মাত্র বারো বছর বয়েসে ব্রিটিশ পুলিশের বিরুদ্ধাচরণ করে ১৯৩৮ সালের অক্টোবর মাসের ১১ তারিখ ওড়িশার ঢেঙ্কানল জেলার নীলকণ্ঠপুর গ্রামে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান দেশের কনিষ্ঠ স্বাধীনতা সংগ্রামী শহিদ বাজি রাউত।
বাংলার ক্ষুদিরাম বসু, ব্রিটিশ বিচারক কিংসফোর্ডকে হত্যার চক্রান্তে অভিযুক্ত হয়ে ১৯০৮ সালে ফাঁসির মঞ্চে প্রাণ দেন। এ বিষয় ইন্ডিয়া টুডের একটি রিপোর্ট এখানে পড়তে পারেন।
JHOOTH BOLE KAUVA KAATE
The number of crows determines the intensity of the lie.
- 1 Crow: Half True
- 2 Crows: Mostly lies
- 3 Crows: Absolutely false