প্রতিবাদী চিকিৎসকে বদলি ও ডাক্তারিতে অনিয়ম ঘোচাতে সরব একাধিক চিকিৎসক সংগঠন
সরকারি চাকরিরত যোগ্যপ্রার্থীদের ট্রেনি রিজার্ভের সুযোগেরও দাবি করছেন চিকিৎসকরা
- Total Shares
সরকারি চাকুরিরত যোগ্যপ্রার্থীদের ট্রেনি রিজার্ভের ব্যবস্থা, শহরের জনস্বাস্থ্য, স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত চাকরির ব্যবস্থা, চাকরিতে বদলি ও পদোন্নতি, কর্মক্ষত্রে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা, সরকারি চিকিৎসকদের উচ্চশিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত রাখার মতো বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন চিকিৎসক মহলের একাংশ। এঁদের মধ্যে একটি অতি পরিচিত মুখ হলেন ডা. সজল বিশ্বাস। চিকিৎসক সংগঠন সার্ভিস ডক্টরস ফোরামের রাজ্য সম্পাদক তিনি।
তাই হটাৎই সজল বিশ্বাসকে বাঁকুড়াতে বদলি করে দেওয়া হল কেন? চিকিৎসকরা যে বিভিন্ন দাবিদাবাতে নানা সময় সরব থেকেছেন সেই আন্দোলনের কোমর ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার।
এই বদলিকে অগণতান্ত্রিক বলে মনে করা হচ্ছে
তাঁর বদলির প্রতিবাদে এবং এই বদলিকে অগণতান্ত্রিক আখ্যা দিয়ে সম্প্রতি সংগঠনের তরফ থেকে স্বাস্থ্যভবনে স্বাস্থ্য অধিকর্তা (পরিষেবা) অজয় চক্রবর্তী ও স্বাস্থ্য অধিকর্তা (শিক্ষা) দেবাশিস ভট্টাচার্যর কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে।
নিট-পিজি (২০১৮) উত্তীর্ণ সমস্ত সরকারি ডাক্তারদের ট্রেনি রিজার্ভ দিয়ে এম অ্যান্ড এমএস পড়ার সুযোগ দেওয়া এবং টিআর নিয়ে প্রত্যেক বছর যে অনিয়ম এবং দুর্নীতি চলে আসছে সেটা বন্ধ করার জন্য আন্দোলন চলছে বহুদিন ধরে। এ ছাড়াও স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে সন্ত্রাসমুক্ত স্বাস্থ্যব্যবস্থা গড়ে তোলার দাবিতে অনেকদিন ধরেই আন্দোলন করছেন চিকিৎসক ও ডাক্তারির ছাত্রছাত্রীরা। পরিকাঠামো এবং ডাক্তার-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীর অভাবে রাজ্য জুড়ে সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রায় ভেঙে পড়ার মুখে। এই সব ইস্যুতে সজল বিশ্বাস সহ বহু চিকিৎসক আন্দোলনের চালিকাশক্তি।
স্বাস্থ্যভবনে ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে
ডাক্তারদের মতে রাজ্যে গ্রামীণ স্তরে ৯০ শতাংশ বিশেষজ্ঞের পদ ফাঁকা পড়ে রয়েছে অথচ সরকার ডাক্তারদের উচ্চ শিক্ষার সুযোগ কেড়ে নিচ্ছে। এমডি এবং এমএস পাস করার পর চাকরিরত এই সব চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের শূন্যপদগুলি পূরণের সুযোগ থাকলেও পূরণ করা হচ্ছে না।
সংগঠনের মতে সরকারের এই মনোভাব প্রমাণ করে তাঁরা মূলত সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল বা মেডিক্যাল কলেজের নামে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিশাল বড় ভবন তৈরি করছেন ঠিকই কিন্তু সেগুলো চালাবার সদিচ্ছা নেই সরকারের।
সন্ত্রাসমুক্ত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলার দাবি নিয়ে বেশ অনেকদিন ধরেই আন্দোলন চালাচ্ছে চিকিৎসক ও ডাক্তারির ছাত্রছাত্রীরা
শুধু এই সংগঠনই নয়, চিকিৎসকদের বিভিন্ন সংগঠনগুলোও অন্যান্য বিষয় দ্বিমত পোষণ করলেও নিয়ম মেনে বদলির দাবিতে এরাও একমত। এরাও নানা সময় স্বাস্থ্য ভবনে ডেপুটেশন জমা দিয়েছে। যে সব চিকিৎসক বিশেষ করে বয়স্ক ও অসুস্থ চিকিৎসকরা আজ বহু দিন হল রাজ্যের প্রত্যন্ত সব এলাকায় চাকরি করছেন তাঁদের নিজেদের শহরে ফেরানোর দাবি তুলেছে সংগঠনগুলো।

