কেন ২০১৯ সালে বিশ্ব জুড়ে নতুন নীতি তৈরি হবে
আফগানিস্তান থেকে অস্ট্রেলিয়া, থাইল্যান্ড থেকে উরুগুয়ে: মোট ৬২টি দেশে সাধারণ নির্বাচন এ বছরে
- Total Shares
২০১৯ সালে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রভাব বিশ্বজুড়ে ৩২৮ কোটি লোকের উপর পড়বে যার মধ্যে ১৩৪ কোটি বা ৪০ শতাংশ ভারতীয়।
বিভিন্ন ভৌগোলিক অবস্থানের ভোটাররা, বিভিন্ন মতাদর্শে বিশ্বাসীরা এবং বিভিন্ন ধরণের বৈষম্যের যাঁরা শিকার হয়েছে তারাই এই রাজনৈতিক পরিবর্তন আনবেন এবং এই রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রভাব তাঁদের উপরই পড়বে। ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন অফ ইলেক্টোরাল সিস্টেমের পক্ষ থেকে জানা যাচ্ছে, আফগানিস্তান থেকে অস্ট্রেলিয়া, থাইল্যান্ড থেকে উরুগুয়ে -- মোট ৬২টি দেশ এ বছর দেশের নতুন নেতাকে নির্বাচিত করতে চলেছে।
এই দেশগুলোর মধ্যে অনেক দেশেই গণতন্ত্রের অস্তিত্ব নেই বললেই চলে। তা সত্ত্বেও বলতেই হচ্ছে, বিশ্বের ভোটারদের দুই পঞ্চমাংশ ভোটার (চিনকে বাদ দিলে অর্ধেকের ও বেশি) ২০১৯ সালে তাদের নতুন নেতাকে বেছে নেবে।
এ বছর গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রভাব প্রায় ৩২৮ কোটি মানুষের উপর পড়বে [সৌজন্যে: ফেসবুক]
এর ফলে বিদেশনীতি, সামরিক চুক্তি, অভ্যন্তরীণ জোট-জটিলতা ও সংশ্লিষ্ট দেশের অভ্যন্তরীণ নীতি প্রণয়ন হবে।
এর ফলে, গোটা বিশ্ব জুড়ে বেশ কিছু অনিশ্চয়তাও দেখা যাবে।
এই প্রভাবগুলো আগামী বছর মালুম পাওয়া যাবে। কিন্তু সবচাইতে বেশি প্রভাব পড়বে ভারতে (এখানে সাধারণ নির্বাচন এপ্রিল মাসে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা) ইউরোপীয় ইউনিয়নে (মে মাসে ইউরোপীয় সংসদের নির্বাচনে হওয়ার কথা)। এই পরের নির্বাচন থেকে পশ্চিমী বিশ্বের চিন্তাভাবনা আঁচ করা যেতে পারে।
২০১৯ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাচনও রয়েছে [ছবি: রয়টার্স]
এই দু'টি নির্বাচনের উপর চোখ থাকবে গোটা বিশ্বের।
এই দু'টি নির্বাচনের প্রভাব একত্রে ১৮৫ কোটি লোকের উপর পড়বে এবং এই নির্বাচন ফল ২০১৯ সাল থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও বিশ্ব অর্থনীতির পথ দিশা হয়ে উঠবে।
তবে এই দু'টি নির্বাচন ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি দেশে এ বছর নির্বাচন হবে - থাইল্যান্ড ও নাইজেরিয়ার নির্বাচন হবে ফেব্রুয়ারি মাসে, ইন্দোনেশিয়া ও আফগানিস্তানের নির্বাচন হবে এপ্রিলে, ফিলিপিন্স ও দক্ষিণ আফ্রিকার নির্বাচন হবে মে মাসে, জাপানের নির্বাচন হবে জুলাই মাসে, কানাডা ও আর্জেন্তিনার নির্বাচন হবে অক্টোবর মাসে, পোল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচন হবে নভেম্বরে এবং রোমানিয়ার নির্বাচন হবে ডিসেম্বর মাসে।
নির্বাচন বিষেশজ্ঞরা আরও বেশ কয়েকটি ছোট দেশের নির্বাচনের উপর নজর রাখবেন - ফিনল্যান্ডের নির্বাচন হবে এপ্রিল মাসে, স্লোভাকিয়া,নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম ও লিথুয়ানিয়ার নির্বাচন হবে মে মাসে, লাটভিয়ার নির্বাচন হবে জুন মাসে, বলিভিয়া, হাইতি ও গ্রিসের নির্বাচন হবে অক্টোবর মাসে এবং ক্রোয়েশিয়া ও তিউনিসিয়ার নির্বাচন হবে ডিসেম্বরে।
আমরা কোন বোতামটা পছন্দ করব, ভারতের সাধারণ নির্বাচন এই বছরেই [ছবি: পিটিআই]
আরও কয়েকটি ছোট দেশে নির্বাচন হওয়ার কথা আছে: কোকোস (কিলিং) দ্বীপের সায়ার কাউন্সিল, ফকল্যান্ড দ্বীপ, মন্টসেরাট ও টুভালুর নির্বাচন হবে মার্চে, নাউরুর নির্বাচন হবে জুলাই ও জিব্রালটারের নির্বাচন ডিসেম্বর মাসে।
এই নির্বাচনগুলোতে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের নির্বাচনী ইস্তেহারকে হাতিয়ার করে দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির প্রতিশ্রুতি দেবে। কিন্তু নীতি নির্ধারণ নিয়ে যথেষ্ট অনিশ্চয়তা দানা বাধবে। তেল, মুদ্রা, স্টক মার্কেট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ২০১৯ সালে বিশ্ব জুড়ে জল্পনা চলতে থাকবে।
অল্প কথায়, ৬২টি দেশের নির্বাচনের প্রভাব ছ'টি মহাদেশের উপরই পড়বে।
বছর জুড়ে সমাজবিজ্ঞানীরা বিশ্বের নতুন নীতি নিয়ে গবেষণা করে যাবেন।
লেখাটি পড়ুন ইংরেজিতে

