সংঘর্ষ ১০টিরও কম, বিরোধীরা ৯৬,০০০ মনোনয়ন দিয়েছে: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
হামলার দায় বিজেপির, বাকিটা একটি নির্দিষ্ট সংবাদমাধ্যমের সাজানো
- Total Shares
সংবাদমাধ্যম যাই বলুক, রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে মাত্র সাত থেকে ন’টি ঘটনা ঘটেছে বলে এ দিন একটি নিউজ চ্যানেলে ঘোষণা করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে তিনি সংবাদমাধ্যমকেও এক হাত নিয়েছেন। তাঁর দাবি, রাজ্যে ৬২,০০০ বুথের মধ্যে দার্জিলিং ছাড়া ৫৬,০০০ বুথে ভোটগ্রহণ হবে, আর বিরোধীদের দাখিল করা মনোনয়নের সংখ্যা ৯৬,০০০। তিনি রাজধর্ম পালন করছেন বলেও এ দিন দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী মনে করেন, যেখানে প্রার্থী করার মতো কাউকে পায়নি, সেখানেই প্রার্থী দিতে পারেনি বিরেধী দল। তা ছাড়া ভোটের দিন পিছিয়ে গেলে কী সমস্যা হবে সে কথাও তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী।
উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা যেমন শুরু হয়ে যাবে, গরমও পড়ে যাবে। তা ছাড়া রমজান মাস পড়ে গেলে রাজ্যের ৩০ শতাংশ সংখ্যালঘুর সমস্যা হবে বলেও তিনি মনে করেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পঞ্চায়েতের দিনক্ষণ ঘোষণার পরে এ রাজ্যে মাত্র ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে রাজনৈতিক হিংসায়, আর নিহতরা সকলেই তাঁর দলের। এর আগের নির্বাচনগুলিতে কখনও ৬০-৭০ থেকে ১৭৭ জনের পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেন। তাঁর দাবি, সন্দেশখালি, স্বরূপনগর, ময়নাগুড়ি সর্বত্রই হামলা করেছে বিজেপি। অনেকগুলি ঘটনাকেই একটি নির্দিষ্ট সংবাদমাধ্যমের সাজানো বলেও তিনি দাবি করেছেন। দু-একটা ঘটনা ছাড়া সব খবরকে তিনি ফেক নিউজ, এমনকি ব্যঙ্গ করে ফেকু নিউজ বলে উপহাস করেছেন। পঞ্চায়েতে যত গণ্ডগোল হচ্ছে, তার অনেকগুলিই পারিবারিক গণ্ডগোলের জের বলে দাবি করেছেন। বাম আমলে পাঁচিল তুলে দেওয়া, শিশুকে হত্যা করা এবং তার উপরে শারীরিক অত্যাচারের কথাও বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এ রাজ্যে রামনবমী থেকেই বিজেপি হিংসা ছড়াতে শুরু করেছে এবং রাজ্যে অশান্তির ৯৯ শতাংশই বিজেপির সৃষ্টি বলে অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মেরুকরণ নয়, বিজেপির আচরণকে সাম্প্রদায়িক এবং তাদের মিছিলে হাঁটার জন্য বিজেপি লোককে টাকা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। নিজেই সংখ্যালঘু তোষণের প্রসঙ্গ টেনে, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন।
২০১৩ সালের পরে ২০১৮ সালেও রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোটে আদালতের হস্তক্ষেপ প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সে বার বাম আমলে নিযুক্ত নির্বাচন কমিশনার আদালতে গিয়েছিলেন, এ বার গেছে বিরোধীরা। আর রায় যদি তাঁর বিরুদ্ধেও গিয়ে থাকে, তা হলেও তিনি আদালতের রায়কে সম্মান জানিয়েছেন, সমালোচনা করেননি। বিরোধীদের একযোগে আদালতে যাওয়া নিয়ে কটাক্ষ করে বলেন, জনবিচ্ছিন্ন হয়েই আদালতে যাচ্ছে তারা।
এ দিনও রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর আমলে রাজ্যের কী উন্নয়ন হয়েছে, সে কথাও বলেন।

