পঞ্চায়েত ভোটে শাসকের হিংসা রুখতে বুথে বুথে কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে বিজেপি

সমস্ত ভোট পুরোদমে লড়ছি জেতার জন্য। ফলে ভোটও বাড়ছে আমাদের

 |  2-minute read |   21-03-2018
  • Total Shares

পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে খুব চিন্তা থাকে সাধারণ মানুষের। তাঁদের মনে হয়, ভোট দিতে পারব তো? গত তিনটি পঞ্চায়েত নির্বাচনে দেখা গেছে, ব্যাপক খুন-খারাপি হয়েছে। ৭০-৮০ জন বা তার বেশি মানুষ খুন হয়েছেন, এবং সাড়ে পাঁচ হাজার থেকে আট হাজার আসনে রাজ্যের শাসকদল জিতেছে। সিপিএমও তাই করত, তৃণমূলও তাই-ই করছে। হিংসার পরিবেশে লোকজনকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। এবারও সেটা করার চেষ্টা চলছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, বিরোধীশূন্য পঞ্চায়েত চাই। আর নেতারাও বলছেন মনোনয়নপত্র জমা দিতে দেব না। গণতন্ত্রে এটা হয় না। দুর্ভাগ্য যে বাংলায় এটা হয়ে এসেছে।

বিজেপি এটা প্রতিরোধ করবে, পরিবর্তন করবে, এটা আমাদের সংকল্প। তাই প্রত্যেক বুথে বুথে কর্মীদের প্রশিক্ষণ, লড়াই আন্দোলন চলছে। ভয়ের পরিবেশের মধ্যেও আমাদের কর্মীরা লড়াই করছে, এগোচ্ছে। সিপিএমকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। যাঁরা পশ্চিমবঙ্গে দুর্নীতিমুক্ত, উন্নয়নশীল প্রশাসন চান, তৃণমূলের হিংসার রাজনীতি বন্ধ করতে চান, এই ধরনের সব মানুষ আজ বিজেপির পক্ষে আসবেন, বিজেপিকে সমর্থন করবেন। আমাদের তাই প্রথম লক্ষ্য হচ্ছে সবকটি আসনে প্রার্থী দেওয়া। ভোটের দিনও বাধা দিলে আমরা শক্তি দিয়ে তা প্রতিরোধ করব যাতে মানুষ তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন।

bjp_body_032118073439.jpgসারা দেশে বিজেপি পরিবর্তন আনছে বিভিন্ন রাজ্যে

এতদিন এই রাজ্যে কোনও পঞ্চায়েত ভোটেই ২৫ শতাংশের বেশি আসনে বিজেপি প্রার্থী দিতে পারেনি। ফলে লোকে মনে করত না যে আমরা জিততে পারি। ভোটও দিত না। এখন সমস্ত ভোট আমরা পুরোদমে লড়ছি জেতার জন্য। ফলে ভোটও বাড়ছে। সিপিএম-কংগ্রেসকে ছেড়ে দিয়ে মানুষ বিজেপির কাছে আসছে। তৃণমূলের বিরোধী এখন একটাই শক্তি, সেটা বিজেপি। এ রাজ্যে সব ভোটেই আমরা দ্বিতীয় স্থানে আসছি।

সার্বিক ভাবে এই যে দুর্নীতি ও হিংসামুক্ত বাংলা, এটা যদি করতে হয় তা হলে তৃণমূলকে সরাতে হবে। সে জন্য একক সাংগঠনিক শক্তিযুক্ত একটা দল চাই, যে জায়গাটা সিপিএম ও কংগ্রেস কোনও দিন পূরণ করতে পারবে না। এই অবস্থায় যাঁরা ক্ষমতার সঙ্গে থাকতে চান তাঁরা তৃণমূলে চলে যাচ্ছেন, যাঁরা বাংলার ভবিষ্যত্ নিয়ে চিন্তিত, পরিবর্তন চান বাংলার, তাঁরা বিজেপিতে আসছেন। কর্মীদের লড়ইয়ের জোরে এবং সাংগঠনিক ক্ষমতার জোরে বিজেপি লড়াই করছে। এ ভাবেই সারা দেশে বিজেপি পরিবর্তন আনছে বিভিন্ন রাজ্যে। নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্ব ও অমিত শাহের সাংগঠনিক দক্ষতার জেরেই সাফল্য আসছে। তাই সব নির্বাচনে আমরা জিতছি। ত্রিপুরায় যে ফল হল, তা কেউ কল্পনাও করতে পারেনি, কিন্তু সেই ফল করা সম্ভব হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অন্য রাজ্যগুলোর চেয়ে আলাদা, আর তার সঙ্গে এখন হিংসা যুক্ত হয়ে গেছে। সে জন্য কাজটা সহজ নয়, কঠিন। আমরা সেই কঠিন কাজটিকে সহজ করার জন্য প্রস্তুত হয়েছি। বাধা পেলে কর্মীরা লড়াই করছেন, তাতে হিংসা-সংঘর্ষ বাড়ছে। আর মানুষ এটা দেখে প্রভাবিত হচ্ছেন, তাই বিজেপির দিকে আসছেন।

If you have a story that looks suspicious, please share with us at factcheck@intoday.com or send us a message on the WhatsApp number 73 7000 7000

Writer

DILIP GHOSH DILIP GHOSH @dilipghoshbjp

The writer is the West Bengal State BJP President.

Comment