যে সাতটি কারণের জন্য পার্সোনাল লোন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে
অনেক ব্যাঙ্কই এটিএমের মাধ্যমে ক্রেতাদের ঋণের টাকা দিচ্ছে
- Total Shares
গত দু'বছরে ভারতের অর্থনীতির অভাবনীয় বিকাশ লক্ষ করা গিয়েছে। এই বিকাশের প্রভাব ব্যক্তিগত আর্থিক সংস্থানের উপরও পড়েছে। পার্সোনাল লোনের ক্ষেত্রে আবেদনের পদ্ধতি অনেকটাই বদলেছে। বলা ভালো, অনেকটাই শিথিল হয়েছে।
আসুন, দেখে নেওয়া যাক কোন সাতটি কারণের জন্য ঋণ আবেদন অনেক বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
১) সুদের হার অনেখানি কম, একই সঙ্গে লোভনীয়
ছোটখাট ঋণের ক্ষেত্রে গ্রাহকরা প্রথমেই সুদের হারের কথা চিন্তা করেন। বর্তমানে ব্যাঙ্কগুলো ও অন্যান্য আর্থিক সংস্থাগুলো অনেকটাই কম সুদে ঋণ দিচ্ছে।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, সময় বিশেষে পি২পি প্লাটফর্মেও বেসরকারি ও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলোর থেকে কম সুদে ঋণ পাওয়া যায়।
ডিজিট্যাল যুগে আপনি বিভিন্ন ধরণের প্রতিষ্ঠানের সুদের হার তুলনা করে দেখে পছন্দসই জায়গায় ঋণের আবেদন করতে পারেন। সাধারণত, পার্সোনাল লোনের ক্ষেত্রে সুদের হার ১০.৮৫ শতাংশ থেকে শুরু হয়।
২) বিভিন্ন ধরণের গ্রাহকদের কথা ভেবে ঋণ প্রদান করা হয়
ব্যাঙ্কগুলো এখন বিভিন্ন ধরণের (আর্থিক অবস্থা) গ্রাহকদের কথা ভেবে বিভিন্ন ধরণের বিকল্প দিয়ে থাকে। এই বিকল্পগুলো গ্রাহকদের আয় ও কাজের ধরনের উপর নির্ভর করে। বিভিন্ন ধরণের গ্রাহক, এমনকি পেনশনভোগীদেরও এখন ঋণ প্রদান করা হয়ে থাকে।
৩) চটজলদি সম্মতি ও সামান্যতম নথিপত্র
দীর্ঘমেয়াদী ভোগ্যপণ্য কেনার জন্য ঋণের ক্ষেত্রেও এখন ডকুমেন্টেশনের প্রয়োজন অনেকটাই কমে গেছে। ডিজিট্যাল যুগে অনলাইনেই আপনার ঋণ পাওয়ার যোগ্যতা নির্ণয় করে ঋণ প্রদান করে দেওয়া হচ্ছে, যার পোশাকি নাম পেপারলেস লোন।
অনেক ব্যাঙ্ক তো যোগ্যতা নির্ণয় করে এটিএমের মাধ্যমে গ্রাহকদের ঋণের অর্থ প্রদান করে দিচ্ছে।
এর ফলে ঋণ নেওয়ার প্রক্রিয়াগুলো এতটাই সহজ সরল হয়ে উঠেছে যে বেশি সংখ্যক গ্রাহকরা ঋণ নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করছেন।
৪) সরল আবেদন প্রক্রিয়া
আগে ব্যাঙ্ক বা ব্যাঙ্ক নয় এমন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো বেশ ভালোভাবে আবেদনপত্রগুলোকে পরীক্ষা করে দেখত। পরীক্ষার সময় বহু গ্রাহকেদের আবেদন খারিজ হয়ে যেত কিংবা গ্রাহকদের নিজেদের ঋণ শোধের সামর্থ্য প্রমাণ করতে অতিরিক্ত কাগজপত্র জমা দিতে হত।
এখন অবশ্য পরিস্থিতি একেবারেই অন্যরকম। ঋণদাতারা গ্রাহকদের আকর্ষণ করতে আবেদন প্রক্রিয়া সহজ সরল করে ফেলছে। তারাই গ্রাহকদের যোগ্যতা ঠিক করতে সাহায্য করছে এবং যতটা দ্রুত সম্ভব ঋনের অর্থ মঞ্জুর করে দিচ্ছে।
৫) ব্যবসার ক্ষেত্রে ঋণ আবেদন বাড়ছে
এই মুহূর্তে ছোটখাট ব্যবসার ক্ষেত্রে ঋণ আবেদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ব্যবসা শুরুর ক্ষেত্রে লোকে বিনিয়োগকারীর খোঁজ করে থাকে। কিন্তু সব ক্ষেত্রে তা পাওয়া সম্ভব হয় না। সে ক্ষেত্রে গ্রাহকরা পার্সোনাল লোন নিয়ে নিজেদের ব্যবসা চালু করছেন। ব্যবসার জন্য পার্সোনাল লোন খুব সহজেই মঞ্জুর করে দেওয়া হচ্ছে।
এছাড়াও পার্সোনাল লোনের পরিধি অনেকটাই বেড়েছে। আগে শুধুমাত্র যাদের বিশাল আর্থিক স্বচ্ছলতা ছিল তাঁরাই শুধু পার্সোনাল লোন নিতে পারতেন। কিন্তু এখন আর্থিক ক্ষমতা কম থাকলেও ঋণ পাওয়া যায়। এর ফলে গ্রাহকের সংখ্যা বাড়ছে।
৬) অনলাইনে ঋণ প্রদান
এখন অনলাইনে ঋণ আবেদনের সুবিধা রয়েছে। সুতরাং ঋণ আবেদন ও মঞ্জুর হওয়ার মধ্যে মধ্যবর্তী সময়টা অনেকটাই কমে গিয়েছে। বাড়িতে বসেই আপনি নিজে অনলাইনে ঋণের আবেদন করতে পারেন। বারংবার ব্যাঙ্কে গিয়ে সময় নষ্ট করার প্রয়োজন নেই।
৭) সহজ ঋণ ফেরতের পদ্ধতি
গ্রাহকরা এইসিএস মাধ্যমে ঋণের টাকা শোধ করতে পারেন। এছাড়া, স্ট্যান্ডিং ইন্সট্রাকশন ও নেট ব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমেই ঋণের টাকা শোধ করা যেতে পারে। এর ফলে, ঋণের টাকা শোধ করতে আপনাকে আর লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হয় না।
সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে পার্সোনাল লোনের বাজার বেশ ফুলে ফেঁপে উঠেছে।