দুটি রেক দিয়ে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর ট্রায়াল রান শুরু হলো বুধবার দুপুরে
নির্দিষ্ট সময়ের আগে পরিষেবা শুরু হবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে
- Total Shares
বুধবার দুপুরে ইস্টওয়েস্ট মেট্রোর ট্রায়াল রান হয়ে গেল। সল্টলেকের ওয়ার্কশপ থেকে করুণাময়ী অবধি একটি মেট্রোর রেক চালিয়ে 'রিয়েল টাইমে' নতুন মেট্রোর রেক চালালে ঠিক কি ধরণের সমস্যা আসতে পারে তা খতিয়ে দেখে নিলেন মেট্রোর আধিকারিক ও কর্মীরা। পাশাপাশি নতুন রেক ও ট্র্যাকের কার্যক্ষমতাও পরখ করে নেওয়া হয়।
চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর জন্য দুটি রেক আনা হয়েছিল। সেই রেক দুটিতে ভায়াডাক্টে বসানোর কাজ শেষ হয়েছে আগেই। সেক্টর ফাইভ, করুণাময়ী ও সিটি সেন্টার-এই তিনটি স্টেশনের থার্ড লাইনে ইতিমধ্যেই ৭৫০ ভোল্ট বিদ্যুৎসংযোগ করা হয়ে গিয়েছিল এই ট্রায়াল রানের জন্য।
যে কোনও নতুন পথে যাত্রী পরিবহণ শুরু করার আগে অন্তত ছ’মাসের পরীক্ষামূলক দৌড় প্রয়োজন রয়েছে আর সেই প্রস্তুতির অঙ্গ হিসেবেই বুধবারের ট্রায়েল রান।
পুজোর আগেই যাতে কলকাতার মানুষ ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয় চড়ার সুযোগ পান তা নিয়ে প্রথম থেকেই তৎপর ছিলেন কেন্দ্রের তরফে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। পুজোর আগে অক্টোবরে গাঁধী জয়ন্তীর দিনে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর পরিষেবা শুরু করার কথাও ঘোষণা করে রেখেছিলেন। তবে ওই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ আদৌ হবে কি না সে বিষয় এখন যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।
যাত্রী পরিবহণ শুরু করার আগে অন্তত ছ’মাসের পরীক্ষামূলক দৌড় প্রয়োজন রয়েছে
সেক্টর ফাইভ থেকে সল্টলেক স্টেডিয়াম পর্যন্ত মোট ৬টি স্টেশন হবে। এই ৬টি স্টেশনের মধ্যে মেট্রোর লাইনের বৈদ্যুতিকরণ এবং সিগন্যালিংয়ের বিভিন্ন পর্বের কাজ প্রায় শেষের মুখে। মাটির উপরে থাকা ৬টি স্টেশনেও শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে। তবে, মাটির উপরের স্টেশনগুলিতে বাতানুকূল সুবিধা থাকছে না।
প্রতিটি প্ল্যাটফর্মে কাচের বিশেষ স্ক্রিন–গেট লাগানো হবে। প্ল্যাটফর্মে ট্রেন এসে দাঁড়ালে কামরার দরজার সামনে থাকা ওই বিশেষ গেট দু’দিকে সরে যাবে। যাত্রীদের ওঠা-নামা সম্পূর্ণ হলে আবার ওই গেট বন্ধ হবে। এক্ষেত্রে আত্মহত্যা বা অযাচিত দুর্ঘটনা আটকানো যাবে বলে মনে করছেন মেট্রো কতৃপক্ষ।
নতুন আসা রেকগুলি প্রযুক্তিগত দিক থেকে মেট্রোর বর্তমান রেকের তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে। ছয় কোচের । তবে বসার ব্যবস্থা থাকবে ২৬৮ জনের।
প্রত্যেক কামরায় সিসি ক্যামেরা ছাড়াও দরজার পাশে ‘টক-ব্যাক’ ব্যবস্থা থাকবে। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে বিশেষ বোতাম টিপে চালকের সাহায্য চাইতে পারবেন যাত্রীরা। থাকবে মোবাইল চার্জ দেওয়ার ব্যবস্থাও। কামরায় কী ঘটছে তা নিজের কেবিনে বসে সিসি ক্যামেরায় দেখতে পারবেন চালক।
কামরায় বসানো ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড ও ঘোষণা থেকে কোন স্টেশন কত দূরে এবং কোন স্টেশন আসছে তা যাত্রীরা জানতে পারবেন।
পুরো পথে পরিষেবা শুরু হলে আড়াই মিনিট অন্তর মেট্রো চলবে। পরে ওই সময় আরও কমিয়ে দে়ড় মিনিটে আনা হবে বলেই জানান হয়েছে মেট্রো রেলের তরফ থেকে।