সত্যিকারের স্বাধীন হতে চাইলে ইতিহাস ও আবেগের বন্ধন থেকে মুক্ত হতে হবে

একদিকে ইতিহাসের বাঁধন, অন্যদিকে পাশ্চাত্যের হাতছানিতে বদ্ধ ভারত

 |   Long-form |   20-08-2018
  • Total Shares

ভারতে একশো বছরের অনেক বেশি সময় ধরে একটা প্রশ্ন নিয়ে ভীষণ ভাবে নাড়া-ঘাঁটা চলছে কোনটা আমাদের নিজেদের আর কোনটা বহির্বিশ্ব থেকে এসেছে। ১৯১৬ সালে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়, যেখানে পাশ্চাত্যের অধুনিক শিক্ষাকে অঙ্গীভূত করা হয়, সেই সময় প্রায় অপরিচিত এক নেতা দক্ষিণ আফ্রিকায় তাঁর কার্যকলাপ করে সদ্য দেশে ফিরে এক ‘সুন্দর কলঙ্ক’-এর কারণ হলেন।

body_082018014600.jpgভারতের কথা বলতে গিয়ে মহাত্মা গান্ধীও একবার সুন্দর ভাবে কলঙ্কিত হয়েছিলেন

মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী বললেন, “এটা আমাদের কাছে গভীর বিড়ম্বনা ও লজ্জার কথা যে আজকের সন্ধ্যায় পবিত্র শহরের এই মহান মহাবিদ্যালয়ের ছত্রছায়ায় আমি আমার দেশবাসীর উদ্দেশে বলছি এমন এক ভাষায় যে ভাষাটি আমার কাছে বিদেশি ভাষা।”

সভাপতির আসনে তখন অ্যানি বেসান্ত, দর্শক মণ্ডলীর মধ্যে রয়েছেন তৎকালীন ভাইসরয় এবং মান্যগণ্য ব্যক্তিরা। গান্ধী বলে চললেন, ধরাযাক আমরা প্রথম পঞ্চাশ বছর ধরে দেশীয় ভাষায় শিক্ষা গ্রহণ করে চলেছি, তা হলে আজ আমরা ঠিক কোন জায়গায় পৌঁছেছি? আজ আমাদের স্বাধীন ভারত পাওয়া উচিত ছিল, দেশের মাটিতে শিক্ষিত ব্যক্তিদের বিদেশির চোখে দেখা যথাযথ নয়, তাও দেশের হৃদয়কে বলছি...”

সেই বছরই, মানে ১৯১৬ সালে শ্রীলঙ্কার শিল্পইতিহাসবেত্তা একে কুমারস্বামী একটি ছোট বই প্রকাশ করলেন যার নাম মেসেজ অফ দ্য ইস্ট (প্রাচ্যের বার্তা), যে বইয়ে তিনি রাজনৈতিক স্বাধীনতা ও শিল্পের স্বাধীনতার মধ্যে পার্খক্য নিরুপণ করলেন। রাজনৈতিক ভাবে যে ভারত মুক্ত নয় তবুও “ সেই নারীর হৃদয়ের অন্তরতম স্থল ইউরোপ দ্বারা বিজিত”  যার থেকে মুক্তির জন্য তিনি লড়াই করছেন না বরং সেটাকেই আঁকড়ে ধরতে চাইছেন।

গান্ধী এবং কুমারস্বামী দু’জনের বলতে চাইছিলেন যে পাশ্চাত্যের সঙ্গে তাঁদের সংস্পর্শ তাঁদের জারিত করেছে – ভারত সম্পর্কে পাশ্চাত্য যে ধারমা পোষণ করে তাকে সম্পৃক্ত করেনি বরং দগ্ধ করেছে। পাশ্চাত্যের ক্ষতিকর বাতাস কেমন জাপানও বুঝেছে। লোটাস অ্যান্ড দ্য রোবট গ্রন্থে আর্থার কোয়েস্টলার দেখিয়েছেন কী ভাবে জাপান, যে দেশ সফল ভাবে ভারতীয় যোগবিদ্যা, চিনের দর্শন ও শিল্প এবং মঙ্গোলিয়ার রন্ধনপ্রণালী পূর্ণমাত্রায় আত্তীকরণ করছে, “তারা সবকিছুর নির্যাসটুকু তাদের নিজেদের মতো করে গ্রহণ করেছ, সে জন্য এ সবকিছুকেই নিজেদের মতো করে পরিবর্তন করে তা লাগসই করে নিয়ে” দেখেছে পাশ্চাত্যকে গ্রহণ করা তাদের পক্ষে আর সম্ভব হচ্ছে না। “পশ্চিমের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি হয় ট্রয়ের ঘোড়ার মতো; যার খোলের মধ্যে রয়েছে বিদেশি দর্শন, চালচলন, রাজনৈতিক ধ্যানধারণা ও জীবনদর্শন।” পরম্পরাগত কৃষ্টির সঙ্গে তার মিলমিশ হয় না। “পশ্চিমের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে জাপান গ্রহণ করেছে অনেকটা স্পঞ্জের মতো করে; তবে পশ্চিমী কলা ও তাদের জীবনধারাকে তারা বিদেশি দাতার থেকে নেওয়া ত্বকের উপরের আবরণ হিসাবে প্রতিস্থাপিত করেছে, তারা সাগ্রহে মানিয়ে নিয়েছ, গ্রহণ করেনি।”

সমস্যা হল স্বায়ত্তশাসনের একটা দিক। বিপুর একটি পরিবর্তনের বেদনা অনুভব করছে সমাজ, তবে সেই পরিবর্তন গ্রহণের মানসিকতা স্বতস্ফূর্ত ভাবে আসেনি – এ হল অন্য সভ্যতার, যেমন ইউরোপীয় সভ্যতার, প্রত্যক্ষ সংস্পর্শে আসার ফল। একজন যদি নিজের কৃষ্টিকেই বিদেশিদের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিচার করে তার সমালোচনা করে তা হলে সেই কৃষ্টির স্বায়ত্তশাসন কেমন ভাবে সম্ভব হবে?

দস্তয়েভস্কির সৃষ্টির মধ্যে যে উদ্বেগ লক্ষ্য করা যায় এটা তেমনই। দ্য ইডিয়ট-এ যে “অবিশ্বাস্য বাস্তব” তুলে ধরেছেন ইভজেনি রাডমস্কি, তাতে রুশ উদারনীতি কখনোই রাশিয়ার সামাজিক ও অর্থনৈতিক কাঠামোর সমালোচক নয়, বরং তা রাশিয়াকে অপদস্থ করা। রাডমস্কি বলেন, “এমন কোনও উদারনীতি থাকতে পারে না যেখানে কেউ তাঁর পিতৃভূমিকে ঘৃণা করতে পারে।” এই ধরনের লোকের ক্ষেত্রে তাঁর ব্যাখ্যা অতীব সুস্পষ্ট – যার পছন্দ হল “বিশ্বসৃষ্টির আদিকাল থেকে যার অস্তিত্ব কোথাও কোনও কালে ছিল না বা যা কোথাও কোনও কালে ঘটেনি, এমনকি কোনও ব্যক্তিবিশেষের ক্ষেত্রেও নয়” – তাঁর রাশিয়ায় উদয় হওয়া উচিত, কারণটি সাদামাটা: তিনি আর যাই হোন রুশ নন, তিনি হলেন রাশিয়ায় পাশ্চাত্যের শ্বাসপ্রশ্বাস নেওয়া জীবন্ত সমালোচকের প্রতিমূর্তি।

body1_082018014622.jpgগোরা ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্টি করা তাঁর প্রিয় নায়ক

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনবদ্য উপন্যাস গোরা, যেখানে রবীন্দ্রনাথের নায়ক গোরা হিন্দু সমাজের প্রতি আস্থাশীল, সেই সমাজের অনেক ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকতে পারে, কিন্তু সমাজকে নিজেকেই সেই সব ত্রুটিবিচ্যুতি কাটিয়ে উঠতে হবে। সে মনে করে যে, ত্রুটিপূর্ণ হোক, তবু প্রকৃত ভারতই শাশ্বত ভাবে কাম্য। এই ভারত পশ্চিমের প্রতিচ্ছবি, তার জীবনের অন্তরাত্মাকে হরণ করা হয়েছে।

আমাদের সাংস্কৃতিক সংগ্রামের দিকে যদি একঝলক তাকানো যায় তা হলে দেখা যাবে শতবর্ষ পার করেও এখনও আমরা এই সব আশঙ্কাকে বিসর্জন দেওয়ার দিকে দিকে এগোতে পারিনি, বরং তাকে বিসর্জন দেওয়া থেকে দূরে সরে গেছি।

এমন অবস্থায় দিনযাপন সত্যিই অসহনীয়!

পাশ্চাত্যের ওই আনন্দ-স্ফূর্তির আবেদনই এখন ‘সত্যিকারের’ ভারত, যে ভারতের দিকে কারও নজর নেই, প্রতি দিন তা আরও দূরে সরে যাচ্ছে। সেই প্রতিমূর্তি ক্রমেই নির্মিত হচ্ছে পশ্চিমের ঢেলে দেওয়া সেই প্রযুক্তি দিয়ে আর আমরা বলছি আমরাই হলাম গর্বিত ভারতীয়। সেই ভারতে রয়েছে আমাদের পছন্দের শহর যেখানে আমরা বসবাস করি, সেখানে রয়েছে রোমাঞ্চকর সব বৈচিত্র্য, আমরা যে ধরনের চালচলন পছন্দ করি সেকানের চালচলনও সেই ধাঁচের, যে রকম প্রযুক্তি আমরা চাই সেখানে সেই রকম প্রযুক্তি রয়েছে, যেমনটি পছন্দ করি তেমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে, পছন্দের টেলিভিশন অনুষ্ঠান রয়েছে – সর্বোপরি যৌন ও সামাজিক স্বাধীনতা রয়েছে, আমাদের গর্ব করার মতো সব উপাদান মজুত রয়েছে। সেখানে পছন্দসই ককটেল রয়েছে, হড়হড়ে ভাব বিহীন পাস্তা রয়েছে আবার পুরোনো ভারতমাতাও রয়েছে।

আমরা মনে মনে জানি যে অন্য সেই সংস্কৃতির আবেদনে আমরা আর সাড়া দিয়ে উঠতে পারব না।

এখন আমরা সেই রুদ্ধশ্বাস রব শুনতে পাই – “ভারত মাতা কি জয়।” যত উদাত্ত কণ্ঠে আমরা এ কথা বলি তত বেশি করে উপলব্ধি করতে পারি যে এই জয় দূর পরাহত।

সারস্বত সত্যটি হল এখন বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় জায়গা বলতে আমরা বুঝি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপকূলবর্তী সব শহর, পশ্চিম ইয়োরোপের এবং এখন পূর্ব এশিয়ার শহরগুলিকে যেন মনে হয় রেড আমেরিকানদের কোনও শহর বা রাজ্য নেই যেখানে এখনও কেউ বসবাস করতে চায় বা অন্তত দেখতে যেতে চায় – ব্রেক্সিটপন্থীদের কাছে স্বর্গ হল লন্ডনের আবেদন – কিন্তু পুরোমাত্রায় ভারতীয় বলতে যা বোঝায় কেউ তা চায় না, এমনকী যারা সেখানে বসবাস করে তারাও সেখানে থাকতে চায় না।

body2_082018014643.jpgবিলাসবহুল জীবনযাপন: কে আর নিউ ইয়র্কে থাকতে চায় না! (ছবি: রয়টার্স)

মুক্ত বিশ্বের ক্ষমতা রাজনীতির মধ্যে নয়, লুকিয়ে রয়েছে সংস্কৃতির মধ্যে: যে যে ভাবে বাঁচতে চায় সে তার মতো করেই সেটিকে বদলে নেয়। তাঁর জেস্টিং পিলাত-এর জন্য ১৯২০-র দশকে যখন পুরো এশিয়া পরিভ্রমণ করছেন অল্ডাস হাক্সলে তখন তিনি যেখানেই গিয়েছেন সেখানকার সত্যিকারের জীবন দর্শন করেছেন, যেটা অনেক বহিরাগতই দেখার আশা করেন না, সেটা দেখে হাক্সলে বলেছিলেন, “সবই ইতিহাসের উপরে দণ্ডায়মান।” তিনি লিখেছিলেন, “জাপান ও অন্য দেশগুলির ভবিষ্যৎ নির্ভর করে আছে ‘অবাস্তবে’র উপরে। যেটা বলা যেতে পারে তা হল গ্রামের সেই ছবির মতো সুন্দর জীবনের উপরে ভারতের ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করে নেই, খুব দুঃখজনক ভাবেই ভারত তার উত্থান চাইছে অপেক্ষাকৃত খেলো আধুনিক পাশ্চাত্যধারার জীবন, তাও পুরোপুরি ভাবে নয়, তারা আংশিক ভাবে সেই জীবন গলাধঃকরণ করবে।

বারাণসীতে যখন সন্ধ্যা নামছে তিনি যখন একটি বাগানের কাছে বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটির সংস্কৃত বিভাগের প্রাক্তন প্রধানের কথা শুনছেন। কমলেশ দত্ত ত্রিপাঠী, গলায় মাফলার জড়ানো, পরণে নীল রঙের পশমের কুর্তা ও ওয়েস্টকোট পরা প্রবীণ ব্রাহ্মণ বলছেন, “কখনও কখনও আমরা মনে হয় আমরা যেন এমন একটা যুদ্ধ করছি যেখানে আমাদের পরাজয় ঘটেই চলেছে।” তিনি বলতে চেয়েছিলেন লড়াইটা হল সংস্কৃতিকে আরও বলিষ্ঠ করার সংগ্রাম। হেইদেগার বিশেষজ্ঞ জেএল মেহতা বলেন, “হতে পারে হেইদেগারই ঠিক। হতে পারে বিশ্বের গন্তব্য হল সম্পূর্ণ পাশ্চাত্যকরণ। আসুন আমরা সকলেই সম্পূর্ণভাবে পশ্চিমী হয়ে যাই। তখনই হয়তো আমাদের ঘুরে দাঁড়ানো শুরু হবে।”

body3_082018014704.jpgউষ্ণ অনুভূতি: কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় (বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটি) পর্যন্ত নতুন শিক্ষাপদ্ধতি গ্রহণ করেছে (ছবি: বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট)

ত্রিপাঠি আসলে যে কথা বলছিলেন সে কথা আমরা সকলেই অনুভব করি: পাশ্চাত্য কোনও সমস্যা নয়, সমস্যা হল পশ্চিমে যা ঘটে তা আমরা অনুকরণ করে ফেলছি নিজের মতো করে। একটা হল আমাদের পরিস্থিত, অন্যদিকে গভীর ভাবে আমরা আমাদের সংস্কৃতিকে পালন করছি, আরেকটি দিকে আমরা অন্য সংস্কৃতির হাতছানি দেখে ক্রমেই সে দিকে ঝুঁকে পড়ছি। সব মিলিয়ে আমরা সমাজ ও সম্পর্ককে এক বিষময় পরিণতির দিকে নিয়ে চলেছি।

body4_082018014722.jpgপ্রতিটি চুমুকেই ‘পশ্চিমী’ হয়ে ওঠা: আপাত ভাবে মনে হয় আনন্দের আতিশয্যেই বেড়ে ওঠে পাশ্চাত্য (ছবি: ইন্ডিয়া টুডে)

আমরাই আমাদের পতনের জন্য দায়ী, এই জড়ত্ববাদের অনুমোদন আমরাই তো পশ্চিমকে দিয়েছি।

১৯১৬ সালে কুমারস্বামী লিখেছিলেন, “তবে পাশ্চাত্য সভ্যতার সূক্ষ্ম শক্তিগুলিই আদর্শ জীবনের সর্বশেষ বিবর্তনের দিকে পরিচালিত করছে, ভারত তা দেখতে পাচ্ছে না। কঠিন ও জড় কীর্তিকেই সে সর্বোচ্চ বলে সমাদর করছে, আত্তীকরণের বদলে সে শুধু অন্যকে অনুকরণ করার চেষ্টাই করে চলেছে।”

স্বাদীনতা দিবস হল একজনের আনুগত্য উদযাপন।

বারাণসীর এক ঘাটে লেখা রয়েছে, “ভারতীয়গণ: স্বীয় ধর্ম পালন কর।” এই স্বাধীনতা দিবসে আমি আপনাকে ঠিক উল্টোটাই করতে বলব: আনুগত্য পরিহার করুন। পুত্তলিকা ভেঙে চুরমার করে দিন, পবিত্র গ্রন্থগুলো জ্বালিয়ে দিন, পরিবারকে শত্রুর চোখে দেখুন। আপনি যদি ভারতমাতার ভক্ত হন তা হলে সেটাই করুন জয়েস যেটি আয়ারল্যান্ডে করেছিলেন, “সেই বৃদ্ধ বরাহী যে তার শাবকদের ভক্ষণ করেছিল।” আপনার দেশ ও সমাজের অভ্যন্ত থেকে বিচ্ছিন্ন হতে যা যা করা দরকার সে সব অবশ্যই করুন। আমাদের আনুগত্যের জন্য দীর্ঘদিন ধরে আমাদের মূল্য চুকিয়ে যেতে হবে। ‘আধ্যাত্মিক একাকিত্ব’ আমাদের একেক জনের কাছে একেক রকম, তবে মনে রাখতে হবে, “সবখানে যাঁর ঠাঁই আছে কোনও খানেই তাঁর ঠাঁই নেই।”

আমরা এই দীর্ঘ পথে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি, ফরাসি লেখক দিদিয়ের এরিবোঁ সে সম্বন্ধে বলেছেন, “অস্বাচ্ছন্দ্য শব্দটি দুটি পৃথক দুনিয়া থেকে এসেছে, যে দুনিয়ায় একে অপরের থেকে পুরো মাত্রায় বিচ্ছিন্ন এবং পরস্পর শত্রুভাবাপন্ন এবং আরেকটি হল এমন এক ব্যাপারে যেখানে সবকিঠছু পুরোমাত্রায় আছে, ঠিক তোমার মতো।”

ফিরে যাওয়ার জন্য আমরা ভীষণ শ্রমসাধ্য এক যাত্রা করেছি। এটা করা যায় না, এটা করা উচিতও নয়।

অ-পশ্চিমী দুনিয়ায় অষ্টাদশ ও উনবিংশ শতকে যা ঘটনা ঘটেছে তা মোটেই ঘটনাচক্রে ঘটে যাওয়া নয়, আমরা সকলেই এর ভাগীদার।

এ বছর স্বাধীনতা দিবসে চলুন আমরা উৎসের সন্ধান করি। গরিমা দূরে ঠেলে দিন। শুধু নিজের উত্তরণের কথা ভাবুন, সমগ্র ধ্রুপদী বিশ্বের তোরণে যা লেখা আছে তা তা পড়ুন: আত্মানম্ বিধি। অন্তরাত্মাকে উপলব্ধি কর ও মুক্ত হও।

শুভ স্বাধীনতা দিবস!

লেখাটি পড়ুন ইংরেজিতে

If you have a story that looks suspicious, please share with us at factcheck@intoday.com or send us a message on the WhatsApp number 73 7000 7000

Writer

AATISH TASEER AATISH TASEER

Aatish Taseer is a contributing writer for The International New York Times; his book, The Twice-Born (HarperCollins India), is forthcoming in November.

Comment